বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০১০

ইসলামী ইতরামি: পোনে এক ডজন


১.
হালাল ফেসবুক-এর পর পাকিস্তানে আরও একটি ফেসবুক-ক্লোন বেরিয়েছে। হুমকি দেয়া হচেছ, ২৫ লাখ মুসলিম ফেসবুক ত্যাগ করবে ( এবং তারপরে হালাল ফেসবুকে গিয়ে মেয়েদের হিজাব-পরা ছবি দেখবে )। "ফেসবুককে না বলা"-র আহ্বান জানানো এই সাইটের আইডিয়া ও ডিজাইন কিন্তু কাফের-বিধর্মীদের করা ফেসবুক থেকে চোথা মারা। মুসলিম ভাইদের নিজেদের উদ্ভাবনীশক্তি এতোই দুর্বল (এক-বইয়ের-পাঠকদের কাছে এর চেয়ে বেশি আর কী-ই বা আশা করা যায়!) যে, বেহায়ার মতো সবকিছু নকল না করেও কোনও উপায় থাকে না!

২.
পরিবারের "সম্মান" রক্ষা করতে এক বীর পুত্র তার মাকে হত্যা করেছে

৩.
"মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল।" (কোরান, সুরা ৪৮, আয়াত ২৯)
পশ্চিম বাংলায় তিন হিন্দু কিশোরীকে ধর্ষণ ও অত্যাচার করেছে জিহাদী মুসলিমরা।

৪.
নাইজেরিয়ায় এক খ্রিষ্টান ধর্মযাজকের পরিবারকে হত্যা করে চার্চে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে ইসলামীরা। তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং নাতি প্রাণে মারা পড়লেও তিনি লুকিয়ে রক্ষা পান।

৫.
মুসলিম দেশে গেলে অ-মুসলিমরা মুসলিম আইন-কানুন মানতে বাধ্য তো বটেই, এমনকি বাধ্য নিজের দেশেও, যদি মুসলিমরা আসে সেখানে! আগে এক পোস্টে লেখা এই বাক্যটি আবার ব্যবহার করতে হলো। এসব ইতরামির কথা শুনলে রাগে শরীর কাঁপে।
ইংল্যান্ডে মুসলিম বাস ড্রাইভাররা অন্ধ যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে অথবা উঠতেই দিচ্ছে না এবং মুসলিম ট্যাক্সি ড্রাইভররা তাদের যথাস্থানে পৌঁছে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। কারণটা কী, জানেন? অন্ধ যাত্রীদের সঙ্গী পথপ্রদর্শক কুকুর। ইসলামে কুকুর অপবিত্র প্রাণী। খোদ নবী বলে গেছেন এ কথা!

৬.
ইসলাম নারীকে প্রভূত মর্যাদা দিয়েছে। আর তাই তার অনুসারীরা নারীদের সেই মর্যাদা রক্ষায় সদা সচেষ্ট। কর্মজীবী মহিলাদের চাকরি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। নইলে তাদের মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তাদের শিরোচ্ছেদ করতে হবে, বলছে নারী অধিকার প্রশ্নে সচেষ্ট শান্তিকামী মুসলিমরা

৭.
ইসলামের সমালোচনা করে একটি ছবি বানানোর কারণে এক শান্তিপ্রিয় মুসলিম হত্যা করেছিল ডাচ পরিচালক Theo van Gogh-কে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এই হত্যাকারী সম্প্রতি এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে, কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ নেই তার।
না থাকারই কথা। ইহজগতে জেলভোগ হলেও পরজগতে বাহাত্তরটি কুমারীভোগ তার ঠ্যাকায় কে!

৮.
এক পুরুষ আর এক নারীকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গেছে বলে তাদেরকে পাথর ছুঁড়ে হত্যার রায় দেয়া হয়েছে স্থানীয় বিচারে। ঘটনা পাকিস্তানে।

৯.
ইরানে ছাব্বিশ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্মীয় পুলিশ ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেয়েটির অপরাধ ছিলো "বাজে হিজাব"।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন