রবিবার, ৯ মে, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০১


কোরানের অনেক আয়াতই একেকজন একেকরকমভাবে বোঝে। ভীষণ অবাক লাগে আমার। নিউটনের সূত্রের একাধিক অর্থ বের করা তো সম্ভব নয়। সংবিধানে লেখা আইনগুলোও কদাচিৎ দ্বিতীয় অর্থ বহন করে। তাহলে মানুষের কথা ভেবে আল্লাহর রচিত কোরান সর্বজনবোধগম্য নয় কেন? সর্বক্ষমতাবান হলেও, মনে হয়, স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে নিজের ভাবপ্রকাশের ক্ষমতা আল্লাহর নেই 

এই সিরিজের প্রতিটি পর্বে কোরান থেকে একটি করে আয়াত উল্লেখ করা হবে এবং, হে পাঠক, আপনি সেটির অর্থ যেভাবে অনুধাবন করেন, উপলব্ধি করেন, তা লিখে পাঠান। স্কুলবেলায় "ভাব সম্প্রসারণ" বা "প্রসঙ্গ উল্লেখপূর্বক ব্যাখা" করেছি আমরা সকলেই। অনেকটা সে-ধাঁচেরই "হোমওয়ার্ক" দেয়া হচ্ছে পাঠকদেরকে। শর্ত একটিই: লেখা হতে হবে সরস, ব্যঙ্গাত্মক বা কটাক্ষমূলক এবং সবোর্চ্চ একশো শব্দের।
কয়েকদিন পরে পাঠকদের ইনপুটসহ আলাদা একটি পোস্ট দেয়া হবে। আমি কিন্তু অপেক্ষায় 

আরেকটি অনুরোধ, কৌতূহলোদ্দীপক কোনও আয়াত জানা থাকলে বা চোখে পড়লে তা সুরা ও আয়াতের নাম উল্লেখসাপেক্ষে অনতিবিলম্বে আমাকে জানাইতে বাধ্য থাকিবেন এবং মনে রাখিবেন, নিশ্চয়ই আমাদিগের জন্য রহিয়াছে অনন্ত নরকযন্ত্রণাভোগ 

শিরোনামে ফানি বললেও কোরানের অজস্র আয়াত আসলে যতোটা না ফানি, তার চেয়ে বেশি মর্মান্তিক, নির্দয়, অমানবিক, অশালীন, অরুচিকর, অসংলগ্ন এবং প্রায়শই পরস্পরবিরোধিতা আকীর্ণ। এছাড়া পদে পদে আল্লাহ নিজের প্রশংসার কথা শুনিতে ব্যাকুল তো বটেই, তদুপরি ক্ষণে ক্ষণে জানান দিতে ভোলেন না, তিনি কতো মহান, সর্বজ্ঞ, বিজ্ঞ, সর্বব্যাপী, দয়ালু, ক্ষমাশীল, পরাক্রমশালী, ধৈর্যশীল, সর্বশ্রবণকারী, করুণাময়, সর্বশক্তিমান ও ইত্যাকার সব আত্মম্ভরী বিশেষণের অধিকারী। 

এখন হোমওয়ার্ক:

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন