আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১০

নারীদের খতনা দেয়ার প্রথা


লালন প্রশ্ন করেছিলেন:
সুন্নত দিলে হয় মুসলমান
নারীর তবে কী হয় বিধান?

তিনি, বোধ করি, জানতেন না, অনেক দেশেই মুসলিম মেয়েদেরও খতনা (Female Genital Mutilation - এর অনুবাদ হিসেবে খতনা লিখছি বটে, তবে শব্দটি সঠিক অর্থ বহন করে না। কারণ ছেলেদের খতনা হচ্ছে circumcision, আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ভয়াবহ - mutilation) দেয়ার ঐতিহ্য ও প্রথার প্রচলন আছে। সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, চাদ, বুরকিনা ফাসো, সেনেগাল, মিসরসহ আরও কিছু আফ্রিকান দেশে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের কিছু অংশে এবং মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কোথাও কোথাও চর্চা করা হয়ে থাকে পাশবিক এই ঐতিহ্যের। শুধু আফ্রিকাতেই প্রতি বছরে তিরিশ লক্ষ মেয়েকে এই নারকীয় প্রথার শিকার হতে হয়।

গুগলে Female Genital Mutilation লিখে সার্চ দিলে ভয়াবহ এই অপারেশনের যতো ছবি ও ভিডিওর লিংক আসে, সেসব দেখতে হলে শক্ত নার্ভের মানুষ হতে হবে। আর এই প্রথার সমর্থন করতে হলে হতে হবে পচে-যাওয়া মানসিকতার মানুষ।

ইসলামবিদরা দাবি করে থাকেন, এই প্রথার সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। সেভাবে দেখতে গেলে মুসলমান পুরুষদের খতনা দেয়ার পদ্ধতিটিও পু্রোপুরি ইসলামী নয়। কোরানের অজস্র গাঁজাখুরি গল্পের মতো এই রীতিটিও ইহুদিদের কাছ থেকে পাওয়া। কিন্তু মেয়েদের খতনা কি সত্যিই ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কহীন?

নবীজি কী বলেছেন এ-ব্যাপারে, হাদিসের উল্লেখসহ তৈরি ভিডিও দেখা যাক:

ডাউনলোড লিংক (৪০ মেগাবাইট)

মুসলিম পুরুষদের জন্য বাধ্যতামূলক খতনা-পদ্ধতি ও তার ভয়াবহ পরিণামের পরিসংখ্যানসহ একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে চোখে পড়লো মিসরে খতনা-দেয়া এক বালিকার মৃত্যুসংবাদ। জানতে ইচ্ছে করলো, এই বর্বর প্রক্রিয়া পার হওয়া মেয়েদের মৃত্যুঝুঁকি কতোটা। শুরুতে জানলাম, মেয়েদের খতনা দেয়ার তিনটি পদ্ধতি আছে। এখানে ছবিতে দেখুন। প্রথম পদ্ধতিতে মৃত্যুঝুঁকির হার ১৫%, দ্বিতীয় পদ্ধতিতে - ৩২% এবং তৃতীয়তে - ৫৫% (সূত্র: উইকিপেডিয়া)। 

ব্রিটেনে মেয়েদের খতনা দেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও মুসলমানেরা গোপনে এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ব্রিটেনে প্রতি বছর পাঁচশোরও বেশি মেয়েকে খতনা দেয়া হয়েছে। অথচ এ বছরে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজারে, জানাচ্ছে গার্ডিয়ান (তাদের সাইটে একটি ভয়াবহ ভিডিও এমবেড করা আছে)।

প্রাসঙ্গিক একটি ভিডিও-সংবাদ। রাশা টুডে চ্যানেলের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন