মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০১০

ইসলামী ইতরামি: কবে হবে অবসান?


১.
অন্য ধর্মের অনুসারীদের ছলে-বলে-কৌশলে, ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে মুসলমান বানানো বিশাল ছওয়াবের কাজ (খুব সম্ভব, বেহেশতের একটা প্লট মঞ্জুর হয়ে যায়)। কিন্তু আপনি ইসলাম ত্যাগ করবেন? সেটা চলবে না। এখানে সরাসরি হুমকি। মৃত্যুর। মালদ্বীপে এই প্রথমবারের মতো কেউ ইসলাম ধর্মকে অস্বীকার করলেন প্রকাশ্যে এবং শান্তিকামী ক্ষিপ্ত মুসলিমদের আক্রমণের সম্মুখীন হলেন। ঘটনা ঘটেছিল "জোকার" নায়েকের বক্তৃতার প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিদ্রোহী মুসলমানটি রক্ষা পান। তবে তা সাময়িক বলে মনে হচ্ছে। অনুশোচনা প্রকাশ না করলে এখন কী অপেক্ষা করছে তাঁর জন্যে, এখানে  বা এখানে পড়ুন।

২. 
বড়োই শঙ্কায় আছি, না জানি ইসলামের শান্তিপ্রিয়তা আসন্ন বিশ্বকাপকেও স্পর্শ করে! আশঙ্কা একেবারে অমূলক, সেটাও মনে হয় না। সাম্প্রতিকতম সংবাদ। আর এটি কয়েকদিন আগের। চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।

৩. 
এই বিশ্বকাপে যে-সব মুসলিম ইংল্যান্ড দলকে সমর্থন করবেন, তারা আসলে "মোশরেক ও মুনাফেক"। বলেছেন লেবাননবাসী জঙ্গি মুসলিম নেতা Omar Bakri Mohammed। এছাড়া আলজেরিয়া ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করবে না বলে মুসলিমদের উচিত হবে না সেই দলের সমর্থন দেয়া। বিস্তারিত এখানে।

৪. 
কোরানের অনুবাদ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকের অনুবাদ সম্পূর্ণ সঠিক নয় বা পক্ষপাতিত্বমূলক বলে দাবি করে থাকে ইসলামবিদেরা। তবে একটি কথা তারা স্পষ্টতই জানে, সার্বিক আরবি জ্ঞানসম্পন্ন পোক্ত মুসলিম হয়েও কোরানের উগ্র ও জঙ্গি অংশগুলোর (সেগুলোর সংখ্যা একেবার নগণ্য নয়) অনুবাদ কোমল করা সম্ভব নয়। জার্মান ভাষায় কোরান অনুবাদ করতে গিয়ে এই সমস্যায় পড়েছেন ইসলামী পণ্ডিত Hartmut Bobzin। তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, "কোরানে এমন কিছু অংশ আছে, যেগুলো জার্মান ভাষায় প্রকাশ করতে সত্যিই আমার মন সরছে না, কিন্তু অনুবাদক হিসেবে সে সব গোপন রাখতে আমি পারি না। নারী ও ব্যভিচারীদের প্রহারের কথা অনুবাদ করতে কারোরই ভালো লাগার কথা নয়।"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন