১.
ইরানে চৌর্যবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের হাত কেটে নেয়া হেয়েছে। টরন্টো সান পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, ইরানের শরিয়া আইনের বিধান মেনে কাজটি করা হয়েছে। তবে বলে রাখা উচিত, চুরির কারণে হাত কেটে নেয়ার কথা কোরানেই আছে। সুরা আল মায়েদাহ, আয়াত ৩৮-এ বলা আছে: "যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে।"
২.
আছেন কোনও মুসলমান ভাই ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের সমর্থক? আপনি এই দলের জার্সিও পরেন? আপনার জন্য রহিয়াছে দুঃসংবাদ।
ক্লাবে প্রতীকে শয়তানের ছবি দেখতে পাচ্ছেন না? হ্যাঁ, ঠিক এই কারণে এই ক্লাবের জার্সিটি অনৈসলামিক এবং সব ঈমানদার মুসলিমের জন্যে এই জার্সি পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার ইসলামবিদ। একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে ব্রাজিল, পর্তুগাল, নরওয়ে, সার্বিয়া ও বার্সেলোনার জার্সির ক্ষেত্রেও। কারণ এই দলগুলোর জার্সিতে ক্রুশ অঙ্কিত আছে।
৩.
সংশয়বাদী নামের ধর্মকারীর এক পাঠক একটি কৌতূহলোদ্দীপক লিংক পাঠিয়েছেন।
শাস্তি হিসেবে লাঠি বা চাবুক দিয়ে পেটানো ও বেত্রাঘাতের আইন যে-দেশগুলোর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত, সেগুলোর তালিকায় একটু চোখ বুলিয়ে দেখুন। আর কোন কোন দেশে মেয়েদেরকেও পেটানো যায় আদালতের নির্দেশে, সেটা লক্ষ্য করতেও ভুলবেন না।
৪.
নিষিদ্ধ সবকিছুর হালাল সংস্করণ বের করার ইসলামী প্রবণতা আছে। হালাল বিয়ার, হালাল সেক্সশপ, হালাল মিনিস্কার্ট (এটা অবশ্য নেহাতই নামটি আমার মস্তিষ্কপ্রসূত ধারণা), হালাল গণিকালয় ... মনে হয়, এক সময় হালাল অ্যালকোহল, হালাল শুয়োরের মাংসসহ অনেককিছুরই প্রচলন হবে।
এই তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন: হালাল প্রসাধনীদ্রব্য। এই মেকাপ না ধুয়েই মেয়েরা নামাজ পড়তে পারবে এবং তাতে নামাজ মাকরুহ হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন