মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০১০

ইসলাম: ইতরামির ইতিহাসপ্রসূত ইমেজ বদলের ইস্তাহার


কিছু কিছু মুসলমান হয়তো অনুধাবন করতে পেরেছে যে, তাদের মাত্রাহীন ইতরামির ফলে ইসলাম এখন বিশ্বে একটি ঘৃণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ব্রিটেনের সাম্প্রতিক একটি জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৫৮ জন ব্রিটিশের কাছে ইসলাম চরমপন্থার অন্য একটি নাম, শতকরা ৫০ জন মনে করে ইসলাম মানেই সন্ত্রাসবাদ। এছাড়া শতকরা ৬৯ জন মনে করে, নারীদের ওপর দমননীতির প্রয়োগকে উৎসাহিত করে ইসলাম।

আমেরিকাতেও ইসলামের ইমেজ নেতিবাচক। শতকরা ৫০ জন ইসলামবিরোধী মনোভাব পোষণ করে এবং এদের মধ্যে শতকরা ২৯ জনের ভেতরে এই মনোভাবটি অত্যন্ত প্রবল।

তো ব্রিটেনের Exploring Islam Foundation উদ্যোগ নিয়েছে অমুসলিমদের চোখে ইসলামের একটি মডারেট ও গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে। এবং শুরু হয়েছে Inspired by Muhammad নামের প্রচারণা। কিছু নমুনা দেখুন:


সামাজিক ন্যায়নীতির কথা নবীর মুখে? যুদ্ধ আর হত্যা ছিলো যার হবি?


নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রাণীতে পরিণত করা নবী বিশ্বাস করতেন নারীর অধিকারে?


প্রায় দেড় হাজার বছর আগের নিরক্ষর, মূর্খ নবী পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন?

আরও মজা দেখতে হলে এই সাইটে গিয়ে ঢুঁ মেরে আসুন। ওখানে বলা হচ্ছে, পশুকল্যাণী নবীর কথা! পদে পদে জীবহত্যা করে ছোটখাটো উৎসব করার রীতি যে-ধর্মে, পশু-সদকা ছাড়াও কুরবানি নামের পাশবিক ঐতিহ্য যে-ধর্ম লালন করে, সেই ধর্মের প্রবর্তক পশুকল্যাণের কথা চিন্তা করতেন? যাই কই! সাইটে আরও বলা হচ্ছে, মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মতো ইসলামী চরিত্রবিরোধী ব্যাপারেও নাকি নবীর অগাধ বিশ্বাস ছিলো! 

মুসলমানেরা বুঝলো না, এই ভুয়া বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় অন্যদের ধারণা বিন্দুমাত্র বদলাবে না। ইসলামের ইমেজ ইতিবাচক করতে হলে মুসলমানদের আচার-ব্যবহার হতে হবে সভ্য, আধুনিক, সহনশীল ও উদারপন্থী (কোনওটাই ইসলামের সাথে যায় না যদিও)। নইলে এইসব ফাঁপা ফালতু প্রচারণা অন্যদের হাসির উদ্রেকই করবে শুধু।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন