আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০১০

মুর্খের জ্ঞান!


পোস্টটি লিখেছেন আসিফ মহিউদ্দীন

বর্তমান পৃথিবী জুড়িয়া আহাম্মকের অভাব নাই।

যেখানেই যাই দেখি মূর্খেরা ছেয়ে আছে। এই সব মূর্খেরা কিছুই জানে না-কিছুই শিখিতে চায় না, বুঝিতে চায় না।

তারা জানে শুধু প্রশ্ন করতে,শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন। তারা কিছুই বিশ্বাস করতে চায় না, সব জায়গাতে গিয়ে এক ধরনের ভেজাল লাগায়। নরকের নিম্নতম স্থানে তাদের জায়গা হোক, তাদের ওপর দেবতাদের/এক ঈশ্বরের লানত বর্ষিত হোক।

আসুন দেখি কিছু জ্ঞানীর বচন আর কিছু মূর্খের প্রশ্ন।

জ্ঞানীর বচন:
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর!!
জ্ঞানীরা বিশ্বাস করে, আর মূর্খেরা প্রশ্ন করে।
জ্ঞানীরা জানে, আর মূর্খেরা আরো জানতে চায়।

মূর্খের প্রশ্ন: জনাব, সন্দেহ জ্ঞানের জন্মদাতা।
প্রাচীনকালে/মধ্যযুগে অল্প জ্ঞানের কারনে মানুষ বিভিন্ন জিনিস বিশ্বাস করত।
বিদ্যুৎ চমকালে বিশ্বাস করত দেবতারা রাগ করেছেন, বন্যা হলে বিশ্বাস করত অপদেবতা নাখোশ হয়েছেন। তাদের কেউ গাছপালার পূজা করত, কেউ দেবতাদের কাছে প্রার্থণা করত, কেউ এক ঈশ্বরের আরাধনা করত।
কিন্তু কিছু মানুষ সব সময়ই সন্দেহ করত। তারা এইসব বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতো। তারা বলত, আসলেই কি ঝড় দেবতাদের/ এক ঈশ্বরের কাজ?
আসলেই কি বিদ্যুৎ চমকানো দেবতাদের/ এক ঈশ্বরের রাগ?
তারা সন্দেহ করত,তারা এই বিষয় গুলো নিয়ে ভাবত, চিন্তা করত।
তারা যখন প্রশ্ন করত, জ্ঞানীরা তাদের অনেক কিছু দিয়ে বুঝাতো।
পুরোনো বইপত্রে কি লেখা আছে, আদিম কালের/ মধ্য যুগের মানুষেরা কি বলে গেছেন।
কিন্তু এই সন্দেহবাদীদের মনে সেইকথা গুলো আরও বেশি সন্দেহের জন্ম দিত।
আস্তে আস্তে এই সব সন্দেহবাদীরা দর্শন নামক একটা বিষয়ের জন্ম দিল, বিজ্ঞানের সুচনা করল।
এখন বলেন জনাব,অবিশ্বাস আমাদের জন্যে দর্শন দিয়েছে, বিজ্ঞান দিয়েছে, সভ্যতা দিয়েছে। বিশ্বাস আজ পর্যন্ত কি দিয়েছে?

জ্ঞানীর বচন: বিশ্বাস তোমাকে দিয়েছে শান্তি, সন্দেহ দেবে যন্ত্রণা।

মূর্খের প্রশ্ন: শান্তি দিয়েছে? তবে কেন বিশ্বাসী সমাজ গুলোতে এত হানা হানি, কেন একে অন্যের বিশ্বাসের ওপর প্রাধান্য বিস্তারের এত অপচেষ্টা।
কতগুলো যুদ্ধ আমরা দেখেছি? তার মধ্যে কতগুলো এই বিশ্বাস কে নিয়ে একটু হিসাব করুন?
প্রাচীন মিশরের যুদ্ধ, প্রাচীন ভারত থেকে শুরু করে জিহাদ, ক্রুসেড, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ; আর কত গুলোর বর্ননা দেবো? এ পর্যন্ত যতগুলো যুদ্ধ পৃথিবী দেখেছে, তার সিংহভাগই কি এই বিশ্বাস কে কেন্দ্র করে নয়?
অন্যদিকে সন্দেহ দিয়েছে বিজ্ঞান, সন্দেহ দিয়েছে সভ্যতা,দিয়েছে রাস্ট্র কাঠামো,দিয়েছে আইন, দিয়েছে মানবতাবোধ, বলেছে সকল মানুষ সমানঃ ধর্ম,বর্ণ,লিঙ্গ। কোন কিছুই একজন মানুষকে বড় করে না, বড় করে জ্ঞান।
আর সন্দেহ যন্ত্রণা দিয়েছে?
যে ব্যাক্তি কৃষিকাজ করে,সারা দিন কাজ করে ঘরে ফিরে স্ত্রীকে পেটায়, শেষে নেশা করে পেটের ও দেহের ক্ষুধা মিটিয়ে ঘুমিয়ে পরে, সেই বোধহয় পৃথিবীর সব চাইতে সুখী। সে শুধু কৃষিকাজ জানে, আর কিছুর ধার সে ধারে না। যন্ত্রণা কাকে বলে সে জানে না, মনের আক বাক সে বোঝে না। একটা দুঃখের কবিতা পরে মানুষ কেন কেঁদে ফেলে, একটা নতুন আবিস্কারে কেন মানুষ হেসে ওঠে সে বোঝে না। মনের গহীন কোনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট কি তা দিয়ে তার কোন কাজ নেই।
কুয়োতে বসে থাকা ব্যাঙ হয়ে জন্মালে হয়ত আরও বেশি সুখে থাকা যেতো!!
তাই নয় কি জনাব??

জ্ঞানীর বচন: শোন বৎস, এতো ত্যানা প্যাচাইয়োনা। আল্লাহ আছেন সেইটাই মুল কথা। আল্লাহর অস্তিত্বের পক্ষে অনেক যুক্তি প্রমাণ ও আছে। তো এইসব মূর্খের মত কথা বলা বন্ধ করিয়া আল্লাহর পথে আসো, জ্ঞানের পথে আসো।

মূর্খের প্রশ্ন: আল্লাহ আছে প্রমাণ কি?

জ্ঞানীর বচন: কোরআনের আয়াতে আয়াতে আল্লাহর কথা বলা হয়েছে। সুরা এখলাসে পরিষ্কার বলা হয়েছে: তুমি বলো- তিনি আল্লাহ; এক ও অদ্বিতীয় (১২২:১)।

মূর্খের প্রশ্ন: কোরআন-ই যে সঠিক তার প্রমাণ কি?

জ্ঞানীর বচন: কোরআন সম্পর্কে কোনরূপ সন্দেহ নেই, সুরা বাকারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে: এই সেই কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই (০২ : ০২)।

মূর্খের প্রশ্ন: কিন্তু যে কেউ তো একটা গ্রন্থ লিখে সেখানে দাবী করতে পারে- এটাতে কোন সন্দেহ নেই।

জ্ঞানীর বচন: হ্যা সেটা পারে, কিন্তু কোরআন তো মানুষ লিখেনি।

মূর্খের প্রশ্ন: কে লিখেছে?

জ্ঞানীর বচন: আল্লাহ।

মূর্খের প্রশ্ন: প্রমাণ?

জ্ঞানীর বচন: এটাও কোরআনেই পাবে। সুরা ইউনুস দেখুন: এই কোরআন আল্লাহ্ ছাড়া অপর কারও রচনা নয় (১০ : ৩৭)।

মূর্খের প্রশ্ন: খেকয……। দু:খিত জনাব,মুখ ফস্কে হাসি বের হয়ে গেছে…। তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন ক এর সাক্ষী খ, আর খ এর সাক্ষী ক? তাইতো? আর ক খ এর সাক্ষী ক খ? মাশাল্লাহ, কি চমৎকার জ্ঞান আপনার জনাব।

জ্ঞানী: এ আর এমন কি, সবই তার কুদরত, আমি তো উছিলা মাত্র।

(মুর্খ মনে মনে মুচকি হাসে। তার আজকে অশেষ জ্ঞান হল, বুঝতে পারল আল্লাহর প্রমান হচ্ছে কোরআন আর কোরআনের প্রমান হচ্ছে আল্লাহ। এ এক অসাধারন যুক্তি এবং অলৌকিক প্রমানতত্বই বটে!)

সম্পূর্ণ রচনাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন