মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০১০

ইসলামী ইতরামি: আরও এক ডজন


১.
সারারাত ধরে পার্টি করার অপরাধে কয়েকজন পুরুষ এবং তিনটি মেয়েকে অনির্দিষ্ট সংখ্যার বেত্রাঘাত ও দু'বছরের জেলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২. 
ইরানের পুরুষেরা তাদের রিপু দমনের ব্যর্থতা বা অক্ষমতার কারণে নারীকে বস্তাবন্দী করে ঈমান পোক্ত রাখতে চায়।

৩.
জার্মানির হ্যানোভারে এক স্ট্রিট ফেস্টিভালের সময় মেগাফোনে ইহুদিবিদ্বেষমূলক কটুকথা বলতে বলতে ইহুদি নর্তক দলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে আরব তরুণেরা। একজন আহত হয় এতে।

৪.
"বুলশিট" নামের টিভি-অনুষ্ঠানে চাঁছা-ছোলা ভাষায় নানাবিধ ভুয়া বিশ্বাসের ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করে খ্যাতি অর্জনকারী পেন জিলেট কোনও ধর্মকে ছেড়ে কথা না বললেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করবেন না বলেছেন। না, ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে নয়, মৃত্যুভীতির কারণে। তিনি বলেছেন, তাঁর পরিবার আছে।

৫.
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে মস্তিষ্কবিচ্ছিন্ন এগারোটি লাশ পাওয়া গেছে। কইঞ্চেন দেহি, কার কাজ? অবশ্যই তালিবানের। সেই লোকগুলোর অপরাধ ছিলো তারা ছিলো আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিয়া মুসলমান এবং শিয়া মুসলমানদের একটি গোত্র হাজারা-র প্রতিনিধি। মুসলমানদের ভেতরে ভ্রাতৃত্বের আরও একটি নমুনা।

৬.
প্যারিসবাসী কয়েক মুসলিম রত্ন ৯/১১ স্টাইলে হেলিকপ্টারে চেপে আইফেল টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ সময়মতো খবর পেয়ে সেটির বাস্তবায়ন রোধ করতে সমর্থ হয়।


৭.
অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে জেহাদের পরিকল্পনায় ছেদ পড়লো কি? অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার জন্যে ঝুঁকি  হিসেবে গণ্য হওয়ার কারণে মুসলিম নেতা Sheikh Mansour Leghaei-কে ঘাড় ধরে দেশছাড়া করলো সরকার। ১৯৯৬ সালে সিডনি এয়ারপোর্টে তাঁর কাছে একটি নোটবই পাওয়া যায়, যা ছিলো মূলত infiltration, deception tactics, martyrdom and the euphoria of fighting a jihad outside one's borders বিষয়ক। একটি অংশ ছিলো এরকম: The enemies of Islam are to be categorised under three headings: 1, the infidels who do not accept the Koran as the Book of Heaven. 2, the oppressive and the unjust and whoever takes up arms against the Prophet. 3, heathens living in the Islamic countries who have broken the agreement to pay tribute to the Muslims.

৮.
হালাল বিয়ার যেহেতু আছে, হালাল সেক্স টয়ও আছে, তাহলে হালাল দেহব্যবসালয় হতে সমস্যা কোথায়? এবারে সেটাই শুরু হলো মনে হচ্ছে।

মুতাহ নামে পরিচিত সাময়িক বিবাহের ঐতিহ্যের আড়ালে দেহব্যবসার প্রসার ঘটাতে দেহব্যবসালয়গুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ধর্ষণ ও ইরানী যুবকদের যৌনঅবদমনপ্রসূত সমস্যা দূরীকরণে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এখন থেকে যে কোনও ইরানী বা বিদেশী নির্দিষ্ট সেই ভবনগুলোতে গিয়ে কোনও মেয়ের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যদি সেই মেয়ে সাময়িক বিবাহে সম্মতি দেয়।
(এই খবরের লিংক পাঠিয়েছেন শুভ্র)

৯.
ইসলাম পরম শান্তির ধর্ম। তাতে জোর-জবরদস্তির অবকাশ নেই। আর তাই পাকিস্তানের পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক খ্রিষ্টান অধ্যাপক মুসলমান হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জোর-জবরদস্তি করলে শান্তিপ্রিয় মুসলমান ছাত্ররা তাকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রহার করে। ওদিকে পাঞ্জাবে অষ্টম শ্রেণীর তিন খ্রিষ্টান স্কুলবালককে স্কুলত্যাগ করতে বাধ্য না করে উপায় ছিলো না স্কুল-কর্তৃপক্ষের। তাদের অপরাধ, তারা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে না চেয়ে জোর-জবরদস্তি করছিল।

১০.
ভিন্নধর্মীকে জুলুম করে ইসলামের পথে নিয়ে আসা যায়েজ, এবং তেমনি যায়েজ কোনও মুসলমান ধর্মান্তরিত হলে তাকে হত্যা করা। স্বয়ং নবীই বলে গেছে এই কথা
আফগানিস্তানের ঘটনা দেখুন:


১১. 
শান্তির ধর্ম ইসলামের উপাসনালয় মসজিদে শান্তিকামী কিছু মুসলিম শান্তিপূর্ণ বোমা বানানোর সময় তা বিস্ফোরিত হলে শান্তিবাদী আট আরবীয়, পাঁচ পাকিস্তানী এবং দুই আফগানীকে আল্লাহ নিজের কাছে টেনে নেন। তবে তাদের ভাগে ৭২টি করে কুমারী জুটবে কি না, জানা যায়নি।  

১২. 
খ্রিষ্টান ধর্মকে অপমান করার লক্ষ্যে এক মুসলিম জুটি (ছেলে এবং মেয়ে) চার্চের ভেতরে যৌনসঙ্গম করার সময় ধরা পড়ে এবং বিচারে তাদের জেল হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন