লিখেছেন আরিফুর রহমান।
ঢাকার কোন এক বড়লোক ইস্লামিস্টের বাসায় প্রাইভেট্ ভার্সিটি পড়া ইয়াং বালকের ঘরে গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছে কয়েকটা নব্য ইসলামী ছাগশিশু। সবার হাতে হিজবুতের কোন না কোন বই। নতুন গজিয়ে ওঠা শিঙ দিয়ে সমাজের সবকিছু উল্টে দেবার স্বপ্নদোষে নিমগ্ন বালকের দল থেকে থেকে হুঙ্কার দিয়ে উঠছে হাল্লাহাক্বার.. ইত্যাকর..
মিটিঙ শেষে তারা কেলাপত আর্মিতে নাম লেখানোর ইন্তেজাম করে। আর্মির ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্টারও করে ফেলে তারা। কালেকেই তারা রওয়ানা দেবে লন্ডনাভিমুখে। ড়াণীকে উপড়ে ফেলে তারা বাকিঙহ্যাম পেলেসকে নাম দেবে কর্ডোভা মোশজিদ।
রাতে ঘুমুনোর সময় বালকদের রতি নির্গমন হয়, হুরীদের কল্পনায়। ক্রমাগত ৭২ জনকে তারা সোহবৎ করতে থাকে নানান দোয়া সহযোগে।
সকালে অবশ্য তারা চিন্তিত হয় কোর্সওয়ার্ক নিয়ে, খেলাফত প্রতিষ্ঠা শেষ করে সোহবৎ, পড়াশোনা শিকেয় উঠে নিয়মিত। কেউ কেউ আবার ব্লগে ইসলাম রক্ষায় প্রচুর সময় নষ্ট করে। কাল্পনিক প্রভুর নির্দেশে ডন কুইক্সোট সেজে হাম-ধাম-তারা-ধাম-দম-দম-ধা টাইপের ব্লগছাগ হিসেবে আবির্ভূত হয়। নাস্তিকদের পিটুনি পিঠে পড়লে আবার মনটা দমে যায়। ক্লাসে বসে লেকচার শুনবার সময় মনে যেসব প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, নাস্তিকদের মুখে সেসবের তীব্র ও প্রখর রূপায়ন দেখে মাথা আউলে যায় হিজুটার।
কি বলবে বুঝতে না পেরে মাথায় আগুন ধরে যায়। ইশ্বর, তা সে যতোই কল্পিত হৌক না কেন, কিছু করছেন না কেন, ভাবতে থাকে। পানি ভরা মাথায় কিছুই আসে না।
শুধু একটাই আর্তনাদ বেরিয়ে আসে ভেতর থেকে, কেন ইশ্বর কিছু করে না! কেন ইশ্বর তার প্রেরিত ধর্মের এমন নির্মম ধর্ষন দেখেও নেমে আসে না। আবাবীল পাখিরা কোথায়??
ভেতরে সন্দেহ আসতে চায়... বেশি বেশি করে কিতাবগুলি মুখের ভেতর গুঁজতে থাকে, দ্রুত, বাঁ'হাতের তসবির বিচিগুলি আরো বেশি দ্রুত পার হয়ে যেতে থাকে আঙুলের ফাঁক দিয়ে... ওয়েবে হিজু সাইটগুলি গলাধঃকরন হতে থাকে... সবখানে একই কথা, মনে হয় সবাই বাকিদের নির্লজ্জ কপি পেস্ট.... সন্দেহ হতে চায় মনে... কিন্তু মহাপুরুষের নুরাণীর কথা মনে হলেই...ইশশ্... কার্টুনগুলি বড়ো নৃশংস ছিলো।
কিন্তু ওরা সবাই এভাবে মহাপুরুষকে নাঙ্গা করলো কেন?? পুরো দুনিয়ার সবাই কি তাহলে মিথ্যা বলছে? কিন্তু কেন? এতো লোক কেন মিথ্যা বলবে?
হিজুবালকের মাথা ঘুরতে থাকে.. কিবোর্ড গড়িয়ে ঘুম আসে... লোল বেয়ে যায় হুরীদের স্বপ্নে...।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন