বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০১০

খ্রিষ্টধর্মের ধৃষ্টতার দৃষ্টান্ত - ০২


১.
ব্রাজিলে কর্মরত পোলিশ ধর্মযাজককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর বাড়িকে শিশুকামী "জেলখানা" বানিয়ে ফেলেছিলেন।

২. 
ধর্ম মানেই বিজ্ঞান ও উন্নতির প্রতিবন্ধক। যুগে যুগে ধর্মের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন অজস্র বিজ্ঞানী। তাঁদেরই একজনের নাম নিকোলাস কোপার্নিকাস। মানবচিন্তাজগতে বিপ্লব ঘটানো পোলিশ এই মহাকাশবিদই সর্বপ্রথম দাবি করেন, পৃথিবী বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেন্দ্র নয়। তাঁর এই দাবি পৃথিবীই-বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের-কেন্দ্র বলে বাইবেলে উল্লেখিত বাণীকে অস্বীকার করার স্পর্ধা দেখিয়েছিল বলে তাঁকে উৎপথগামী (heretic) ঘোষণা করেছিল ক্যাথলিক চার্চ। কোপার্নিকাস কিন্তু চার্চেরই কর্মচারী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর পেরিয়ে গেছে ৫০০ বছর। গত ২২ মে তাঁকে চার্চীয় মর্যাদায় পুনর্দাফন করে চার্চ অনুশোচনা প্রকাশ করলো তার কৃত অজস্র কুকর্মের একটির। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোনও কোনও এলাকায় প্রচলিত একটি বাক্য মনে পড়ে গেল: সেই কুত্তা সেই গু-ই খাইলো, খালি একটু মাখাইয়া খাইলো 

৩.
৫ বছর বয়সী শিশুর সঙ্গে যৌনকর্ম করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন ৭২ বছর বয়সী বাইবেল শিক্ষক। তিনি ব্যাপটিস্ট বাইবেল চার্চে তরুণদের বাইবেল পড়ান।

৪. 
সহকর্মী নাস্তিক বলে তাঁর শরীরে "পবিত্র পানি" (এইটা যে কী চিজ, বুজতারি নাই কোনওদিনও) ঢেলে দিয়েছেন দুই শিক্ষক। এখন তাদের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে গেছে। আমি নির্ধর্মী বলে আমাকে পুণ্যবান বানানোর লক্ষ্যে আমার গায়ে কোনও মুসলমান যমযমের পবিত্র পানি ঢেলে দিলে আমি তার গায়ে ভোদকা বা বিয়ার ঢালবো অথবা শুয়োরের মাংস ছুঁইয়ে দেবো তার শরীরে 
(খবরটির লিংক পাঠিয়েছেন দিগন্ত সরকার)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন