আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৩১ মে, ২০১০

তোমার স্বর্গে ভাগ বসাবো না

লিখেছেন মুহিতুর রহমান

UNIVERSITY OF LIBERAL ARTS BANGLADESH
ETE (9th Term)


- ইসলামের কোন দিকটা নিয়ে তোমার দ্বিধা আছে?

কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই এ ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ে অবাক হলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “কেন?”
- কারণ তোমাকে আমার নাস্তিক মনে হয়।
- কী আসে যায়? আমার দ্বিধা দূর করতে চাও? কী লাভ? মানে তোমার স্বার্থ কোথায়?
- ইসলাম সম্পর্কে সবাইকে জানানো সব মুসলিমের দায়িত্ব।
- দায়িত্ব পালন করে স্বর্গ পাবা?
- পাবো কি না, জানি না। চেষ্টা তো করতে হবে।
- স্বর্গের লোভে দায়িত্ব পালন করছো? লোভ করাই তো পাপ।
- স্বর্গের পাবার জন্য কাজ করা কি লোভ করা?
- লোভ না? আমি ঠিক জানি না। তাহলে ক্লাসিফাই করো, এই লোভ পাপ, এই লোভ পাপ না...
- শুধু শুধু প্যাঁচাচ্ছো কেন তুমি? যেটা জিজ্ঞেস করছি, সেটা বলো।
- আমি নাস্তিক না। তোমার ধারণা ভুল। প্রাণের সৃষ্টি, নিখুঁত ডিএনএ স্ট্রাকচার, মহাবিশ্বের ফ্ললেস পিরিওডিক রুটিন - এগুলো কাকতালীয় মনে হয় না। কোনো বিশাল শক্তি ছাড়া এগুলো সম্ভব হবার কথা না। তাছাড়া ইশ্বরে বিশ্বাস না করলে আমি বড় কিছু পাপ করতাম। আমি এরকম কিছু এখনো করিনি।
তাহলে সেই বিশাল শক্তি যেভাবে চলতে বলেছে সেভাবে চলাই তো বুদ্ধিমানের কাজ, তাই না?
- হ্যা অবশ্যই। কিন্তু তোমরা যা করছো সেটাই যে ঐ শক্তি করতে বলেছে এমন কেন মনে করছো?
- কুরআন সম্পর্কে তোমার কেমন ধারনা?

বুঝলাম আমাকে ধার্মিক বানিয়ে স্বর্গ নিশ্চিত করার জন্য বন্ধুটি আটঘাট বেঁধেই নেমেছে। বললাম

- ধারনা খারাপ না। মোটামুটি ভালই। একসময় বেশ ঘাঁটাঘাটি করেছি। ঐ জিনিস যদি কোন মানুষ লিখে থাকে তাহলে সে পৃথিবীর সকল সাহিত্যিককে হার মানানোর মত প্রতিভাবান। এতো প্রতিভাবান একজন কেন শুধু শুধু মানুষকে বোকা বানাবে?
- তোমার ধারনা ঐটা মানুষের লিখা?
- ঠিক তা না। আমি প্রোগ্রামার, কিন্তু লজিক পছন্দ করলেও ভালোবাসি মিরাকল। একটা বিশাল শক্তি, মানুষের স্রষ্টা, তার প্রিয় একজন মানুষের মাধ্যমে সবাইকে কিছু ইন্সট্রাকশন পাঠাচ্ছেন... আসলেই থ্রিলিং।
- তোমার কথা পরিষ্কার না।
- কারন আমি নিজেও পরিষ্কার না। হাহ হা হা...। শোন একটা সিদ্ধান্তে আসা এতো সহজ না। আমি খুঁযে যাচ্ছি। খুঁজতে তো মানা নাই নাকি?
- নামাজ পড়োনা কেন?

এ পর্যায়ে গেয়ে উঠলাম,
- অবুঝ নামাজ পড়লে ভোলা... পাবে আঘাত মন...
- লালন বাউল ছিলো। বাউল ধর্ম একটা বাজে জিনিস।
- লালন বাউল ধর্মের ফলোয়ার ছিলেন না। আমরা লালন নিয়ে কথা না বাড়াই।
- আচ্ছা লালন বাদ। আমার কথার উত্তর দাও।
- নামাজ পড়িনা কথাটা ঠিক না। নিয়মিত পড়িনা। নামাজ হল ইশ্বর আর ইন্ডিভিজুয়ালের ব্যক্তিগত কমিউনিকেশন মিডিয়াম। এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে তোমার ঘাটাঁঘাটি না করলেও চলবে।
- এই ডেফিনিশন তোমাকে কে দিলো?
- তোমার ডেফিনিশন কি?
- তুমি প্রশ্নের অ্যাগেইন্সটে সমসময় পালটা প্রশ্ন কেন করো?
- আমি আমার মতো ভাবি। নিজের পথের পথিক হবি... জ্ঞান নিবি ওদের থেকে... ওদের পথের পথিক হলে পাবি না তুই তোকে...। আমি নিজেকে হারাতে চাই না।
- নামাজ পড়া মানে কি নিজেকে হারানো?
- না বুঝে বিভিন্ন ভঙ্গিতে কিছু মন্ত্র আওড়ানো নিজেকে হারানো না তো কি?
- তোমাকে বুঝে পড়তে কে মানা করেছে?
- আচ্ছা বুঝেই পড়লাম। কেন পড়বো? ঐ ব্যাটার কিসের অভাব?
- ঐ বেটার কিছুর অভাব নাই। কিন্তু আমাদের জন্য যা ভালো উনি সেটাই করতে বলেছেন। তাই আমাদের সেভাবেই করা উচিৎ না?
- প্রথমত, ঐ বেটা আসলে আমাদের কি করতে বলেছেন সেটাই আমি বুঝিনা। তোমরা জ্ঞানীরা নিজেরাই কোরানের অর্থ নিয়ে দ্বিধায় থাকো। আর আমি তো ঢেউ টিন। দ্বিতীয়ত, তোমরা বলো যে নামাজ পড়লে আল্লাহর সাথে একটা যোগাযোগ তৈরী হয়। আমি সেরকম কিছু ফিল করি না। সম্ভবত ঐ বেটা আমাকে ঠিক পছন্দ করে না। তুমি ফিল করলে তুমি করো না।
- কিন্তু এইটা তো আর জীবনের শেষ না, আরেকটা জীবন আছে না?
- হাহ হা হা... ঐ বেটা আমাকে স্বর্গে দিবে না বলছো? আচ্ছা যাও ভাগ বসাবো না তোমার স্বর্গে।
( এ পর্যায়ে কারেন্ট চলে গেলো। আমাকে জব্দ করতে ঐ বেটাই করলো কিনা...)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন