বদের বদ নাস্তিকদের সাথে তর্কের তরিকা নামে যে পোস্টটি দিয়েছিলাম, সেটা ছিলো মূলত প্রাকতর্ক প্রস্তুতি প্রাসঙ্গিক। এখন দেখা যাক, ওই কাফেরদের সাথে তর্কের সময় রণকৌশল কেমন হওয়া উচিত। আজ প্রথম পর্ব।
কোরানের নির্ভুলত্ব ও প্রমাদরাহিত্য
সর্বাগ্রে মাথায় রাখতে হবে, কোরান সন্দেহাতীতভাবে এবং আক্ষরিক অর্থে আল্লাহর বাণীর সমষ্টি। মুরতাদরা যতোই দাবি করুক না কেন, কোরানে নিচের তিনটি জিনিস একেবারেই অনুপস্থিত:
১. যে-কোনও ধরনের ভ্রান্তি
২. পরস্পরবিরোধিতা
৩. উদ্ভট বা আজগুবি কিছু
এই কথাগুলো অনুধাবন করতে পারলে কাফেরগুলোর সাথে তর্ক করার কাজটি সহজতম হয়ে পড়বে। ধরা যাক, কোনও বেতমিজ বেদ্বীন বললো, সে কোরানে পরস্পরবিরোধিতা খুঁজে পেয়েছে। শুনে আপনি তা হেসেই উড়িয়ে দেবেন। কারণ আপনি নিশ্চিত জানেন, কোরানে পরস্পরবিরোধিতা থাকতেই পারে না! কী দারুণ, তাই না?
তবে ঠাণ্ডামাথায় ও হাসিমুখে সব বুঝিয়ে দেয়ার পরেও নির্মগজ (নির্ঘিলুও বলা যেতে পারে) পাপাত্মাটি যদি নাছোড়বান্দার মতো তার ভ্রান্ত অবস্থানে অটল থাকে, নিচের তালিকা থেকে জুতসই যুক্তি বেছে নিয়ে প্রয়োগ করুন:
১. অনুবাদ যথাযথ হয়নি। মূল কোরানে আরবি ভাষায় ভিন্ন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, অতএব এটাকে পরস্পরবিরোধিতা বলা যাবে না।
২. কনটেক্সট উল্লেখ না করে সে কয়েকটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিলে সেগুলো পরস্পরবিরোধী হয় না।
৩. নির্জলা সত্য থেকে তার দৃষ্টি সরিয়ে রেখেছে শয়তান। এখন কেবল আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেই তার পক্ষে সত্যদর্শন সম্ভব।
৪. পরস্পরবিরোধিতা আছে বলে তার মনে হচ্ছে বটে, তবে প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের পরস্পরবিরোধিতা একেবারেই নেই।
৫. তার উদ্ধৃত আয়াতগুলো সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হবে যে, সেসব বস্তুত পরস্পরবিরোধী নয়।
৬. কোরানে কোনও পরস্পরবিরোধিতা যেহেতু নেই, তাই তার কথার কোনও ভিত্তি নেই এবং যুক্তি নেই তার বক্তব্যে।
৭. তার বর্ণিত পরস্পরবিরোধিতা আসলে তার স্বেচ্ছাচারী চিন্তাধারার ফসল। এই শব্দটি (প্রয়োজনীয় শব্দটি বেছে নিন) সেই যুগে ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতো।
এর পরে পাপিষ্ঠ আর কোনও যুক্তি খুঁজে পাবে না। এবং এর মাধ্যমে আপনি তার সামনে প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন যে, কোরানে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই আল্লাহপাকের মনের কথা, যা তিনি পাঠিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে।
(চলবে)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন