লিখেছেন তুহিন তালুকদার।
১.
ইসলামী জঙ্গীবাদ বিষয়ে মুসলমানেরা প্রায়ই বলে থাকেন, “কিছু লোকের উগ্র ধর্মবাদের কারণে সমগ্র ইসলাম জাহান কলঙ্কিত হচ্ছে। ইসলাম আসলে শান্তির ধর্ম।”
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কিছু ভ্রষ্ট মুসলমান (এরা নাকি সংখ্যায় অতি নগণ্য!) উগ্র ধর্মবাদ দিয়ে ইসলাম জাহানকে কলঙ্কিত করলে, বাকি যেসব মুসলমান অভ্রষ্ট, তারা নির্বিকার কেন? “শান্তির ধর্ম”-এর নাম খারাপ হতে দেখে তাদের মধ্যে প্রতিকার প্রতিরোধের দায়িত্ববোধ জাগ্রত হয় না? তার মানে কি এই না যে, অল্প সংখ্যক মুসলমান জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যস্ত আর বাকি সবাই দায়িত্বজ্ঞানহীন, ধর্মের ভাবমূর্তি নিয়ে তাদের কিছু এসে যায় না?
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে,
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে।
ভ্রষ্ট মুসলমান জঙ্গী হলে আর অভ্রষ্ট মুসলমান দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ না হলে কাউকে কি কম ঘৃণা করা উচিত?
২.
জঙ্গি প্রশিক্ষণে কিশোর-যুবকদের কোরান পড়ানো হয়। কোরানের উদ্ধৃতিই তাদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে। মুসলমানেরা দাবি করেন, জঙ্গি প্রশিক্ষকেরা কোরানের বাণীর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নবীনদের বিভ্রান্ত করে জঙ্গিতে পরিণত করে। এ ব্যাপারে আমাদের জিজ্ঞাস্য হচ্ছে, যদি কোরানের বাণীর ভুল ব্যাখ্যা কোন নিরীহ কিশোর বা যুবককে হত্যাকারী, রক্তলোলুপ জঙ্গীতে পরিণত করতে পারে তাহলে ব্যাপারটা কি এই না যে, কোরানের বাণী বিতর্কিত উপায়ে লেখা হয়েছে? যার ভালো অর্থ ও মন্দ অর্থ দুই-ই করা যায়? আর এরই সুযোগ নিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষকেরা তাদের কাজ করে যাচ্ছে? পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যাকে বলা হচ্ছে, তার ভাষা বিতর্কিত হবে কেন? কেন তা জঙ্গি তৈরির ইন্ধন হিসেবে কাজ করবে? কেন তার কথার ভুল ব্যাখ্যা এরকম ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে? বা কেন তা এমনভাবে লেখা হবে যাতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ থাকে?
শিশুদের কাছে Hollywood horror movies-এর zombie যেমন, বর্তমান জগতের সামনে শান্তিকামী ইসলাম জাহানের তৈরি জঙ্গিও সমান ভয় উদ্রেককারী। কোরান যদি জঙ্গি বা zombie তৈরির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তাহলে তার সত্যতা বা উপযুক্ততা কি ঘোরতর সন্দেহ জাগায় না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন