শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

নবীরে স্মরি


আজ ইসলামের যুদ্ধবাজ, কামুক নবীর জন্মদিন। অন্য অনেক ধর্মের মতোই এই নবীর প্রবর্তিত ধর্মও পৃথিবীকে কয়েকশো বছর পিছিয়ে দিয়েছে এবং এখনও যাবতীয় প্রগতি ও মুক্তচিন্তা প্রসারের প্রতিবন্ধক হিসাবে সদাবিরাজমান। সেই হিসেবে এটি আসলে শোকদিবস।

২০০১ সালের নাইন/ইলেভেনের সেই ঘটনার পর থেকে গত সাড়ে আট বছরে এই নবীর অনুসারীদের করা "শান্তিপূর্ণ" কীর্তির সংখ্যা পনেরো হাজারের কাছাকাছি (এখানে ক্লিক করে গত দু'মাসের হিসেব দেখুন এবং এই তালিকার নিচে পাওয়া যাবে পূর্ববর্তী বছরগুলোর হিসেব)। এবং কমপক্ষে শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনা জড়িত। গত জানুয়ারি মাসেই জঙ্গি মুসলিমদের হাতে নিহতের সংখ্যা ৬৮৩। সর্বমোট নিহতের সাম্প্রতিকতম সংখ্যা পেলাম না কোথাও খুঁজে, তবে নাইন/ইলেভেনের পরবর্তী ছয় বছরে ৬০ হাজার লোক হত্যা করেছে তারাএখানে দেখুন।

কী শান্তির ধর্ম! তাই না? কোরান-হাদিস না পড়েই অনেক মুসলমান দাবি করে থাকেন, ইসলামে আছে শুধু শান্তির কথা। তাই কি? কোরানের এই আয়াতগুলো কী বলে? 

আচ্ছা, "ভণ্ড" উচ্চারণ করলেই যেমন "পীর" শব্দটি মাথায় আসে, তেমনি এখন "টেররিস্ট" শব্দের আগে "ইসলামী" বিশেষণটি আপনা থেকেই আসে কেন? 

যাকগে। তারচে' ইসলামী ইতরামির গুটিকয়েক নিদর্শন দেখে আমরা নবীর জন্মের মহিমা অনুধাবন করার চেষ্টা করি বরং। বলে রাখি, অধিকাংশ ভিডিওর দৃশ্য তাকিয়ে দেখা সম্ভব নয়।


সোমালিয়ায় এক পুরুষকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা।



ইরানে ইসলামী শাসনের বর্বরতার ছোট্ট একটি নিদর্শন।



পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার আরেকটি ভিডিও। এটিও সোমালিয়াতে।



মহিলাদের বেত্রাঘাত ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা বিষয়ে শরিয়া আইনের বিশ্লেষণ।



জনসমক্ষে মহিলাকে চাবুক দিয়ে পেটানোর দৃশ্য। ঘটনা পাকিস্তানে।



দুই আফগানী মহিলাকে চাবুক দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে জনসমক্ষে।



ইরাকী তরুণীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার দৃশ্য। এটি অনার কিলিং



নারীজাতিকে মানুষ জ্ঞান করে না এরা!



পাঁচ মহিলাকে জীবন্ত কবর দেয়া হলো। এটিও অনার কিলিং।

ইরানে এক কিশোরীকে চাবুকাঘাত ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার ওপরে Execution of a teenage girl in Iran নামে বিবিস-র ডকুমেন্টারি দেখতে নিচের লিংকগুলোয় ক্লিক করুন।


ধর্মকারীতে এ-যাবত প্রকাশিত নবী সম্পর্কিত কার্টুন, ছবি, ভিডিও ও গান পাওয়া যাবে এখানে

শান্তির ধর্ম ইসলাম! বলেন আলহামদুলিল্লাহ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন