আমার ধারণা, ব্রিটেনের ওপরে ভ্যাটিকানের বিশেষ রাগ। হবেই না বা কেন! ব্রিটিশ বাঁদর ডারউইন এক তত্ত্ব দিয়েই তুচ্ছ করে ফেলেছে ঈশ্বর আর ধর্মগুলোকে, আরেক ব্রিটিশ ত্যাঁদোড় জঙ্গি নাস্তিক ডকিন্স গোটা দুনিয়া জুড়ে নাস্তিক্যবাদের নিবিড় চাষে ব্যস্ত, আরও এক ব্রিটিশ বিকলাঙ্গ বেয়াড়া বৈজ্ঞানিক হকিং তো এই সেদিন ঘোষণা দিয়ে বসলো যে, দুনিয়াদারি সৃষ্টির পেছনে ঈশ্বর-ফিশ্বরের হাত-টাত নেই! সাহস কতো! ব্রিটেন দেশটার ওপরে কেন যে ঈশ্বরের গজব পড়ে না!
ভ্যাটিকানের পোপের ব্রিটেন সফরের প্রাক্কালে তার সহকারী, মনে হয়, রাগ চেপে রাখতে না পেরে ব্রিটেনকে তৃতীয় বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করেছে। ব্রিটেনে গেলে নাকি সেই দেশটিকে তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত বলে মনে হয়। সে আরও বলেছে, "আগ্রাসী নব্য নাস্তিক্যবাদ ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়ছে"।
এই জাতীয় প্রলাপ শুনলে বরাবরই মনে হয়, ডরাইসে রে ডরাইসে
"পোপ যা জানতো" নামের একটি কৌতূহলোদ্দীপক অনুষ্ঠান গত ১৩ তারিখে প্রচার করেছে বিবিসি। ধর্মযাজকদের শিশুকামিতার অজস্র অভিযোগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা সত্ত্বেও তার নিষ্ক্রিয়তা রীতিমতো রহস্যজনক, আপত্তিকর ও শাস্তিযোগ্য। কিন্তু এই অনাচার বিচারের মুখ কখনও দেখবে, সে তো নেহাতই দুরাশা!
ক্যাথলিক চার্চের অনুসারীদের সংখ্যা আগের তুলনায় আশঙ্কাজনকভাবে (আমাদের চোখে - আশাপ্রদভাবে ) কমে এসেছে
চ্যানেল ৪-এর ১৪ তারিখের রিপোর্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন