শিশুর জন্মের পরই তার গায়ে কোনও ধর্মের তকমা লাগিয়ে দেয়াটা অনৈতিক। অথচ তা-ই করা হয়ে থাকে। প্রাপ্তমনস্ক হবার পরে নিজের বোধবুদ্ধি অনুসারে নিজের পথ বেছে নেবার বন্ধ করে দেয়া হয় তখনই। এই নিগড় ভেঙে ধর্মহীনতার পথে আসতে পারে কেউ কেউ, তবে তাদেরকেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাগজে-কলমে একটি ধর্মীয় পরিচয় দিতেই হয়
শিশুকে ধর্মের অনুসারী বানিয়ে দেয়ার পদ্ধতি ও আচারানুষ্ঠান একেক ধর্মে একেক রকম। খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষা গ্রহণ (আসলে গ্রহণ তো নয়, চাপিয়ে দেয়া বা বাধ্য করা) অনুষ্ঠানে শিশুকে পানিতে চোবানো হয়। একেবারেই অনাবশ্যক, যুক্তিরহিত ও অমূলক এই রীতি পালন করতে গিয়ে অঘটন ঘটেও বৈকি। অনেক সময়ই তা প্রাণনাশীও।
পূর্ব ইয়োরোপের মলদোভায় তেমন এক অনুষ্ঠানে ফাদার ভ্যালেন্টিনের অসতর্কতার কারণে শিশুর মুখে পানি ঢুকে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন শিশুর পিতা।
খবরগুলো পড়ে মনে হলো, খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশ পাশবিক এবং সে-কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ মুসলমানি বা খতনা দেয়ার রিচ্যুয়ালটি। কোনও দুর্ঘটনা কি ঘটে না এ-ক্ষেত্রে? নাকি আল্লাহপাক মহান এবং দয়ালু বলে তিনি প্রতিরোধ করে ফেলেন সম্ভাব্য ট্র্যাজেডি? ভেবে গুগুলের শরণ নিলাম। মাথা ঘুরে উঠলো কিছু তথ্য, পরিসংখ্যান ও সংবাদ পড়ে। ভিডিওর দিকে যাবার মতো সাহস করতে পারলাম না।
আরও চাইলে গুগল আপনাকে খুঁজে দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন