ধর্মকারীর আদি ও নিয়মিত পাঠক "খারাপ মানুষ" এই ব্লগে নাস্তিক্যবাদী বা ধর্মবিরোধী সিনেমাগুলোর রিভিউ নিয়মিত প্রকাশ করার প্রস্তাব করেছিলেন। খুবই মনঃপূত হয়েছিল সেটি আমার। আমি নিজে চলচ্চিত্রপ্রেমী নই খুব একটা, তাই তাঁকেই সেই কাজটি করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তিনি সানন্দ সম্মতি দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর পরীক্ষা বিষয়ক ঝামেলা চুকে গেলেই শুরু করে দেবেন। তাঁর সেই "দুঃসময়" এখনও কাটেনি বলেই ধারণা করতে পারি
তবে নাম প্রকাশে অনুৎসাহী এক পাঠক একটি রিভিউ লিখে পাঠিয়েছেন, সেটি দিয়েই যাত্রা শুরু হচ্ছে এই সিরিজের।
...
২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র "আগোরা" খ্রিষ্টাব্দ চার শতকে আলেকসান্দ্রিয়ায় একশ্বেরবাদী খ্রিস্টানদের ঈশ্বরের ইশারায় করা খুন, জখম, নারী নির্যাতনের দুর্লভ চিত্র। একশ চুয়াল্লিশ মিনিট সময় এমন ঘটনা বর্ণনার জন্য যথেষ্ট কম মনে হলেও পরিচালক Alejandro Amenabar কে তাঁর সুনিপুণ দক্ষতার জন্য দশ-এ সাড়ে আট দেওয়া যায় অনায়াসেই। চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী বর্ণিত হয়েছে বিখ্যাত গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ ও দার্শনিক হাইপেসিয়াকে ঘিরে। নির্ধার্মিক হাইপেসিয়া, ছাত্রদের টলেমি, প্লেটো, অ্যারিস্টোটলদের গবেষণা পড়াতেন, দিনরাত নিজে গবেষণা করতেন সৌরজগৎ নিয়ে। তখনকার দিনে পৃথিবীকে সবকিছুর কেন্দ্র এবং অন্যসকল গ্রহ, নক্ষত্র একে কেন্দ্র করে ঘুরছে মনে করা হলেও হাইপেসিয়া সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর ঘোরার পাশাপাশি অনুমান করেছিলেন আবর্তনের উপবৃত্তাকার কক্ষপথের ব্যাপারটিও।
এই হাইপেসিয়াকে তদানিন্তন ক্যাথলিক চার্চ উইচ বা ডাইনি বলে অভিহিত করে এবং পাথর ছুড়ে হত্যা করে। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে, খোদার বিচার প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্তে খ্রিষ্টানদের দ্বারা ধ্বংস হয় প্যাগানদের সকল গবেষণা-নথি। এই চলচ্চিত্রটি অবশ্য দেখনীয় এবং বলে লাভ নেই, ধার্মিকদের জন্য বুঝনীয়ও।
খ্রিষ্টানদের রক্তরঞ্জিত ইতিহাস দেখে মুসলমান দর্শকের আনন্দে আনন্দিত হবার কোনও কারণ নেই, কারণ ঠিক একই ভাবে রঞ্জিত তাদেরও ইতিহাস, একেশ্বরবাদী সকল ধর্মের ইতিহাস।
ডাউনলোড লিংক
২. র্যাপিড শেয়ার
৩. মেগাআপলোড
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন