শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০৫

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

শুরু করেছিলাম আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে, কিন্তু যতই এগুচ্ছি ততই মনে হচ্ছে যেন পদার্থ, রসায়ন বা জীববিজ্ঞান দূরে থাক, প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের সাধারণ জ্ঞানের কাছাকাছিও কোনো জ্ঞানও এতে নেই। আছে শুধু অজ্ঞানতার দিকে হাতছানি। চলুন, আজকের অর্জিত জ্ঞানের কিছু নমুনা দেখি।


১) সূরা বাকারা, আয়াত ১১৯: ভীতিপ্রদর্শনকারী বলতে আল্লাহ কী বুঝিয়েছেন? পেয়ারা নবী কাকে ভয় প্রদর্শন করবেন? ভয় প্রদর্শনের হেতু কী, উদ্দেশ্য কী? সাধারণ জনগণকে ভীতি প্রদর্শন করে তিনি তাঁর উম্মত বানাতে চান? কিন্তু কেন? তাঁর প্রচারিত শান্তির বাণী শুনে পাব্লিকতো দৌড়ায়া দৌড়ায়া আসার কথা। তা না, উল্টা পাব্লিক তারে মক্কা থেকে দৌড়ানি দিয়া মদীনা পাঠায় দিলো। কেসটা তো সন্দেহজনক!!!!!!!!!

২) সূরা বাকারা, আয়াত ১৬০: আমি দয়ালু, আমি জ্ঞানী, আমি বক্তা, আমি শ্রোতা, আমি বিজ্ঞ, আমি পরাক্রমশালী, আমি হেকমতওয়ালা, আমি শাস্তিদাতা, আমি ক্ষমাকারী ইত্যাদি নানান বিশেষণে আল্লাহ নিজেকে বিশেষিত করেছেন। প্রতিটা আয়াতের শুরুতে, শেষে, মাঝে, প্রাসঙ্গিক বা অপ্রাসঙ্গিকভাবে আল্লাহ নিজের ঢোল নিজে পিটিয়েছেন। "নিজের ঢোল নিজে পিটাও, অন্যকে পিটাইতে দিলে তাহা ফাটিয়া যাইতে পারে"---আল্লাহ, সম্ভবত, এই নীতিতে বিশ্বাসী। এত কাহিনী না করে এক আয়াতে নিজের সমস্ত গুণাবলীর কথা বললেই পারতেন।

৩) সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৯: দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার কথা আয়াতের মাধ্যমে বলার কী আছে! "আমাদের আত্মীয়েরা" সিরিজের শিম্পাঞ্জীও বুঝে, কেমনে ঢাকনা দেয়া বোতলের ভিতর থেকে বাদাম বাইর কইরা খাইতে হয়। আর মহা-ম্যাড এর বলদ উম্মতেরা বুঝে না যে ঘরে দরজা দিয়ে ঢুকিতে হয়, তাহাদেরকে আয়াত নাজিল করিয়া তাহা বুঝাইতে হয়।

৪) সূরা বাকারা, আয়াত ১৯১: আহা! শান্তির কী অমর বাণী! আমার কর্ণকুহরের প্রকোষ্ঠে প্রকোষ্ঠে যেন অমৃতধারার প্লাবন বইলো। আমার হৃদয়ের অলিন্দ নিলয় হতে মানবপ্রেম উপচাইয়া উপচাইয়া পড়িতে লাগিল। আমরা শুধু হত্যা করার বিষয়টি দেখলাম। কিন্তু মসজিদুল হারামের নিকটে হত্যা করতে নিষেধ করে আল্লাহ যে মানবতার গান গাইলেন, তা আমরা কেউ শুনলাম না। ধিক আমাদের বোধজ্ঞানকে।

আজকের জ্ঞানার্জন এখানেই সমাপ্ত হইল। আল্লাহর শান্তির বাণী পড়িয়া আমার মাথাব্যথা করিতেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন