আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১০

যৌনকেশ, অবাধ রমণীসঙ্গম ও নাস্তিককুল

ধর্মকারীর উদ্দেশে লেখা হেইট মেইল বা হেইট কমেন্ট আমি বেজায় উপভোগ করলেও ব্লগে প্রকাশ করি না তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যাবে বলে। ধর্মকারীর উদ্দেশ্য তো বিনোদন, কলহ নয়।

তবে মনে হচ্ছে, মাঝে-মধ্যে দু'-একটির কথা বলা উচিত বিনোদনের কারণেই। এই যেমন গতকাল "মুসলিম" নিকধারী একজন খিস্তিখেউড়খচিত মন্তব্যে যা লিখলেন, তা ভদ্র ভাষায় অনুবাদ করলে অনেকটা এরকম দাঁড়ায়: এটা যৌনকেশ পরিত্যাগ করার সাইট।  এখানে সবাই এসে যৌনকেশমুণ্ডন করে যায়। শ্যালক, অবাধ রমণীসঙ্গমের লক্ষ্যে নাস্তিক সেজেছো! 

মুসলিম সাহেব, যৌনকেশমুণ্ডনের বিধান কিন্তু নাস্তিকদের নেই, আছে মোমিন মুসলমানদের। দেখুন, সহি বোখারিতে (ভলিউম-৭, বুক নং-৭২, হাদিস নং-৭৭৭) আবু হুরাইরা বর্ণনা দিচ্ছেন: "আল্লাহর রাসুল বলেছেন - ফিতরার পাঁচটি নিদর্শন: খতনা করা, যৌনকেশমুণ্ডণ করা, নখ কাটা, এবং গোঁফ ছোট করে ছেঁটে রাখা এবং বগলের লোম পরিস্কার করা।"

অতএব মোমিন মুসলমানের করিতব্য কর্মকে নাস্তিকদের ওপরে চাপানো কি ঠিক হলো? 

আর মোমিন মুসলমান আর বাকিদের মধ্যে পার্থক্য কী, জানেন তো? গড়পড়তা মোমিন মুসলমান নিম্নাঙ্গে নিয়মিত শেইভ করে, তবে ঊর্ধ্বাঙ্গে করে না। আর গড়পড়তাভাবে বাকিরা করে ঠিক এর উল্টোটা।

এর পরে আসা যাক অবাধ রমণীসঙ্গম প্রসঙ্গে। প্রথমে একটু হেসে নিই প্রাণ খুলে। কারণ নাস্তিক হবার এমন অপ্রতিরোধ্যরকমের আকর্ষণীয় কারণটির কথা জীবনে প্রথম শুনলাম 

মুসলিম ভাই, ইসলামেই তো ইহ- ও পরকালে অবাধ রমণীসঙ্গমের সমূহ সুযোগ আছে! নাস্তিকদের দোষারোপ করেন কেন? আপনাদের নবীই তো অবাধ রমণীসঙ্গমের অনুসরণীয় উদাহরণ স্থাপন করে গেছেন। বৈচিত্র্যপিয়াসী নবী গণ্ডায়-গণ্ডায় বিয়ে করেছেন, নানান বয়সী (নাতনির বয়স থেকে শুরু করে মা'র বয়সী), নানান গোত্রের ও ধর্মের। এছাড়া দাসী ও উপঢৌকন হিসেবে প্রাপ্ত মেয়েদের সাথেও তাঁর ছিলো বিবাহবহির্ভুত যৌনসম্পর্ক। তবে এ-কথাও সত্যি যে, নিজে ঈর্ষণীয় ইন্দ্রিয়পরায়ণ জীবনযাপন করলেও অনুসারীদের কথা তিনি ভোলেননি। তাদের দিয়েছেন চারটি বিয়ের অনুমতি। বোনাস হিসেবে আছে দাসী ও যুদ্ধবন্দিনীদের (গনিমতের মাল) অবাধ ভোগের অধিকার। 

এ তো কেবল ইহকালে। আর নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকের জন্য পরকালে রহিয়াছে বাহাত্তরটি করিয়া কুমারী। 

এবার আমাদের, নাস্তিকদের, অবস্থা দেখুন। পরকালে রোস্ট হওয়াই আমাদের নিশ্চিত নিয়তি। ইন্দ্রিয়সুখলাভের কোনও সম্ভাবনা আমাদের একদমই নেই। একমাত্র সুযোগ ইহকালে। আর তাই সেই চেষ্টা যদি আমরা করিও, তাতে এতো হিংসা করলে চলে, ভাই, যখন আপনাদের সুযোগ আছে গাছেরটা খাবার এবং তলারটাও কুড়োবার?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন