আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ১৬ মে, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০১ (সম্প্রসারিত ভাবসহ)


ধর্মকারীর পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্যে দেয়া কোরানের আয়াতের ভাবসম্প্রসারণ হোমওয়ার্ক মাত্র চারজন আন্তরিকভাবে করেছেন। দু'জন, মনে হলো, সারাংশ লিখেছেন। 

আমি মোটামুটিভাবে হতাশ 

আর দু'-এক পর্ব চালাবো তবু। তবে পাঠকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সিরিজের অকালমৃত্যু তো অবধারিত।

হোমওয়ার্কের জন্য যে-আয়াতটি দেয়া হয়েছিল:
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।


এবারে পাঠককুলকৃত সম্প্রসারিত ভাব:


পাঠক "আয়াত পইড়া তব্দা":

কোরান সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই স্বল্প। আয়াতটা পড়ে ভীষণ অবাক লাগছে। এটা পবিত্র গ্রন্থের বাণী! স্ত্রী কি জড়পদার্থ যে তাকে শস্যক্ষেত্র বলা হচ্ছে? মনে হচ্ছে, কোনো ব্যাপারেই স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা সম্মতি-অসম্মতির মূল্য নেই। জমির মতো পড়ে থাকাটাই তার একমাত্র ভূমিকা। নারীদের জন্য কি ভীষণ অপমানজনক আয়াত! আমার তো মনে হয়, একদল নির্বোধ পুরুষ মিলে কোরান রচনা করেছে।


পাঠক "বকলম":

অতীব সত্য কথা। তাইতো শষ্যক্ষেত্র চাষের জন্য আল্লা পুরুষকে একটি লাংগলও জূড়ে দিয়েছেন। তাইতো দুনিয়ায় মুসলমানদের জন্মহার এত বেশি। 
আবার এমত ব্যাখ্যা ও আঙ্কি আছে যে, পতিত জমি ফেলে রাখা গুনাহর কাজ। আমি কৃষক হইতাম চাই। আমাকে শষ্যক্ষেত্র দাও হে প্রভূ!



বেশিরভাগ ভাবই সম্প্রসারিত হয়ে গেছে দেখে আরেকটু জুড়ে দিতে চাই। এই যে আইয়াত খানা, উহার আরেকখানা সম্পুরক প্রশ্ন ছিলো কোনো এক বান্দার, তাহা হইলো, 'যেইভাবে ইচ্ছা' বলিতে কি সডোমি ও হালাল ঘুষনা করা হইয়াছে? এই বেফারে ইছলামী স্খলারগন কিছু বলিতে অপারগ। 

ইহা ছাড়াও, শস্য ক্ষেত্রে 'ব্যাবহার' করিবার রূপক দেয়া হইলেও, সার প্রদান ও মালিকানা/ইজারা বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই। সুতরাং এই থেকে প্রমানিত হয় ইছলাম মোটেও একটি জীবন বিধান নয়, বড়জোড় অষ্টম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা বহি। 

অন্যদিকে 'শুধুমাত্র স্ত্রী শব্দটি ব্যবহার করায় আরো কনফিউশনের সৃষ্টি হইয়াছে। স্ত্রী ছাড়া যে আরো নারীগন মোছলেম পুরুষের 'ঈমান'এর অধীন, মানে দাসীগন, তাহাদের সহিত শস্যক্ষেত্র নাকি ফুটবল ক্ষেত্রবৎ ব্যাবহার করা হইবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয় নাই। 

তাই এই বকরি আয়াতের সংশৌধনীর জন্য উপরে ফেরৎ পাঠানো হৌক। 

হিক্ক্..



"আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় নাস্তিক ভাইয়েরা।
আল্‌হামদুলিল্লাহ, খুব চমৎকার একটি আয়াত উদ্বৃত করেছেন।
সোবাহানআল্লাহ্‌।

আসলে রাব্বুলআলামীন এই পবিত্র আয়াতটি দিয়ে সমগ্র কামসূত্র পুস্তকখানা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছেন। খুব খেয়াল করলে দেখতে পাবেন আরবী আয়াতটিতে বর্ণবিন্যাসে মোট ৪৮টি ভাঁজ রয়েছে। পিক্টোগ্রাফিক্যাল এনালাইসিসে দেখা যায় এগুলো দিয়ে মহান রাব্বুলআলামীন কামসূত্রের ৪৮টি আসনের সবগুলোই ইশারা করেছেন। শারিয়া পন্থায় এসমস্ত আসনে রতিক্রিয়া করিলে অশেষ নেকি হাসিল হওয়ার কথা। মোদ্দা কথা আল্লারসূলের নাম নিয়া যেমনে ইচ্ছা লাগাইবেন।

( মিরাকল কুরআনের এই মহান ফতোয়াটি এখনও মোল্লারা আবিস্কার করেনাই। ইহা এই অধমের আবিস্কার এবং কপিরাইটকৃত। খুব শীঘ্রই হযরত জোকার লানায়েক (রঃ) সহ মার্কেটিংয়ে নামিব। দোয়া রাইখেন।)

মাসসালাম।"


সারাংশ রচনাকারী দুই পাপী (ইয়া আল্লাহ, ইহাদিগের হেদায়েত করো এবং সৎ পথে আসার তৌফিক দান করো):

"shuvrosunny":

বিয়া করতে মঞ্চায়...
আহারে ক্যান যে আগে থেইকাই বিয়া করলাম না...তাইলে এতদিনে কতগুলা জমি হইয়া যাইত... :( :( :(


"KHARAP_MANUSH":

এখানে ''স্ত্রীরা '' শব্দটা কিন্তু বহু বচন !! ;-)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন