আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০

ছিঃ শিরোনামের সংবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে

"ছিঃ" শিরোনামের পোস্ট পড়ে লিখেছেন তুহিন তালুকদার


ধর্ম সমাজে শৃঙ্খলা আনয়ন ও অনাচার রোধের নামে মানুষের শরীর ও শারীরিকতা বা যৌনতার উপর বিবিধ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে সমাজে অনাচার রোধ হয়েছে কি না, তাতে সন্দেহ আছে। কিন্তু অনাচারের মানসিকতা যে বেড়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণেই যৌনবিষয়ে মানুষের সঠিক মনোভাব গড়ে উঠতে পারে না। এমনকি এসব বিধিনিষেধের কারণে যৌনবিষয়ে চিন্তা করতেও মানুষ অপরাধবোধের শিকার হয়। চিন্তা-চেতনা ও মানসিকস্তরে এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মানুষের মধ্যে যৌনবিকৃতি দেখা দেয়। এরই ফলস্বরূপ ধর্ষণের মত অমানবিক, প্রেমহীন ও জোর জবরদস্তিপূর্ণ 
যৌনসম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতা দেখা যায়।

মোল্লা আব্বাস আলীর ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। আগেও এধরনের পাশবিক ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। ধর্ম যুগে-যুগে এধরণের অমানুষ তৈরি করে এসেছে। মোল্লা আব্বাস আলীর মত মানুষেরা নিশ্চিতভাবেই প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর প্রেমতাড়িত, মানবীয়, পরস্পরের সম্মতিপূর্ণ শারীরিক সম্পর্ককে নীতিবিরোধী, অনাচার বলে আখ্যা দেয়। কিন্তু একজন সন্তানের বয়সী, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে ধর্ষণের মত পৈশাচিক যৌনাচার করতে তাদের নীতিতে বাধে না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, এ ধরনের ধর্মের ধ্বজাধারী কামুকেরা শিশুদেরকে তাদের শিকার হিসেবে নির্বাচিত করে। কারণ,
১) অসুস্থ যৌনরুচি,
২) শিশুরা শারীরিক বলপ্রদানকে প্রতিহত করতে পারে না,
৩) শিশুদের ভয় পাওয়ানো সহজ।

মোল্লা আব্বাস আলীর যে বিষয়টি স্তব্ধ করে দেওয়ার মত, তা হল, ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিতা শিশুকে উক্ত ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য কোরান ছুঁইয়ে শপথ করানো। যে কোরানের যুক্তিযুক্ত সমালোচনা করলে মুসলিম জাহান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বোধ করে, সেই কোরানকে কেউ যখন নিজের অন্যায় ঢাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, তখন তাদের ধর্মীয় অনুভূতি কোন গর্তে লুকায়? তখন তো কোনো হুজুর, মোল্লা, পীর, সুফি কাউকে বলতে শুনি না কোরানের অবমাননা হয়েছে, অবমাননাকারীর শাস্তি হওয়া দরকার! হুজুর আব্বাস আলীর কোরানকে এ ধরণের কাজে ব্যবহার করা ইসলামের দৃষ্টিতে আদৌ ধর্মবিরোধী কিনা তা জানতে ইচ্ছে করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন