আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০৪

এখন থেকে এই বিভাগটি চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করছেন ব্লগার রাইয়ান। তাঁর সচিত্র উপস্থাপনার ধরনটি চমৎকার লাগলো।

এই সিরিজে প্রকাশিতব্য কোরানের বিভিন্ন অর্থবোধক (!) ও মহামূল্য (!!) আয়াতের তেলাওয়াত, তর্জমা ও তাফসীর (অবশ্যই ধর্মকারীর ক্বারী-দের দ্বারা) করার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্ভব হলে, সে আয়াতের উদ্দেশ্য ও বিধেয়ও আলোচনা করা হবে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে তাওহীদী জনতার কথা চিন্তা করে এই সিরিজটির পুনর্জীবন দান করা হলো। 

পূর্বকথা: 
একবার এক ছাগুকে বলতে শুনলাম: মার্কনি কোরান পড়ে রেডিও আবিষ্কার করেছেন। জগদীশবাবু কোরান পড়ে গাছের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন। তাই আমিও তদ্রূপ কিছু আবিষ্কারের নেশায় মত্ত হয়ে গোড়া থেকে কোরান পড়তে শুরু করলাম এবং যা আবিষ্কার করলাম, তা ভয়াবহ। আসুন একবার দেখি, কি সেই অমূল্য বস্তু, যা আমি আবিষ্কার করেছি।


আসুন আমরা বোঝার চেষ্টা করি উক্ত আয়াতগুলো দ্বারা আল্লাহ কি বোঝাতে চেয়েছেন।

১। সূরা আল-বাকারার আয়াত ২৬: আল্লাহ মশা বা তদুর্দ্ধ বলতে আসলে কী বুঝিয়েছেন? মশা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন উড্ডয়নশীল প্রাণী? তদুর্দ্ধ মানে কী? মশার চেয়ে উন্নত প্রজাতির প্রাণী? নাকি মশার চেয়ে বেশি ওপরে উড়তে সক্ষম প্রাণী?  কিন্তু আমরা জানি, চিল, শকুন এরা মশার চেয়েও উঁচুতে উড়তে সক্ষম। তাহলে উপমা হিসেবে মশাকে ব্যবহার করার শানে-নযুল কি?

এই আয়াত প্রসঙ্গে অরেকটি প্রশ্ন: আল্লাহ অনেককে বিপথগামী করেন, আবার কাউকে সঠিক পথ দেখানোর পক্ষপাতিত্ব করেন কেন? তিনি যেহেতু মহৎ, তাঁর তো উচিত পূণ্যবান, পাপী নির্বিশেষে সকলকেই সঠিক পথ দেখানো।

২। সূরা আল-বাকারার আয়াত ১০৬: কোন আয়াত রহিত করার কারণ কী? আল্লাহর মত সর্বজ্ঞ (!) ব্যক্তির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে কেন? তিনি যদি ভবিষ্যতদ্রষ্টাই হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি একবার যে বিধান দিবেন, সেটি হবার কথা নির্ভুল, তার গ্রহণযোগ্যতা থাকার কথা কেয়ামত পর্যন্ত।

৩। সূরা আল-বাকারার আয়াত ১১১: খ্রিষ্টান বা ইহূদীরা যদি বলে তারা জান্নাতে যাবে, তাহলে প্রমাণ দিতে হবে। আর তোমরা ছাগুরা যদি বল শুধু তোমরা জান্নাতে যাবে তাহলে কোনো প্রমাণ লাগবে না। শালা, যতসব গর্দভের বাচ্চা!!!

৪। সূরা আল-বাকারার আয়াত ১১৭: তিনি হয়ে যাও বললেই যদি সব হয়ে যেত, তাহলে (কোরানের মতে) এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করতে তাঁর ৬ দিন টাইম লাগলো কেন? আসলে মুহাম্মদ নিজেও সব আয়াত মনে রাখতে পারতো না। তাই সে একই বইয়ে একেক জায়গায় একেক কথা বলে গেছে। আর তার গেলমান সাহাবীরা তা বুঝে বা না বুঝে লিখে গেছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন