লিখেছেন light man।
ছাগু-মহাছাগুদের একটা মজ্জাগত স্বভাব - মানুষের দৈনন্দিন জীবনের হাগা-মুতা থেকে শুরু করে সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিবেচনা করে ধর্মকে বৈজ্ঞানিক রূপে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যর্থ চেষ্টা করা। এতে অবশ্য ছোট খাট ছাগুদের তেমন দোষ দেওয়া যায় না, কারণ বড় বড় মহা- মহাছাগুগুলো প্রতিনিয়ত মিডিয়ার কল্যাণে যে হারে মিথ্যা কু-যুক্তি প্রকাশের সু্যোগের সদ্ব্যবহার করে অবিরাম ম্যা-ম্যা করে বাতাস ভারী করে চলেছে, আর সে বাতাসের আঁচড়েই কোন যুক্তি-তক্কের ধারে-কাছে না ঘেষেই ছোটখাট ছাগুরা খুশিতে আটখানা হয়ে হ্যাঁ-হ্যাঁ করে তাকেই ধ্রুব সত্য বলে মেনে নিচ্ছে।
আমাদের চারপাশে ঘিরে আছে নিরীহ, ভদ্র, রুক্ষ্ম, বজ্জাত, খুনি, অসহিষ্ণু ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের অসংখ্য ছাগু। যেদিকে দৃষ্টি দেবেন, দেখবেন ছাগু আর ছাগু।সব কিছুই আজ তাদের দখলে। তাই বাধ্য হয়েই আমাকে কাজ করতে হয় ছাগুদের সাথে। অসংখ্য ঘটনার মধ্যে ছাগুগুলোর ছাগুপনার দু'-একটা ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
এক.
এক নব্য ছাগু বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ড এসেছে ছাত্র ভিসায়। কাজ শুরু করল আমার সাথেই। কাজ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই তার আচার-ব্যবহারে অতীব সন্তুষ্ট হয়ে আমার সাথে কাজ করতে থাকা পূর্বের ছাগুগুলো ওর বিরুদ্ধে এক প্রকার বিদ্রোহ শুরু করে দিল। তাই কর্মস্থলে আমিই ছিলাম ওর একমাত্র ভরসা। নিয়মিত নামাজ পড়ত সে। আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস তার। আমাকে বলে আল্লাহর অসীম রহমতে সে ভিসা পেয়েছে। ভাবতে মজা লাগে, কাফেরের দেশে আসতেও আল্লাহর রহমত চায়! রহমতের ধরনটা ছিল এ রকম - এম্ব্যাসিতে তার দেখানো ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল দুই নম্বরী আর ইন্টারভিউতে ও বলেছে প্রচুর মিথ্যা কথা। এসবের বিনিময়ে সে জোগাড় করল কাফেরদের দেশ ইংল্যান্ড আসার স্বপ্নের ভিসা। আমাকে তার ভিসা প্রাপ্তির কাহিনীটা বলল আবার বেশ গর্বের সাথে। তার চোখ-মুখ ছিল মিথ্যে বলার সাফল্যে উদ্ভাসিত।
আমাকে নাস্তিক জেনে তার কথায়-কথায় থাকত শুধু পবিত্র গ্রন্থের উপমা আর আমাকে আস্তিক বানানোর নিস্ফল চেষ্টা যা আমাকে ধৈর্য্যের শেষ সীমায় পৌছে দিল।
তার অত্যধিক আল্লাহর প্রসংশায় আমি অনেকটা বাধ্য হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর উপর তোমার আস্থা কতটুকু?
উত্তরে সে আমায় বলল, আরে ভাই, কী যে বলেন, আল্লাহই সব। তার ইশারা ছাড়া কি কোনোকিছু হয়?
আমি তখন বললাম, বাঃ বেশ বলেছ, আল্লাহর উপর যখন এতই আস্থা ও বিশ্বাস, তখন তুমি আল্লাহকে সাক্ষী করে এম্ব্যাসিতে সত্যি কথা বলনি কেন? আল্লাহ কি তবে সত্যের চেয়ে মিথ্যা বলাকেই বেশী মূল্য দেয়?
আমার এই কথায় ছাগুর নুরানি চেহারাটা হয়ে গেল হাগু হাগু।
দুই.
নিজের দেশে নাস্তিক পরিচয় দিতে ভয় পেলেও ইংল্যান্ডে আমি নাস্তিক পরিচয় দিতে পারি নির্ভয়ে। অন্তত পিতৃ প্রদত্ত জান যাওয়ার ভয় তো আর নাই। আমাকে নাস্তিক জেনে আস্তিকরাও সুযোগ পেলেই আমাকে ইসলামের গুনগান করে পবিত্র বইয়ের বয়ান শুনায়। কথায় কথায় আল্লাহর প্রসংশায় পঞ্চমুখ থাকে। বেশীর ভাগ সময় আমি তাদের কথা চুপচাপ শুনেই যাই। তর্ক করতে মন চায় না, তবে মনে মনে বেশ হাসি পায়।
এক বার আমার এক সহকর্মীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপাল শুরু হল। আলাপ জমে উঠতেই সে প্রসঙ্গক্রমে আলাপটাকে টেনে নিয়ে গেল ধর্মে। শুরু করল তার বিশ্বাসের পবিত্র বই নিয়ে অগাধ জ্ঞানবিতরণ। আমি নীরব শ্রোতা হয়ে মনে মনে বিরক্ত হলেও ধৈর্য্য সহকারে শুনতে লাগলাম। আমাকে জ্ঞান দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে উপসংহার দিতে চাইল হাগা-মুতা দিয়ে।
মুতা প্রসঙ্গে তার বিশ্বাসী বইয়ের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আমাকে বলে, দাঁড়িয়ে মুতলে নাকি কিডনির উপর চাপ বেশী পড়ে, তাই কিডনি রোগে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
তার এইরূপ কু-যুক্তি শুনে আমার পক্ষে আর চুপ থাকা সম্ভব হল না। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা ভাই, বলুন তো, পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে মুতার লোকের সংখ্যা বেশী, নাকি বসে মুতার লোকের সংখ্যা বেশী?
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান ধর্মের লোকেরা তো ভাই বংশ পরম্পরায় হাজার হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়েই মুতে যাচ্ছে, কই তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কি মুসলমানদের তুলনায় খুব একটা বেশী? নাকি মুসলমানেরা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় না?
আমার এই কথা শুনে সে আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল আর আমিও কৌশলে ছাগু ধরতে পেরে বেশ তৃপ্তি বোধ করলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন