শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১০

ধর্মগ্রন্থের ভূমিকা

লিখেছেন তুহিন তালুকদার

যে যতই বলুক, মানুষের জীবনে ধর্মগ্রন্থের কোন ভূমিকাই নেই, আসলে তা ঠিক নয়। ধর্মগ্রন্থ পড়ে কে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে তিনি কেমন মানুষ হবেন। আমরা তারই কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। 

আস্তিক – যিনি ধর্মগ্রন্থ ভালোভাবে পড়েন নি না তাই বুঝতে পারেন নি।

নাস্তিক – যিনি ধর্মগ্রন্থ ভালোভাবে পড়েছেন তাই বুঝতে পেরেছেন।

ধর্মান্ধ – যিনি ধর্মগ্রন্থের কথা শুনে চোখে সর্ষে ফুল দেখে দৃষ্টিশক্তি হারান।

ধর্মীয় মৌলবাদী – যিনি ধর্মগ্রন্থের কথা প্রতিষ্ঠা করা কর্তব্য মনে করেন।

শান্তিকামী ধার্মিক – যিনি ধর্মগ্রন্থের কথা প্রতিষ্ঠা করা কর্তব্য মনে করেন না।

সাম্প্রদায়িক – যিনি নিজের ধর্মগ্রন্থকে সঠিক আর অন্যের ধর্মগ্রন্থকে ভুল মনে করেন।

ধর্মপ্রাণ – যিনি ধর্মগ্রন্থের বাণীর দ্বারা উদ্বুদ্ধ হলে কারও প্রাণও নিতে পারবেন।

জঙ্গী – যিনি ধর্মগ্রন্থের বাণীর দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের প্রাণ অপচয় করতে প্রস্তুত আছেন।

ধর্মভীরু – যিনি ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত নরকের ভয়ে ভীত থাকেন।

ধর্মগুরু – যিনি মানুষকে ধর্মগ্রন্থের পথে পরিচালিত করে ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, জঙ্গী ইত্যাদিতে পরিণত করেন।

রাজনীতিবিদ – যিনি ধর্মগ্রন্থের কথাকে পূঁজি করে জনগণের শক্তিকে ব্যবহার করার উপায় জানেন।

ধর্ম উদাসীন – যিনি ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত স্বর্গ এবং এর হুর পরীদের প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট নন।

ধর্ম বিদ্বেষী – যিনি ধর্মগ্রন্থের স্বরূপ বুঝতে পারেন।

আমার ধারণা এখন আর কোন নাস্তিক, অবিশ্বাসী ধর্মগ্রন্থের গুরুত্বকে অস্বীকার করতে পারবেন না।

[বিশেষ দ্রষ্টব্য – ধর্মকারীতে ধর্মগ্রন্থের বহুবিধ উপকারীতার কথা শুনে কেউ একে ভুল বুঝবেন না। ধর্মগ্রন্থগুলোতেও শয়তানের কথা না শোনার উপদেশ দেওয়া হয়।]

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন