▼
শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০১০
প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ০৯
ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা নয়শো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন
প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।
১. গাঁজাখুরি গল্পের প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া (আমার খুউব-খুউব প্রিয় এক ভিডিও)
২. আমার হিজাব-ফেটিশ – ০১ (কার্টুন, ছবি)
৩. বড়দিনে বড়ো "দ্বীনবানের" বড়ো দীন ভাবনা (ক্রিসমাসে কৌতুক-ভাবনা)
৪. খোদার খোমাখাতা (কার্টুন)
৫. সৃষ্ট নতুন দৃষ্টিকোণ (আকর্ষণীয় ভিডিও)
আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।
সরবরাহকৃত বরাহযুক্ত সিগারেট
শুয়োরের মাংস বিষয়ে মুসলমান জাতির শুচিবাইগ্রস্ততা আমি সকৌতুকে উপভোগ করি। এবং করুণাও হয় তাদের জন্যে এই ভেবে যে, এতো চমৎকার মাংস আস্বাদন করার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত
সাম্প্রতিক একটা খবর শুনুন। ইরানী সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, চোরা পথে ইরানে আসা সিগারেটগুলো শুয়োরের হিমোগ্লোবিন এবং অনির্দিষ্ট এক নিউক্লিয়ার পদার্থ দিয়ে কলুষিত করা। তিনি দাবি করেছেন, আমেরিকার বাইরে সিগারেট বিক্রেতা কম্পানি ফিলিপ মরিস, যা ইহুদিবাদী কর্তৃক পরিচালিত, সজ্ঞানে এই জাতীয় দুষিত সিগারেট রপ্তানি করে থাকে
ধর্মপ্রচার-পচানি
দুয়ার থেকে দুয়ারান্তরে ঘুরে ধর্মপ্রচারের পদ্ধতিটি (তাবলিগ টাইপ) ব্যঙ্গ করছেন ব্রিটিশ কমেডি ডুয়েট Mitchell and Webb। স্রেফ হাহাপগে।
ধর্মের কুনৈতিক শিক্ষা
সমস্ত ধর্মই দাবি করে থাকে, একমাত্র তারাই নৈতিকতার উদ্ভাবক, ধারক, বাহক, প্রচারক, রক্ষক...। এই ধর্মগুলোই নির্ধারণ করে দেয় নৈতিক জীবনযাপন পদ্ধতি। অর্থাৎ ধর্ম হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে নৈতিকতাও। অথচ ধর্মগ্রন্থগুলো ঘাঁটলে ধর্মের বাতলানো নৈতিকতা ভীষণরকম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
বাইবেলে উল্লেখিত নির্দেশনামা অনুসরণ করলে পারিবারিক মূল্যবোধ কেমন হতে পারে, সেটি নিয়ে তৈরি করা মজাদার ভিডিও-কার্টুন দেখুন। অন্যসব ধর্মগ্রন্থ, বিশেষ করে কোরান, নির্দেশিত জীবনযাপন পদ্ধতি হুবহু মেনে চলার কাহিনী নিয়ে কার্টুন বানালে তা যে কী মজাদার হতো!
শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০১০
ব্যাপ্টাইজেশন ও খতনা: ধর্মগ্রহণ পদ্ধতির নিষ্ঠুর দিক
শিশুর জন্মের পরই তার গায়ে কোনও ধর্মের তকমা লাগিয়ে দেয়াটা অনৈতিক। অথচ তা-ই করা হয়ে থাকে। প্রাপ্তমনস্ক হবার পরে নিজের বোধবুদ্ধি অনুসারে নিজের পথ বেছে নেবার বন্ধ করে দেয়া হয় তখনই। এই নিগড় ভেঙে ধর্মহীনতার পথে আসতে পারে কেউ কেউ, তবে তাদেরকেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাগজে-কলমে একটি ধর্মীয় পরিচয় দিতেই হয়
শিশুকে ধর্মের অনুসারী বানিয়ে দেয়ার পদ্ধতি ও আচারানুষ্ঠান একেক ধর্মে একেক রকম। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা গ্রহণ (আসলে গ্রহণ তো নয়, চাপিয়ে দেয়া বা বাধ্য করা) অনুষ্ঠানে শিশুকে পানিতে চোবানো হয়। একেবারেই অনাবশ্যক, যুক্তিরহিত ও অমূলক এই রীতি পালন করতে গিয়ে অঘটন ঘটেও বৈকি। অনেক সময়ই তা প্রাণনাশীও।
পূর্ব ইয়োরোপের মলদোভায় তেমন এক অনুষ্ঠানে ফাদার ভ্যালেন্টিনের অসতর্কতার কারণে শিশুর মুখে পানি ঢুকে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন শিশুর পিতা।
খবরগুলো পড়ে মনে হলো, খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশ পাশবিক এবং সে-কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ মুসলমানি বা খতনা দেয়ার রিচ্যুয়ালটি। কোনও দুর্ঘটনা কি ঘটে না এ-ক্ষেত্রে? নাকি আল্লাহপাক মহান এবং দয়ালু বলে তিনি প্রতিরোধ করে ফেলেন সম্ভাব্য ট্র্যাজেডি? ভেবে গুগুলের শরণ নিলাম। মাথা ঘুরে উঠলো কিছু তথ্য, পরিসংখ্যান ও সংবাদ পড়ে। ভিডিওর দিকে যাবার মতো সাহস করতে পারলাম না।
আরও চাইলে গুগল আপনাকে খুঁজে দেবে।
ধর্মগুলোর ঘৃণাধর্ম
মাঝেমধ্যে মনে হয়, ঘৃণাই ধর্মগুলোর মূল চালিকাশক্তি। অন্ধবিশ্বাস কতোটা ঘৃণার জন্ম দিতে পারে, কীভাবে বিকল করে দেয় সুস্থচিন্তার ক্ষমতা, মানবতাবোধ, নিচের ভিডিওটি তার একটি উদাহরণমাত্র। ধর্মের প্রভাবে মানুষ কতোটা নির্বোধ হতে পারে, ভেবে আতঙ্কিতই হই শুধু।
আর কোরান তো ঘৃণার ডিপো। গদগদ-বিশ্বাসের-ঠুলিহীন চোখে কোরান পড়লে দেখা যাবে, পাতায়-পাতায়, আয়াতে-আয়াতে আক্ষরিক অর্থেই অসংখ্যবার বলা আছে ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি ঘৃণার কথা, বিদ্বেষের কথা। বিশেষ করে, ইহুদি জাতি মুসলমানদের ঘৃণার "সম্মানিত" আসনে অধিষ্ঠিত। অবাক হয়ে ভাবি, জনসংখ্যায় ইহুদিদের তুলনায় একশোগুণেরও বেশি হয়েও মুসলমানদের এই প্রবণতা কি তাদের হীনমন্যতাই (ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স) প্রকটভাবে প্রকাশ করে না?
শিশুপ্রেমিক ভ্যাটিকান
ভ্যাটিকানের বর্তমান পোপ "যিশুর বন্ধুরা" নামে একটি বই লিখেছেন। শিশুদের জন্যে
ইতালী ভাষায় বইটার নাম: Gli amici di Gesu।
আশা করা যাচ্ছে, ধর্মযাজকদের জন্য এর পর থেকে এই বইয়ের গল্প শুনিয়ে শিশুদের সাথে ঘনিষ্ঠ হবার পথটি সহজতর হবে এবং যৌননিপীড়ন ত্বরান্বিত করতে ধ্বনাত্মক প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে এই বই।
ধর্মে না শোনে যুক্তির কাহিনী
Ayaan Hirsi Ali - অসমসাহসী এক সংগ্রামী মহিলার নাম। সোমালিয়ার মুসলমান পরিবারে জন্ম তাঁর। এক সময় তিনি ইসলাম ত্যাগ করেন এবং তখন তাঁকে ত্যাগ করেন তাঁর পিতা।
অস্ট্রেলিয়ার এবিসি চ্যানেলে দেয়া তাঁর সাক্ষাৎকার। মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো। কী স্বচ্ছ ও স্পষ্ট তাঁর চিন্তা, যুক্তি এবং প্রকাশ!
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০১০
প্রতিবাদের শরীরী ভাষা
কোনও ধর্মের শাখা-প্রশাখা-উপশাখা গজানো থেকে একটি সত্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, ধর্ম আসলে নিয়ন্ত্রণ, প্রভাব বিস্তার ও অনায়াস অর্থোপার্জনের (উপার্জন নয়, আসলে হাতিয়ে নেয়া) হাতিয়ারের চেয়ে বেশি কিছু নয়। এই যেমন, রুশ অর্থোডক্স চার্চ এবং ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স চার্চের মধ্যেকার দীর্ঘকালীন রেষারেষি ও বিরোধ আবার প্রবল হয়ে উঠেছে রুশ পক্ষের প্রধান ইউক্রেন ভ্রমণে এলে।
তাঁর ভ্রমণের সময় অভিনব ধরনের প্রতিবাদ করে সুনাম ও দুর্নাম দুটোই কুড়ানো মেয়েদের প্রতিষ্ঠান FEMEN এবার রুশ চার্চের ইউক্রেনবিরোধী তৎপরতার প্রতিবাদ করলো এক মেয়েকে প্রতীকী ক্রুশবিদ্ধ করে।
গানে বিজ্ঞান
ভিডিও গেম Portal-এর সঙ্গে চমৎকার একটি গান ছিলো: Still Alive। সেটির স-লিরিকস ভিডিও দেখে নিন আগে।
ওপরের গানটির আদলে তৈরি করা আরেকটি গানে বলা হচ্ছে জ্যোতিষবিদ্যা, ক্রিয়েশনিজম (নতুন মোড়কে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন) ইত্যাকার "বিজ্ঞান" Still a Lie। দারুণ লাগলো।
লিরিকস:
They're dreaming it up along the way
argument from ignorance is failure
Religion repackaged
another creationist disguise
a trojan horse for public schools
but we all know what's inside
Should we teach the kids their astrological signs?
and consult the ouija - it could save us some time
Who needs answers and truth
when you're dumbing down the youth
with creationist fables and lies?
Well, Michael J. Behe
said some things were just far too complex
Seems Michael needs to build a better mousetrap
Ken tore it to pieces
and showed that the pieces work just fine
No god required, this case is tired,
You really need a new shtik
But they'll keep on trying 'till they run out of faith
'preach the controversy' while there is no debate
If the answers not clear, trust in ignorance and fear
teaching doctrine that is Still a Lie.
They go ahead and teach it
to hell with the Constitution now
They slipped god through the back door of the classroom
In Louisiana
and made it a joke, ha-ha, bad science
The children have my sympathy
they'll never learn how to think
But it's really not that complicated at all
there are reasons that it's written into our law
there's no science in faith, keep it separate from the state
let the children know it's Still a Lie
it's anti-science and it's Still a Lie
just like astrology it's Still a Lie
it's just creationism in disguise
and like the flat earth it is Still a Lie
and when your dead it will be Still a Lie, Still a Lie, Still a Lie
কেন বৃষ্টি হয় ইয়োরোপে, গালফে নয়
ধর্মকারীর পাঠক "মিয়াসাহেব"-এর পাঠানো মেইল থেকে:
কেন বৃষ্টি হয় ইয়োরোপে, গালফে নয় - উত্তর জানতে ছবিগুলো দেখতে থাকুন।
ইয়োরোপ
গালফ
আরবীয়র মুখে আরব-বন্দনা... থুক্কু, আরব-পোন্দন
বেজায় উপভোগ্য ছোট-ছোট তিনখানা ভিডিও।
নিরিয়ার লেখক Nidhal Naisa:
আলজেরিয়ার লেখক Anwar Malek:
সৌদি শুরা কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য Ibrahim al-Buleihi:
বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০১০
কু-রূপকথাকে তত্ত্বের সম্মান
বৈজ্ঞানিক তথ্যনির্ভর বিবর্তনবাদকে গায়ের জোরে সমালোচনা করে থাকে সৃষ্টিতত্ত্ববাদীরা। আসুন, তাদের "বিশ্বাসযোগ্য, নিখুঁত" তত্ত্বটির দিকে একটু দৃষ্টিপাত করা যাক।
রিচার্ড ডকিন্স ও নুহ-এর নৌকা
নিজের লেখা সাম্প্রতিকতম বই "দ্য গ্রেইটেস্ট শো অন আর্থ" প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রিচার্ড ডকিন্স মন্তব্য করেন নুহ-এর নৌকা বিষয়ক কু-রূপকথা নিয়ে।
মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০১০
মুসলমানেরা কেন এতো স্পর্শকাতর
মুসলমান জাতি এতো স্পর্শকাতর (মতান্তরে, স্পর্শের জন্য কাতর) কেন? ভিডিওর প্রথমার্ধেই উত্তর পাওয়া যাবে।
পুরনো, কিন্তু মজাদার।
শবেবরাতের মাজেজা
আজ শবেবরাত। শবেবরাতের আসল মানে মুসলমানেরা বুঝলো না।
শবেবরাত হলো শব-এ-বরাত অর্থাৎ ভাগ্যের মৃতদেহ
বিশ্বাসনির্ভর নিরাময়বিশ্বাসী নির্বোধেরা
যারা বলে "বিশ্বাসে মিলায় বস্ত...", আমার বড়ো ইচ্ছে করে তাদের জিজ্ঞেস করতে: বস্তুটি কী? দেখতে কেমন? কে, কবে, কোথায় তা পেয়েছে?
যুক্তিযুক্ত উত্তর আসবে না, জানি, তবে বিশ্বাসে কী পাওয়া যায়, তার একটি উদাহরণ আজ চোখে পড়লো।
ক্রাইস্ট চার্চের অনুসারীরা রোগ-বালাইয়ে ডাক্তার-ওষুধ-চিকিৎসার শরণ নেয় না, কারণ তাদের পরিপূর্ণ আস্থা আছে বিশ্বাসনির্ভর নিরাময়ে (faith healing)। গত দশ বছরে এই চার্চের অনুসারীদের ২৫ জন সন্তান মারা গেছে এমন সব রোগে, যেগুলো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে অনায়াসে রোধ করে শিশুদের বাঁচানো যেতো মৃত্যুর হাত থেকে।
ক্রাইস্ট চার্চের অনুসারীরা রোগ-বালাইয়ে ডাক্তার-ওষুধ-চিকিৎসার শরণ নেয় না, কারণ তাদের পরিপূর্ণ আস্থা আছে বিশ্বাসনির্ভর নিরাময়ে (faith healing)। গত দশ বছরে এই চার্চের অনুসারীদের ২৫ জন সন্তান মারা গেছে এমন সব রোগে, যেগুলো যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে অনায়াসে রোধ করে শিশুদের বাঁচানো যেতো মৃত্যুর হাত থেকে।
প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ২০
এবারে ধর্মের "ইতিবাচক" দিকগুলো আলোচনা করছেন প্যাট্রিক কন্ডেল।
লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে।
ডাউনলোড লিংক (২৮.৩ মেগাবাইট)
সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০১০
টিম্মিঞ্চিন-এর পুরনো গানের নতুন ভিডিও
যে-গানটি দিয়ে ধর্মকারীর "গান" বিভাগের যাত্রা শুরু, সেটির নাম ছিলো: If You Open Your Mind Too Much Your Brain Will Fall Out (Take My Wife)। গায়ক - এক ও অদ্বিতীয় টিম মিনচিন। সেটি ছিলো তাঁর লাইভ পারফরমেন্সের ভিডিও।
ব্রিটিশ আইটিভি-র প্রচারিতব্য "কমেডি কাটস" অনুষ্ঠানের জন্য এই গানটির একটি ভিডিও ক্লিপ বানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে দেখে নিন বিবর্তনবাদে অবিশ্বাসী আমেরিকানদের নিয়ে টিম মিনচিনের মন্তব্য
নির্ধার্মিক মনীষীরা – ২২
ঈশ্বর যদি মানুষের প্রার্থনা শুনতো, তাহলে দেখতে না দেখতেই সব মানুষ বিলুপ্ত হয়ে যেত: কারণ তারা তো একে অপরের অমঙ্গলই চেয়ে চলেছে।
– Epicurus (৩৪১-২৭০ BCE, গ্রীক দার্শনিক)
বিশ্বাস হচ্ছে সত্য জানতে চাওয়ায় অনীহা।
– Friedrich Nietzsche (১৮৪৪-১৯০০, জার্মান দার্শনিক, The Anti-Christ, 1889)
ঠিকমত পড়লে বাইবেলই হতে পারে নাস্তিকতার সপক্ষে সবচেয়ে বড় শক্তি।
– আইজাক আসিমভ (১৯২০-১৯৯২, রুশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক)
অনুবাদ করে দিয়েছেন babble।
মুখে বলি, মানি না
ইতালির "পানোরামা" পত্রিকার সাম্প্রতিকতম সংখ্যা বোমা ফাটিয়েছে। প্রচ্ছদ দেখুন।
বিবাহবহির্ভুত যৌনসম্পর্ক- ও সমকামবিরোধিতার অগ্রপথিক ক্যাথলিক চার্চের ধর্মযাজকদের দেখা গেছে গে-ক্লাবে যেতে এবং পুরুষদের সঙ্গে ইন্টারকোর্স করতে। পত্রিকার কাছে সচিত্র প্রমাণ আছে।
ইউরোনিউজ চ্যানেলর ভিডিও সংবাদ।
ডাউনলোড লিংক (২.৫ মেগাবাইট)
মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা
মুক্তচিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা তথা অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় ধর্মবিশ্বাসগুলো। ওসব নাকি পবিত্র এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে। হাহ্! প্রকৃত সত্য যুক্তির সামনে কুঁকড়ে যায় না, সমালোচনায় ভীত হয় না, রঙ্গ-রসিকতায় কুপিত হয় না। আর তাই ভিত্তিহীন, অপ্রমাণিত বিশ্বাস সব সময়ই হাস্যস্পদ এবং তা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।
ছোট্ট দু'টি চমৎকার ভিডিও দেখুন Campaign for Free Expression সিরিজ থেকে।
রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০১০
গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ - এ যেন রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জামাতের অফিস – ০২
প্রায় গ্রাউন্ড জিরোতে অর্থাৎ নাইন-ইলেভেনের আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার যেখানে ছিলো তার সন্নিকটে, মসজিদসহ এক বিশাল ইসলামী কমপ্লেক্স তৈরির ধৃষ্টতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামীরা। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জামাতে ইসলামী অফিস স্থাপন করলে কেমন হতো, বলুন তো? সে-কারণে স্বভাবতই প্রতিবাদ আসছে।
পরিকল্পনাধীন এই মসজিদের ইমাম পশ্চিমা মিডিয়ায় বলেন এক কথা, আর আরবীয় মিডিয়ায় আবির্ভূত হন স্বরূপে। নানান আরবীয় সাইট ঘেঁটে উদ্ধার করা হয় এই তথ্য।
কার্ল সেগানের আরও একটি বই
কার্ল সেগানের আরেকখানা বইয়ের নাগাল পাওয়া গেল। নাম - The Varieties of Scientific Experience: A Personal View of the Search for God।
ডাউনলোড লিংক:
অখবা
সাইজ: ৭.৫ মেগাবাইট
বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে ইসলাম
ইসলামের উগ্রতার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও সক্রিয় অবস্থান নিয়ে ইসলামীদের অন্যতম শত্রুতে পরিণত হয়েছেন ডাচ সংসদ সদস্য Geert Wilders। তিনি তৈরি করেছেন আড়াই ঘণ্টার একটি ডকুমেন্টারি। নাম দিয়েছেন: Islam Rising। সারা বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুসলিমরা সুপরিকল্পিতভাবে কীভাবে এগোচ্ছে, কীভাবে ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন সমাজের প্রতিটি স্তরে, তা নিয়ে আলোকপাত করেছেন তিনি।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, ইসলাম প্রকৃতই শান্তির ধর্ম ও সত্যিকারের আদর্শ জীবনবিধান হলে মুসলিমদের এই লক্ষ্যে আপত্তি করার কিছু থাকতো না। কিন্তু বাস্তবতা তো একেবারেই বিপরীত!
ডকুমেন্টারির পুরো প্লেলিস্ট এমবেড করা হলো।
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০১০
ইসলামী ইতরামি: এক হালি
১.
ইরানে চৌর্যবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের হাত কেটে নেয়া হেয়েছে। টরন্টো সান পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, ইরানের শরিয়া আইনের বিধান মেনে কাজটি করা হয়েছে। তবে বলে রাখা উচিত, চুরির কারণে হাত কেটে নেয়ার কথা কোরানেই আছে। সুরা আল মায়েদাহ, আয়াত ৩৮-এ বলা আছে: "যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে।"
২.
আছেন কোনও মুসলমান ভাই ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের সমর্থক? আপনি এই দলের জার্সিও পরেন? আপনার জন্য রহিয়াছে দুঃসংবাদ।
ক্লাবে প্রতীকে শয়তানের ছবি দেখতে পাচ্ছেন না? হ্যাঁ, ঠিক এই কারণে এই ক্লাবের জার্সিটি অনৈসলামিক এবং সব ঈমানদার মুসলিমের জন্যে এই জার্সি পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার ইসলামবিদ। একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে ব্রাজিল, পর্তুগাল, নরওয়ে, সার্বিয়া ও বার্সেলোনার জার্সির ক্ষেত্রেও। কারণ এই দলগুলোর জার্সিতে ক্রুশ অঙ্কিত আছে।
৩.
সংশয়বাদী নামের ধর্মকারীর এক পাঠক একটি কৌতূহলোদ্দীপক লিংক পাঠিয়েছেন।
শাস্তি হিসেবে লাঠি বা চাবুক দিয়ে পেটানো ও বেত্রাঘাতের আইন যে-দেশগুলোর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত, সেগুলোর তালিকায় একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন। আর কোন কোন দেশে মেয়েদেরকেও পেটানো যায় আদালতের নির্দেশে, সেটা লক্ষ্য করতেও ভুলবেন না।
৪.
নিষিদ্ধ সবকিছুর হালাল সংস্করণ বের করার ইসলামী প্রবণতা আছে। হালাল বিয়ার, হালাল সেক্সশপ, হালাল মিনিস্কার্ট (এটা অবশ্য নেহাতই নামটি আমার মস্তিষ্কপ্রসূত ধারণা), হালাল গণিকালয় ... মনে হয়, এক সময় হালাল অ্যালকোহল, হালাল শুয়োরের মাংসসহ অনেককিছুরই প্রচলন হবে।
এই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন: হালাল প্রসাধনীদ্রব্য। এই মেকাপ না ধুয়েই মেয়েরা নামাজ পড়তে পারবে এবং তাতে নামাজ মাকরুহ হবে না।
বুরকিনি কি নির্জলা উপহাস নয়?
ধর্মকারীর পাঠক সংশয়বাদী একটি মজাদার খবরের লিংক পাঠিয়েছেন।
মুসলমান মেয়েদের সুইমিং স্যুটের নাম রাখা হয়েছে বিকিনির আদলে - বুরকিনি। অর্থাৎ বুরখা+বিকিনি। আগে নমুনা দেখুন।
তো এই কিম্ভুত সন্তরণ-ভূষণ পরিধান করে দুই মুসলিম জেনানা নেমেছিল সুইমিং পুলে। তাদেরকে তৎক্ষণাৎ সুইমিং পুল থেকে উঠে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। কারণ দেখানো হয়, স্বাস্থ্যবিধিগত কারণে সুইমংপুলে প্রথাগত সুইমিং স্যুট ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। এমনকি পুরুষদেরকেও লম্বা শর্টস পরে নামতে দেয়া হয় না সুইমিংপুলে। ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে, প্রকাশ্যস্থানে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করার দশ দিন পরে।
এবার আমি ভিডিও জুড়ে দিই:
এবার আমি ভিডিও জুড়ে দিই:
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে নেহাতই তুচ্ছ আমরা - ০২
কার্ল সেগান-এর Pale Blue Dot: A Vision of the Human Future in Space মানের বই থেকে উদ্ধৃত করা একটি অংশ অবলম্বনে তৈরি ভিডিও। ব্যবহৃত কণ্ঠ কার্ল সেগান-এর নিজের। মুগ্ধ হয়ে শোনার মতো, দেখার মতো। ধর্মবিশ্বাসীদের জন্য নহে। কারণ খোলা মনে শুনলে ধর্মমোহ কেটে যেতে পারে।
ধর্মকারীর পাঠিকা সায়কা শাহরিন-এর সৌজন্যে বইটি ডাউনলোড করে নেয়া যাবে এখান থেকে। সাইজ মাত্র ১.৩ মেগাবাইট।
শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০১০
বিলকুল বিকল বিশ্বাস-বাতি
এই লেখার ভাবানুবাদ করে দিয়েছেন babble ভায়া
আগে দেখতাম, শুধু কট্টর মৌলবাদীরাই বিজ্ঞানকে ধর্মের সাথে তুলনা করত। কিন্তু আজকাল তথাকথিত মডারেট ধার্মিকরাও এই ভেক ধরেছে। তাদের মতে, বিজ্ঞান দাবি করে যে, এটাই বিশ্বকে বোঝার একমাত্র পন্থা। অন্যভাবে বললে, বিজ্ঞান সত্যের ওপর ঠিক সেইভাবে একচ্ছত্র আধিপত্য দাবি করে, যেভাবে দাবি করে গোঁড়া ধর্মগুলো।
হ্যাঁ, বিজ্ঞানই বিশ্বকে বোঝার একমাত্র নির্ভরযোগ্য পন্থা। সুইচ অন করলে যে বাতি জ্বলবে, এটা কোনো অন্ধবিশ্বাসের কারণে নয়।
সহস্র বছরের প্রার্থনায় একটি বাতিও জ্বলে উঠবে না
আমরা চাল-ডাল সামনে নিয়ে বসে বসে দোয়া করি, আর সেগুলো রান্না হয়ে যায়, এমনটাও তো ঘটে না। এসব কার্যসিদ্ধির জন্য আমরা যার উপর নির্ভর করি, সেটা হচ্ছে বিজ্ঞান। মোদ্দা কথা হলো, বিজ্ঞান কার্যকর। বিজ্ঞান কাজ করে ধারাবাহিকভাবে, বারংবার এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে।
যেদিন ধার্মিকের দল সকল বৈজ্ঞানিক পন্থা, বিজ্ঞানের সকল অবদান ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে, সেদিন আমি মানবো যে, হয়তো বিজ্ঞানও একটা ধর্ম, হয়তো বিজ্ঞানেও বিশ্বাসের স্থান আছে।
যেদিন ধার্মিক লোকজন দোয়া-প্রার্থনা করে ইন্টারনেটের ধারে-কাছেরও কিছু সৃষ্টি করতে পারবে, সেদিন বুঝবো, বিজ্ঞান ছাড়াও বিশ্বকে বোঝার নির্ভরযোগ্য আরো উপায় আছে।
তালিবানী শিক্ষা
তালিবান মানে ছাত্র। অর্থাৎ শব্দটি শিক্ষাসংশ্লিষ্ট। কিন্তু কেমন সে শিক্ষা, ভিডিওর শেষে একট নমুনা দেখুন।
পবিত্র তেল মালিশ
ছাত্রদের শরীর এবং ডেস্কে "পবিত্র তেল" মালিশ করার কথা স্বীকার করার পর পদত্যাগ করেছেন এক শিক্ষক।
ঠিকই করেছেন। পবিত্র তেলে যাঁর আস্থা, তাঁর কাছে সুশিক্ষা প্রত্যাশা করা যায় না।
ডাউনলোড লিংক (৮ মেগাবাইট)
বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০১০
ইসলামী ইতরামি: পোনে এক ডজন
১.
হালাল ফেসবুক-এর পর পাকিস্তানে আরও একটি ফেসবুক-ক্লোন বেরিয়েছে। হুমকি দেয়া হচেছ, ২৫ লাখ মুসলিম ফেসবুক ত্যাগ করবে ( এবং তারপরে হালাল ফেসবুকে গিয়ে মেয়েদের হিজাব-পরা ছবি দেখবে )। "ফেসবুককে না বলা"-র আহ্বান জানানো এই সাইটের আইডিয়া ও ডিজাইন কিন্তু কাফের-বিধর্মীদের করা ফেসবুক থেকে চোথা মারা। মুসলিম ভাইদের নিজেদের উদ্ভাবনীশক্তি এতোই দুর্বল (এক-বইয়ের-পাঠকদের কাছে এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা আশা করা যায়!) যে, বেহায়ার মতো সবকিছু নকল না করেও কোনও উপায় থাকে না!
হালাল ফেসবুক-এর পর পাকিস্তানে আরও একটি ফেসবুক-ক্লোন বেরিয়েছে। হুমকি দেয়া হচেছ, ২৫ লাখ মুসলিম ফেসবুক ত্যাগ করবে ( এবং তারপরে হালাল ফেসবুকে গিয়ে মেয়েদের হিজাব-পরা ছবি দেখবে )। "ফেসবুককে না বলা"-র আহ্বান জানানো এই সাইটের আইডিয়া ও ডিজাইন কিন্তু কাফের-বিধর্মীদের করা ফেসবুক থেকে চোথা মারা। মুসলিম ভাইদের নিজেদের উদ্ভাবনীশক্তি এতোই দুর্বল (এক-বইয়ের-পাঠকদের কাছে এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা আশা করা যায়!) যে, বেহায়ার মতো সবকিছু নকল না করেও কোনও উপায় থাকে না!
২.
পরিবারের "সম্মান" রক্ষা করতে এক বীর পুত্র তার মাকে হত্যা করেছে।
৩.
"মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।" (কোরান, সুরা ৪৮, আয়াত ২৯)
পশ্চিম বাংলায় তিন হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণ ও অত্যাচার করেছে জিহাদী মুসলিমরা।
৪.
নাইজেরিয়ায় এক খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের পরিবারকে হত্যা করে চার্চে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসলামীরা। তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং নাতি প্রাণে মারা পড়লেও তিনি লুকিয়ে রক্ষা পান।
৫.
মুসলিম দেশে গেলে অ-মুসলিমরা মুসলিম আইন-কানুন মানতে বাধ্য তো বটেই, এমনকি বাধ্য নিজের দেশেও, যদি মুসলিমরা আসে সেখানে! আগে এক পোস্টে লেখা এই বাক্যটি আবার ব্যবহার করতে হলো। এসব ইতরামির কথা শুনলে রাগে শরীর কাঁপে।
ইংল্যান্ডে মুসলিম বাস ড্রাইভাররা অন্ধ যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে অথবা উঠতেই দিচ্ছে না এবং মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভররা তাদের যথাস্থানে পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। কারণটা কী, জানেন? অন্ধ যাত্রীদের সঙ্গী পথপ্রদর্শক কুকুর। ইসলামে কুকুর অপবিত্র প্রাণী। খোদ নবী বলে গেছেন এ কথা!
৬.
ইসলাম নারীকে প্রভূত মর্যাদা দিয়েছে। আর তাই তার অনুসারীরা নারীদের সেই মর্যাদা রক্ষায় সদা সচেষ্ট। কর্মজীবী মহিলাদের চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। নইলে তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তাদের শিরোচ্ছেদ করতে হবে, বলছে নারী অধিকার প্রশ্নে সচেষ্ট শান্তিকামী মুসলিমরা।
৭.
ইসলামের সমালোচনা করে একটি ছবি বানানোর কারণে এক শান্তিপ্রিয় মুসলিম হত্যা করেছিল ডাচ পরিচালক Theo van Gogh-কে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই হত্যাকারী সম্প্রতি এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে, কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ নেই তার।
না থাকারই কথা। ইহজগতে জেলভোগ হলেও পরজগতে বাহাত্তরটি কুমারীভোগ তার ঠ্যাকায় কে!
৮.
এক পুরুষ আর এক নারীকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে বলে তাদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার রায় দেয়া হয়েছে স্থানীয় বিচারে। ঘটনা পাকিস্তানে।
৯.
ইরানে ছাব্বিশ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্মীয় পুলিশ ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেয়েটির অপরাধ ছিলো "বাজে হিজাব"।
পরিবারের "সম্মান" রক্ষা করতে এক বীর পুত্র তার মাকে হত্যা করেছে।
৩.
"মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।" (কোরান, সুরা ৪৮, আয়াত ২৯)
পশ্চিম বাংলায় তিন হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণ ও অত্যাচার করেছে জিহাদী মুসলিমরা।
৪.
নাইজেরিয়ায় এক খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের পরিবারকে হত্যা করে চার্চে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসলামীরা। তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং নাতি প্রাণে মারা পড়লেও তিনি লুকিয়ে রক্ষা পান।
৫.
মুসলিম দেশে গেলে অ-মুসলিমরা মুসলিম আইন-কানুন মানতে বাধ্য তো বটেই, এমনকি বাধ্য নিজের দেশেও, যদি মুসলিমরা আসে সেখানে! আগে এক পোস্টে লেখা এই বাক্যটি আবার ব্যবহার করতে হলো। এসব ইতরামির কথা শুনলে রাগে শরীর কাঁপে।
ইংল্যান্ডে মুসলিম বাস ড্রাইভাররা অন্ধ যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে অথবা উঠতেই দিচ্ছে না এবং মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভররা তাদের যথাস্থানে পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। কারণটা কী, জানেন? অন্ধ যাত্রীদের সঙ্গী পথপ্রদর্শক কুকুর। ইসলামে কুকুর অপবিত্র প্রাণী। খোদ নবী বলে গেছেন এ কথা!
৬.
ইসলাম নারীকে প্রভূত মর্যাদা দিয়েছে। আর তাই তার অনুসারীরা নারীদের সেই মর্যাদা রক্ষায় সদা সচেষ্ট। কর্মজীবী মহিলাদের চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। নইলে তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তাদের শিরোচ্ছেদ করতে হবে, বলছে নারী অধিকার প্রশ্নে সচেষ্ট শান্তিকামী মুসলিমরা।
৭.
ইসলামের সমালোচনা করে একটি ছবি বানানোর কারণে এক শান্তিপ্রিয় মুসলিম হত্যা করেছিল ডাচ পরিচালক Theo van Gogh-কে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই হত্যাকারী সম্প্রতি এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে, কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ নেই তার।
না থাকারই কথা। ইহজগতে জেলভোগ হলেও পরজগতে বাহাত্তরটি কুমারীভোগ তার ঠ্যাকায় কে!
৮.
এক পুরুষ আর এক নারীকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে বলে তাদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার রায় দেয়া হয়েছে স্থানীয় বিচারে। ঘটনা পাকিস্তানে।
৯.
ইরানে ছাব্বিশ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্মীয় পুলিশ ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেয়েটির অপরাধ ছিলো "বাজে হিজাব"।
ইসলাম অনার কিলিং-এর পক্ষে
বেহেশতের একটি প্লট বরাদ্দ পাবার আশায় ছলে-বলে-কৌশলে-হুমকিতে-প্রতারণায় ভিন্নধর্মীদের ইসলাম গ্রহণ করিয়ে নিতে মুসলমানেরা অক্লান্ত। তবে কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে তাকে হত্যা করেও প্লটপ্রাপ্তি সম্ভব। এমন বিধান আছে কোরানেই। এছাড়া কারুর (বিশেষ করে মেয়েদের) অনৈসলামিক আচরণে পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ণ হলে তাকে হত্যা করার ঐতিহ্য লালন করে অজস্র মুসলিম পরিবার। ফলে ইসলামত্যাগেচ্ছু ব্যক্তিরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না প্রাণভয়ে, কোনও মেয়ে বেশরিয়তী পোশাক পরলে বা ভ্ন্নিধর্মের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে তার মৃত্যুঝুঁকি প্রবল হয়ে ওঠে। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে refugefromislam.com ও leaveislamsafely.com।
প্রথমে মায়ামীতে বাসের গায়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা প্রচার শুরু করে।
পরবর্তী প্রচারকার্য শুরু হয় শিকাগো শহরে। ট্যাক্সির ওপরে স্থাপন করা হয় বিজ্ঞাপন।
অনেক মুসলমান দাবি করে, ইসলামে অনার কিলিং-এর স্থান নেই; যারা এই কর্মটি করে, তারা করে ইসলামের নামে নয়, ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উদ্যোগে। সত্যিই তাই?
ইংরেজি ভাষায় একখানা বই আছে - Reliance of the Traveller: A Classic Manual of Islamic Sacred Law। রচনা করেছেন Ahmad ibn Naqib al-Misri।
অনুবাদের অস্পষ্টতা বিষয়ে মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী ধোঁয়া তোলার আগেই একটা ব্যাপার স্পষ্টভাবে জানিয়ে রাখা দরকার। সুন্নী মুসলিমদের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী প্রতিষ্ঠান মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি এটির অনুবাদ অনুমোদন করে লিখেছে যে, অনুবাদ "corresponds to the Arabic original and conforms to the practice and faith of the orthodox Sunni Community..." (নিচের ছবিগুলোয় ক্লিক করে পূর্ণ আকারে দেখুন)
Book O, titled "Justice," in section 1: এখনে দেখা যাচ্ছে, "Who is Subject to Retaliation for Injurious Crimes,"। section 01.1-এ লেখা: "Retaliation is obligatory ... against anyone who kills a human being purely intentionally and without right..."। পড়ে ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে।
কিন্তু এ কী! o1.2-এ বলা হচ্ছে, "The following are not subject to retaliation" and then lists — after the lovely, egalitarian "Muslim for killing a non-Muslim" and "Jewish or Christian subject ... for killing an apostate" এবং "(4) a father or mother (or their fathers or mothers) for killing their offspring, or offspring's offspring"
ইসলামের চেয়ে বড়ো শান্তির ধর্ম আর নেই। বলেন, সোবহানাল্লাহ!