রবিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ১১

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

(আমার রচনায় সাধু, চলিত, কথ্য, অকথ্য, শ্রাব্য, অশ্রাব্য সকল ভাষার মিশ্রণ থাইকতে পারে। আমার ভুল ধরা আপনাদের কাজ না। আপনাদের কাজ কোরানের আলোয় নিজেদের আলোকিত করা।)

প্রিয় কোরান পাঠক বন্ধুরা, আপনাদের জন্য কোরানের অমৃতসুধা বয়ে আনতে এবার একটু দেরী হইয়া গেল। আসলে আমি নিজে এই অমৃতসুধা পান করতে করতে এতই আসক্ত হয়ে গেসিলাম যে, বেশ কিছুদিন যাবত চোখে শুধু বেহেস্তী হুর, শরাব আর ফলমূল ছাড়া কিছুই দেখতাম না। রাস্তায় বের হলে যত বেগানা নারী দেখতাম (আল্লাহ মাফ করুক), সবাইকে আল্লাহর পাঠানো হুর বলেই মনে হইতো। একবার বাসে তো এক সুন্দরী রমণীকে দেখে আমার মধ্যে "রসুলুল্যার আদর্শ" মাথাচাড়া দিয়া উঠসিল। সে প্রকৃতপক্ষেই হুর কি না, তা পরখ করতে গিয়েই গোলমালটা বাধল। আরেকটু হলেই সে তার হিলজুতার ব্র্যান্ড আমার গালে ছেপে দিত। কিন্তু আল্যার অশেষ রহমতে বাসের লোকজন আমাকে মাঝপথে নামিয়ে দিয়ে আমার সম্মান রক্ষা করেছিল। কথায় আছে না, মানীর মান আল্যায় রাখে। ঠিক সেভাবেই আল্যা আমাকে অপমানের হাত থেকে রক্ষা করল। ঐ হারামজাদী যে দোযখে যাবে, এতে কোনো সন্দেহই নাই, তবে আল্যা তাকে কোন দোযখে পাঠাবে সেটাই চিন্তা করি। মনে মনে বলি, "হে নাদান লাড়কি, আমাকে অপমান করসস, তাতে কোনো আপসোস নাই, কিন্তু রসুলুল্যার আদর্শের যে পাছা মাইরা দিলি---সেই অপরাধে তো তোর হাবিয়া দোযখেও জায়গা হবে না।" আল্যা তাকে মাফ করুক। আহা রে! এত সুন্দর মাইয়া দোযখের আগুনে পুড়বে---ভাবলেও মনটা ব্যথায় ভইরা যায়।

ধুত্তারি, বলতে গেলাম কোরানের কথা, আইসা পড়ল সুন্দরী নারীর কথা। যাউকগা, আসল কথায় আসি। সভ্যতার শুরুর দিকে যখন মুদ্রার প্রচলন হয় নাই, তখন মানুষ বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নিজের অভাব পূরণ করত। কিন্তু আপনারা কি কেউ জানেন, এই বিনিময় প্রথার কথা আল্যাই প্রথম কোরানে বলেছেন। আজ আমরা বিনিময় প্রথার সৃ্ষ্টি সম্পর্কে জানব, বন্ধুত্বের সীমারেখা সম্বন্ধে জানব, বেহেস্তের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্বন্ধে জানব এবং কোরান অবতীর্ণ হবার অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যের কথা জানব। চলুন নিচের আয়াতগুলো পড়ি।


১) সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৪৫: কী বুঝলেন, জনাব? দয়ার সাগর আল্যা বলেছেন, চোখের বদলে চোখ, কানের বদলে কান, নাকের বদলে নাক এবং জখমের বদলে সমান জখম (কম-বেশী হতে পারবে না)। এর চেয়ে বেশী নিখুঁত বিনিময় প্রথা কি এই বিশ্বে আর কোথাও পাবেন? এই আয়াতে ক্ষমার কথা এসেছে পরে। ক্ষমা আবার কি? আপনি যদি প্রতিপক্ষের সাথে শক্তিতে না পারেন, তখন আসবে ক্ষমার কথা। আপনি পারার পরও যদি ছাইড়া দেন, তাইলে তো আপনি কাপুরুষ। আর মুসলমানরা বড়ই সাহসী জাতি। এই ধর্মে কাপুরুষদের কোনো স্থান নেই।

২) সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৫১: এখানে আল্যা মুমিনদেরকে বলেছেন ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের সাথে বন্ধুত্ব না করতে। ঠিকই তো আছে। মুসলমান বন্ধুত্ব করবে মুসলমানের সাথে। ইহুদির সাথে কী! মুহাম্মাদের উপরে কোন রসুল আছে--এই কথা যে বলে, সে তো অবশ্যই (আলেমের বাপ) জালেম। আর মহান আল্যার এত ঠেকা লাগে নাই যে, তিনি জালেমদের রাস্তায় ল্যাম্পপোষ্ট লাগায়ে বিদ্যুতের অপচয় করবেন।

৩) সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৮৫: আল্যা যে কতবড় আর্কিটেক্ট তা এই আয়াতেই বোঝা যায়। আমাদের দেশে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা থাকার কারণে কত জায়গা নষ্ট হইতাসে। একবার চিন্তা করেন, এই সব জলাশয় যদি মাটির নিচে থাকত, তাইলে আবাদী জমি কত বাইড়া যাইত। এটা চিন্তা কইরা আল্যা বেহেস্তের নদীগুলানরে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠায়া দিসে। হিসাব সোজা। বেহেস্তে যার যার পানির লাইন লাগবো, সে ঐ আন্ডারগ্রাউন্ড নদী থেইকাই লাইন নিবো। এতে সমস্যা একটাই। বেহেস্তবাসীদের স্যুয়ারেজ লাইনও ঐ নদীতে গিয়া পড়বো। তবে বেহেস্তী ফল খাইয়া হাগবে তো, তাই সেই হাগুও অতি সুমিষ্ট ও সুগন্ধযুক্ত হবে।

৪) সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত ৯৪: এই আয়াতটির অর্থ বুঝার জন্য আমি সুদূর চীন পর্যন্ত গেছি। সেখানে এক ইসলামী স্কলার আমাকে বললো, এ দুনিয়ায় কিছু মূর্খ মানুষ ইন্টারনেট, কৃত্রিম প্রাণ, মহাকাশযান ইত্যাদির পিছনে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করবে, আর কিছু জ্ঞানী মানুষ সব বাদ দিয়ে শুধু কোরান নিয়েই থাকবে। এই সকল জ্ঞানী মানুষেরা সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে দু-পা থাকা সত্বেও গর্দভ নামক এক প্রকার অতি সুদৃশ্য ও ভারবাহী জীবে পরিণত হবে। কেবলমাত্র তারাই এই আয়াতের অর্থ বুঝতে পারবে। সাধারণ মানুষ পারবে না।

৫) সূরা আল-আন-আম, আয়াত ৮৫: এখানে কোরান অবতীর্ণ হবার কারণ বিষয়ে আল্যা কথা বলেছেন। আপনারা যারা শিক্ষিত, তারা নিশ্চয় বিভিন্ন সময় সার্টিফিকেট এটেস্ট (সত্যায়ন) করতে যান (অথচ আল্যাই সর্ববৃহত এটেস্টকারী)। ঠিক সেরকম, আল্যাও এটেস্ট করছেন যে, কোরান যেসব গ্রন্থকে সত্য বলে মানে, শুধুমাত্র সেগুলোই সত্য। বাকিগুলো মানুষই নিজে লেখিয়া আল্যার নামে চালাইতেসে। অতএব ধর্মবই কিনা বা পড়ার আগে যাচাই করে নিন---তা "হেরা প্রকাশনী" কর্তৃক প্রকাশিত ও বেহেস্তী হলোগ্রাম স্টিকারযুক্ত কিনা। আর এই এটেস্টেড গ্রন্থ দিয়া রসুলুল্যা যাতে পাবলিকরে ডর দেখাইতে পারে, সেজন্যই আল্যা কোরান পাঠিয়েছেন।

কোরান পাঠকগণ, কোরাণ পাঠ আসরের দীর্ঘ বিরতিতে আপনাদের যে জ্ঞানতৃষ্ণা জাগ্রত হয়েছিল--আশা করি তা কিছুটা হলেও নিবৃত করতে পেরেছি।

নাস্তিকগণের দৌড়... কী পর্যন্ত?


হে ভোদাই নাস্তিককুল, তোমাদিগের গোপুরীষ-পূর্ণ মস্তিষ্কপ্রসূত ততোধিক ভোদাই প্রশ্নমালার জবাব দিতে দিতে বিশ্বাসী ভাই ও বোনসকল ক্লান্ত, বিরক্ত, ত্যক্ত, কুপিত... ইত্যাদি ইত্যাদি। তো এক আস্তিক ভগিনী তোমাদিগের উদ্দেশে সরল একটি প্রশ্ন করিয়াছে: "ঈশ্বর যদি না-ই থাকবে, তো..." (ভিডিও দ্রষ্টব্য)

তোমরা বিস্তর পড়াশোনা করিয়াছো এবং অগাধ জ্ঞানের অধিকারী বলিয়া শোনা যায়। যুক্তিবিদ্যা নাকি সম্পূর্ণতই তোমাদিগের ব্যবহার্য এবং উহা তোমাদিগের প্রধান অস্ত্র বলিয়া দাবি করিয়া থাকো। তাহা হইলে আইসো, এক বালিকার স্বপ্নে-প্রাপ্ত সরল প্রশ্নটির সদুত্তর দাও। বেচারা নিদ্রাত্যাগের অব্যবহিত পরেই আলুথালু বেশে ওয়েবক্যামের সম্মুখে আসিয়া বসিয়াছে। রূপচর্চা করিবার চিন্তাও তাহার মস্তিস্কে আবির্ভূত হয় নাই। বা হইলেও রূপচর্চা অপেক্ষা ঈশ্বরসেবা শ্রেয় জ্ঞান করিয়া সে মোক্ষম যে-প্রশ্নখানি নিক্ষেপ করিয়াছে, তাহা নাস্তিকগণকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্র ও অসহায় বানাইয়া ফেলিবে। অতএব হে নির্বোধ নাস্তিকসকল, তোমরা যে প্রকৃতই বেকুব এবং তোমাদিগের জ্ঞান, বুদ্ধি ও শিক্ষার পরিধি যে কতোখানি বিস্তৃত (অর্থাৎ সীমিত), তাহা প্রমাণিত হইতে আর বিলম্ব নাই 

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ১৮


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা তেরোশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

২. পাসপোর্ট কন্ট্রোল (ক্লাসিক ভিডিও)
৩. জঙ্গির রকমফের (কার্টুন) 

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

বিশ্বাসী না শোনে যুক্তির কাহিনী


TheAmazingAtheist নামের খ্যাপা এই নাস্তিক উঁচু গলায় কথা বলে অভ্যস্ত, তবে তিনি বরাবরই খুব যুক্তিবাদী। এই ভিডিওতে এক নব্যধার্মিকের ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছেন অবলীলায়। বেজায় উপভোগ্য।

যিশু ও টোস্ট: কে কার?

ধর্মভূতাক্রান্ত খ্রিষ্টানেরা অনেক সময়ই টোস্টে যিশুর প্রতিকৃতি দেখতে পায়। এবারে যিশুর প্রতিকৃতিতে টোস্ট দেখা গেছে!


আমাদের আত্মীয়েরা – ০৮


ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তৈরি প্রায় একশো মিনিটের অসাধারণ ডকুমেন্টারি।

শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১০

ধরা খেলো ইসলামবিদ

পদে পদে উচ্চারণ করা আরবি শব্দের অর্থ জানে না ব্রিটিশ ইসলামবিদ 

প্রকৃত মুসলিম মানস


তথাকথিত "মডারেট" মুসলমানদের সুবিধাবাদী অবস্থান দেখুন কার্টুনে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় জিসাস ক্যাম্প


শিশুমস্তিষ্কধোলাইকরণ পদ্ধতি প্রয়োগে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ধর্মগুলো। "জিসাস ক্যাম্প" নামের একটি ভয়াবহ ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়েছিল ধর্মকারীতে। সেই ঘটনা ছিলো আমেরিকার। এবারে দেখা যাক ছোট্ট একটি ভিডিও। দক্ষিণ কোরিয়ায় চিত্রিত। স্পষ্টতই শিশুনির্যাতনের (নির্যাতন মানেই তা শারীরিক, তা কিন্তু নয়) একটি ধরন।


আরেকটি ছোট্ট উদাহরণ দেখুন। ২০০৮ সালে ব্রিটেনে প্রচারিত Dispatches - In God's Name নামে ডকুমেন্টারির ট্রেইলার। 

ডাউনলোড তরিকা

হাসিমুখ লোগো


আমার দেখা সবচেয়ে হাসিমুখ নির্ধর্মবাদী লোগো। সংগঠনের নামটিও চমৎকার: AAA অর্থাৎ Alabama Atheists and Agnostics। AAaA-ও বলা যেতে পারতো 

বৃষবিষ্ঠা বা বল্দার্গু – ০৩


(ধর্মের সঙ্গে আপাত সম্পর্কহীন এই সিরিজটি ধর্মকারীতে প্রকাশের কারণ একটিই: তথ্য-প্রমাণহীন যে কোনও বিশ্বাসের প্রচার ও প্রসার ক্ষতিকারক। ধর্মসহ এই জাতীয় যাবতীয় অপবিশ্বাস থেকে মুক্ত হতে পারলেই নিজেকে প্রকৃত মুক্তমনা বলা যেতে পারে। তার আগে নয়।)

এই পর্বে দেখুন, বিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লেষহীন বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতিগুলো বস্তুত কেন বৃষবিষ্ঠা বা বল্দার্গু।

Penn & Teller জুটির উপস্থাপিত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপবহুল ব্যাশিং টিভি-সিরিজ "বুলশিট"-এর এই পর্বের (তিরিশ মিনিট) বিষয়বস্তু: বিকল্প ধারার চিকিৎসাপদ্ধতি।



* বুলশিটের বাংলা প্রতিশব্দ দু'টি বের করেছেন ব্লগার হিমু (হাঁটুপানির জলদস্যু)

শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১০

আদমচরিত ০১

(ধর্মপচারকের পক্ষ থেকে: এই পোস্টের লেখক "মুখফোড়" সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ভূমিকা দেয়া আবশ্যক বলে মনে করি। আমার মতে, বাংলা ব্লগ-পরিমণ্ডলে সবচেয়ে শক্তিমান ব্যঙ্গ-লেখক তিনি। আমার সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করবেন, এমন লোকের সংখ্যা অজস্র। কল্পনাতীত কল্পনাশক্তি তাঁর, তীব্র বিদ্রূপাত্মক ভাষা আর অসাধারণ স্মার্ট তাঁর গদ্য। তাঁর অনেক রচনাই ধর্মকারীর চরিত্রের উপযোগী। তিনি তাঁর সেই লেখাগুলো প্রকাশের অনুমতি দিয়ে ধর্মকারীকে কৃতজ্ঞ করেছেন।)

লিখেছেন মুখফোড়

(আদমচরিত শব্দটির ওপর আমি পোস্টের শিরোনাম হিসেবে মৌরসী পাট্টা নিলাম। এখন থেকে আদম ব্যাটার কান্ড কারখানা ধারাবাহিকভাবে ফাঁস করা হবে।)

আদম একটু দুষ্টু, নিয়মকানুন মানতে চায় না। কিন্তু স্বর্গের নন্দনকাননের কানুন বড় কঠিন, পান থেকে চুন খসলে স্বর্গ থেকে খেদিয়ে দেয়া হয়। আদম সেটা জানে, কিন্তু পরোয়া করে না। বড় ব্যাদড়া।

ঈভ আগের রাতে কচুসেদ্ধ আর ভাত রান্না করেছিলো। পেটপুরে খেয়েছিলো আদম।
ঈভ মাগী তরকারিতে সবসময় লবণের নয়ছয় করে, কিন্তু গতরাতে একেবারে টিপটপ লবণ ছিলো সালুনে। শানকি চেটে ফর্সা করে দিয়েছিলো আদম। ঈভ ঠাট্টা করে বলেছিলো, ভুলো কুত্তাটার জন্যেও কিছু রাখলে না? আদম মনে মনে এক দুষ্টু স্বর্গদূতের কাছে শেখা কয়েকটা বাজে গাল দিয়েছিলো ঈভকে। আরে, কুত্তা কচু খায়? কচু তো খায়, শুয়োর! ঈশ্বর তো সেদিন বলেছিলেন, রতনে রতন চেনে শুয়োরে চেনে কচু!

কিন্তু অমন পেটপুরে খেয়েই আদমের কাল হয়েছে। স্বর্গের উদ্যানের একটু দূরে চরতে বেরিয়েছিলো সে বিকেলে, সন্ধ্যে হবো হবো করছে, কুটির বহুদূর, এর মধ্যে প্রবল টাট্টি চেপেছে আদম বাবাজীর। বাধ্য হয়ে এক ঝোপের আড়ালে বসে পড়েছে সে।

স্বর্গে যেখানে সেখানে হাগু করা কঠোর দন্ডনীয় অপরাধ। কত গরুছাগল এই অপরাধে স্বর্গচ্যুত হয়ে পৃথিবীর এখানে ওখানে ছিটকে পড়েছে। কিন্তু আদম বড় ব্যাদড়া। তাছাড়া কাপড় নষ্ট করাও স্বর্গে নিষিদ্ধ। কী করবে বেচারা? পড়েছে শাঁখের করাতের মুখে।

গুনগুন গান গাইতে গাইতে একেবারে মন খুলে হেগে যাচ্ছে আদম, এমন সময় তার মনে হলো, ঝোপের বাইরে দাঁড়িয়ে কে যেন তাকে দেখছে। আদমের একটু ভয় লাগলো, শিয়াল না তো? শিয়ালে কামড়ে দিলে জলাতঙ্ক হবে তো!

কাঁপাকাঁপা গলায় আদম বলে, "ক্যাঠা রে? ক্যাঠা ঐখানে? ঐ কথা কছ না ক্যা?"

এবার কে যেন ছুটে পালায় সশব্দে।

আদম একটু নিশ্চিন্ত হয়। খাটাস হবে কোন। শালা, হাগুর সময় দিষ্টোরাপ!

কয়েকটা বড় বড় পাতা প্রয়োগে একটু সাফ সুতরো হয়ে আদম আবারও নিজের আপেলপাতাটা কোমরে পরে নেয়।

পরদিন সকালে একেবারে কুরুক্ষেত্র বেধে যায়।

স্বর্গের পত্রিকা দৈনিক স্বর্গবার্তা খুলে আদম হতবাক! একেবারে প্রথম পৃষ্ঠায় তার ছবি ছাপা হয়েছে, ঝোপে বসে হাসিমুখে মলত্যাগ করছে সে। বড় বড় লাল শিরোনাম, 

"আদমের কান্ড!"

পত্রিকা পড়ে আদম শিউরে ওঠে, একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, আদম কী কী গান গাইছিলো, কোন দিকে মুখ করে এই কর্মটি করছিলো, কী কী পাতা দিয়ে পরিষ্কৃত হলো তার বুকভাঙা বিবরণ। আর এহেন কুকর্মের কুফল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ স্বর্গদূতদের সাক্ষাৎকারও আছে। পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে আদম, এ ব্যাপারে কারও কোন সন্দেহ নাই।

ঈভ তো পত্রিকা পড়ে হেসে খুন। আদম বার কয়েখ চোখ রাঙিয়েছে, ঈভ বারণ শোনে না, সে বড় অবাধ্য। আদম মনে মনে শপথ উচ্চারণ করে, ঈভকে সে একদিন রীতিমতো ইয়ে করে ছাড়বে!

আদমের পত্রিকা পড়া শেষ হতে না হতেই এক লেঠেল স্বর্গদূত এসে মোচে তা দিয়ে বলে, "আদম, চলো হামার সাথে! কর্তা তোমাকে বুলাইতেছে!"

আদমের হাঁটু কেঁপে ওঠে। সর্বনাশ, স্বর্গবাসের পালা চুকলো নাকি?

আদম ঈশ্বরের কাছে গিয়ে একেবারে পায়ের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে কান্না জুড়ে দেয়। লজ্জা পেয়েছে সে। ঈশ্বর ভ্রুকুটি করেন। আদম ইনিয়ে বিনিয়ে সব খুলে বলে, কিভাবে ঈভ কচুসেদ্ধ রান্না করেছিলো, লবণ ঠিক হওয়ায় লোভে পড়ে বেশি খেয়ে ফেলেছিলো সে, পরে বেগ সামলাতে না পেরে ঝোপেঝাড়ে কাজ সারতে হয়েছিলো। সে বড় লজ্জিত, এমনটা সে আর করবে না।

ঈশ্বর একটু নরম হয়ে আসেন। বেচারা, ছেলেমানুষ। না হয় একটু বেজায়গায় হেগে ফেলেছে, জ্ঞানবৃক্ষের ফল তো আর খায় নি! থাক। তিনি এবারের মতো আদমকে ক্ষমা করে দ্যান।

আদম চোখ মুছতে মুছতে আবার ঘরের দিকে হাঁটা শুরু করে। হাঁটতে হাঁটতে সে ঈশ্বরের অলক্ষ্যে এক কঠিন শপথ নেয়। এক দিন আসবে, আজ হোক কাল হোক দশ বছর পর হোক, এই মিডিয়ার মস্তানি সে নিকেশ করে ছাড়বে। সে না পারলে তার পুত্র, পুত্র না পারলে পৌত্র, পৌত্র না পারলে প্রপৌত্র ... পুরুষানুক্রমে মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরবে আদম। ব্যাটারা সব ফাঁস করে দেয়!

(আচ্ছা, আমাদের মন্ত্রীরাও তো সব আদমসন্তান, নাকি?) 

বিশ্বাসে মেলায় স্বর্গ


ধর্মবিশ্বাসী মা তাঁর পুত্রসন্তানকে যেভাবে স্বর্গে পাঠালেন, তার ভিডিওচিত্র দেখুন।

খবরটি অবশ্য গত বছরের, তবে আবেদন তার সর্বকালীন।

শান্তির ধর্মের অপার মহিমা

শান্তির ধর্ম শান্তি প্রচারের উদ্যোগ কীভাবে নেয়?

প্রথম আলোতে ছাপা এই ছবিটা দেখে মন ভরে গেল!

কাল্পনিক ক্যাথলিক


ক্যাথলিকদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে দেখেই, বোধ করি, ভ্যাটিকান কাল্পনিক চরিত্রগুলোকেও ক্যাথলিক বানিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে  
সম্প্রতি কার্টুন সিরিজ সিম্পসন-এ পিতাভূমিকার হোমার সিম্পসনকে ক্যাথলিক বলে দাবি করেছে ভ্যাটিকান 


এখন চলুন, দেখা যাক হোমার সিম্পসন কেমনধারা ক্যাথলিক। তার কিছু উদ্ধৃতি:


... I've always wondered if there was a god. And now I know there is -- and it's me.

... Dear Lord: The gods have been good to me. For the first time in my life, everything is absolutely perfect just the way it is. So here's the deal: You freeze everything the way it is, and I won't ask for anything more. If that is OK, please give me absolutely no sign. OK, deal. In gratitude, I present you this offering of cookies and milk. If you want me to eat them for you, give me no sign. Thy will be done.

... I'm normally not a praying man, but if you're up there, please save me Superman!

... I put out these milk and cookies as a sacrifice. If Thou wishest me to eat them, please give me a sign by doing absolutely nothing. MMMMmmmm...

... Suppose we've chosen the wrong god. Every time we go to church we're just making him madder and madder.

এবং চোদ্দ সেকেন্ডের একটি ভিডিও: রোববার সকালের ঘুম বিসর্জন দিয়ে চার্চে যেতে বড়োই অনীহ সে।

মধ্যযুগীয় মননের অভ্যন্তরে – ০৩


"মধ্যযুগ" শব্দবন্ধের ধারণাটি সঙ্গত কারণেই ঘৃণিত। সেটি ছিলো ধর্মবিশ্বাস, অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের সবচেয়ে "গৌরবোজ্জ্বল সময়। মানুষের যুক্তিবুদ্ধি দাবিয়ে রাখা হয়েছিল। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা রোধ করতে অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ডসহ যাবতীয় অপকর্ম সাধিত হয়েছিলে ধর্মের নামে।

সেই মধ্যযুগীয় মানসিকতাটি কেমন ছিলো? জানতে হলে অবশ্যদ্রষ্টব্য বিবিসি-র তৈরি চার পর্বের এই ডকুমেন্টারি। একঘণ্টার তৃতীয় পর্বের নাম - বিশ্বাস। বাকি এক পর্ব? একটু ধৈর্য ধরতে হবে 

ইসলামী ইতরামি: হত্যার তাণ্ডব


ধর্ষিতা মেয়েকে ইসলামী রীতিতে পাথর ছুঁড়ে হত্যার কাহিনী স্মরণ করতে না করতেই আরেকটি ঘটনা। গতকাল সেই সোমালিয়াতেই ইসলামীরা চোদ্দ এবং আঠারো বছরের দুই বালিকাকে গুলি করে হত্যা করেছে ভয় দেখিয়ে সমবেত করা দর্শকদের সামনে। তাদের দু'জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ইথিওপিয়ার পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির। 

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১০

সচিত্র হা-হা-হাদিস – ২০


মোমিন মোছলমান ভাইগণ, আপনাদিগকে বলা হইয়াছে, আল্লাহপাকের ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। তবে আপনারা কি অবগত আছেন যে, আপনারা যখন হাই তোলেন, তখন উহাতে আল্লাহপাকের কোনও ভূমিকাই নাই? দ্বীনের নবী স্বয়ং বলিয়াছেন, উহা শয়তানের কীর্তি 

বিশ্বাসে বিষ শ্বাসে


অন্ধ ধর্মবিশ্বাস মানুষের মন থেকে মানবতা মুছে ফেলে। ধ্বংস করে ফেলে সাধারণ বোধ-বিবেচনাশক্তি। ঈশ্বর বা ধর্মের নামে যে কোনও কুকর্ম করতে সে এতোটুকু কুণ্ঠিত হতে হয় না। জানি, এসবই জানা কথা। তবু পুনরাবৃত্তি করতে হলো এই ভিডিওটি দেখে। 

ঘৃণা প্রচারে ও প্রকাশে অক্লান্ত, কুখ্যাত Westboro Baptist Church-এর প্যাস্টরের পুত্রের মুখেই শোনা যাক।

ইসলামী বিচারে নারীর অপরাধ - সে ধর্ষিতা

কেন যে ঠিক দু'বছর আগের এই ঘটনা চোখে পড়লো আবার! ইসলাম তার স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল আরেকবার, ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর তারিখে। সেদিন আয়েশা নামের ১৩ বছর বয়সী এক বালিকাকে ১০০০ দর্শকের সামনে ৫০ জন পুরুষ পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিল। মেয়েটির "অপরাধ" ছিলো, তিনজন পুরুষ ধর্ষণ করেছিল তাকে! জনাকয়েক দর্শক তাকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। মারা পড়ে এক দর্শক-বালকও।

ক্ষোভে-দুঃখে অসহায় বোধ করি। অনেককিছু বলতে ইচ্ছে করে, কিন্তু প্রকাশপথ রোধ করে চিন্তাজট। তবে জার্মান এক ব্লগার বলতে পেরেছেন তাঁর মনের কথা। কিন্তু কেন যে পড়তে গিয়েছিলাম!

ধিক ইসলাম!

পুনশ্চ. পাথর ছুঁড়ে হত্যার সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই বলে কোনও মডারেট-বেমডারেট মোছলমান ভাই কথা বলতে চাইলে তাদেরকে জানাই: নবীজি নিজেই এই পদ্ধতির চর্চা করেছেন এবং তা প্রয়োগের সুপারিশও করেছেন। এখান থেকে বেশ কিছু হাদিস পড়ে নিশ্চিত হবার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নতুবা সেই হাদিসগুলোর পিডিএফ সংকলন (মাত্র ২০০ কিলোবাইট) ডাউনলোড করে নেয়া যেতে পারে।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১০

ঈশ্বরের ক্রয়মূল্য


রাশিয়ায় তোলা ছবি। ছবির সঙ্গে সাঁটা কাগজে লেখা: ঈশ্বর, ২২৬৬ রুবল, ২৭০০ রুবল... 

প্যাট্রিক কন্ডেল: আমাদের লোক – ২৫


বহুদিন তাঁর কোনও নতুন ভিডিও না পেয়ে আশঙ্কা হচ্ছিলো, ধর্মীয় জঙ্গিরা তাকে গুম করে হয়তো ফেলেনি, তবে এমন হুমকি হয়তো দিয়েছে যে...

আজ নতুন ভিডিও পেয়ে বড়ো পুলক অনুভব করলাম। অতীব খাসা বক্তব্য, একেবারে অপ্রতিরোধ্য যুক্তি। সেই চিরপরিচিত প্যাট কন্ডেল। 

নিম্ননেটস্পিডগ্রস্তদের জন্য অডিও ভার্শন (৩.১ মেগাবাইট) লিংক দেয়া হলো। এছাড়া তাঁর বক্তব্য থেকে কিছু চুম্বক-অংশ উদ্ধৃত করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলাম না।

I've examined religion quite closely and I've found its version of reality to be false, insulting and degrading. I've also found its implementation to be sinister, coercive, fraudulent and grossly immoral, especially woth regard to children. You see, one thing I do believe is that to indoctrinate a child with the bigotries of religion is a predatory assault on an unformed mind. It's an act of sabotage, a mental circumcision that ought to be against law. One day it will be, and the term "human rights" might actually start to mean something.

... Admitting you don't know something is not the same as believing in nothing. Pretending you do know when you don't is much closer to be believing in nothing because when you believe falsehood against all reason, truth has no way in.

... I don't know if science does have all the answers, but I'm pretty sure religion doesn't have any of them, especially when I look at some of the people who run it.

... a miracle is actually very helpful to me because it enables me to hold strong absolutist opinions about things without the need to actually know or understand anything. And predictably I suppose, it makes me sympathetic to the idea that knowing and understanding things should be blasphemy. A neat trick that enables me to drag everybody else down to my level or crass and wilful ignorance without having to make any kind of intellectual investment whatsoever. Yes, I thought you'd be impressed. And if anyone should challenge me on it I can simply accuse them of hate speech and shut them up quicker than a cow's arse in fly time.

লক্ষ্য করুন, ভিডিওটি সাবটাইটেলসহ দেখার ব্যবস্থা আছে।


ডাউনলোড লিংক (৩৮.৪ মেগাবাইট)

ভাবমূর্তি পরিবর্তনের তালিবানী উদ্যোগ

তারা আর নাক-কান-জিভ কেটে নেবে না, স্কুল উড়িয়ে দেবে না, পাথর ছুঁড়ে হত্যা করবে না... 
তালিবানী নতুন অ্যাড-ক্যাম্পেইন 


'ক্ষোদা', তুমি কার

সব ধর্মই দাবি করে, তাদের ধর্ম বাকি ধর্মগুলোর চেয়ে শ্রেয়তর এবং তাদের ভগবান/ঈশ্বর/আল্লাহ তাদের পক্ষে। কিন্তু হাজার-হাজার ধর্মদল মাঠে নামিয়ে দিয়ে আসমানে বসে থেকে তিনি যে আসলে কোন দলকে সাপোর্ট করেন, সেটা কখনওই স্পষ্ট হয়ে ওঠে না। নিচের খবরটি পড়ে মনে হচ্ছে, তিনি ইহুদি দলের সমর্থক 

এক ইহুদি-মোল্লা (র‌্যাবাই) জব্বর এক ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাটায় বলেছে, পৃথিবীর সব অ-ইহুদিই গাধা (প্রাণী অর্থে), ভারবাহী পশু এবং ইহুদিদের সেবা করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য

ভিন্নধর্মাবলম্বীদের জন্তু-জানোয়ারের নামে ডাকার প্রথা অবশ্য কোরানেও আছে। আসলেই বুঝি না, ক্ষোদা, তুমি কার?


* শিরোনামটি দ্রোহীর মন্তব্য থেকে মেরে দেয়া।

লিঙ্গাগ্রত্বকরহস্য


TheThinkingAtheist-এর তৈরি ভিডিও নিয়ে নতুন কিছুই বলার নেই। বক্তব্য ক্ষুরধার, উপস্থাপনা পেশাদারী। এক কথায় - অসাধারণ।

ধর্মের আরও একটি অবদান



গ্রাফ দেখুন।



* লিংক পাঠিয়েছেন প্রিয়াম শংকর ঘোষ।

Saudi-রা যখন Audi-তে


বড়োই মজাদার গান 


লিরিকস:

Hey there hotty, hey there cutie
want a ride in my Audi?
I drive fast, in high speed moody
passing like I am Doug Flutie

It has everything you need
imitation leather seat
heater so it don't get colder
even has a mustache holder

Headlight so I see at night
cup holder for my sprite
it is flex fuel, don't you know
runs on gas and on cologne

you think that my judgment's cloudy
you say that it's pronounced "Audi"
hit mute button, quit your fussin
it's car, it's not belly button

Saudis in Audis...

I have mustache, I have shades
I have shiny new A8
My Audi is so sick
even is my profile pic

Crank the AC cuz it's hot
driving crazy through Riyadh
GPS so we go places
to AX and the oasis

Drive to Emirates tonight
shopping for some stuff Dubai
drive Audi out in Amman
even we go to Cinnabon

Up to Jeddah, down to Mecca
bet I never drive a Jetta
gas on empty, don't use a frown
Saudis just put hose in the ground

Saudis in Audis...

They call me oil, I'll tell you why
it's because I'm crude and unrefined
Like cooking burgers for a meal
you need four circles on the grill

Seated heats yes I'm all on ya
see this piece staight from Allmagne
gonna go and take us a real long drive
longer than it takes us to do the whites

So how can you tell if Audi
is driven by a Saudi?
here's a couple things you'll notice
if you think the car belongs

blue eye hanging, never tangle
license plate long and rectangle
Need more proof? Just pop the hood
Saudis use 10 W KHHH

Saudis in Audis...
Saudis in Audis...


লিংক পাঠিয়েছেন হিমু

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ১৭


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা তেরোশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

২. বানর বিষয়ে গাধার প্রশ্ন (ভিডিও, রিচার্ড ডকিন্স)
৩. আবারও বলি: সকল ধর্ম নিপাত যাক! (ধর্মের নামে শিশুনির্যাতন, ভিডিও)
৫. গড উইল ফাক য়্যু আপ! (অতীব চমৎকার গান, ভিডিও) 

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

হ্যালোউইন: তালিবান স্টাইল


নবীজির যুগে হ্যালোউইনের প্রচলন থাকলে...

খ্রিষ্টান জঙ্গিরা


হুমায়ুন আজাদ একবার লিখেছিলেন, "ভণ্ড" বললেই "পীর" শব্দটি চলে আসে। ঠিক সেভাবেই "জঙ্গি" বললেই অবধারিতভাবে মাথায় আসে "ইসলামী" শব্দটি। কারণ হয়তো এই যে, "প্রত্যেক মুসলমান জঙ্গি নয় বটে, তবে প্রায় প্রত্যেক জঙ্গিই মুসলমান"। যাদের কারণে "প্রায়" বলতে হলো, তাদের একাংশের কাহিনী শুনুন। আমেরিকায় অ্যাবোরশন-বিরোধী আন্দোলনে খ্রিষ্টধর্মবাদী এই জঙ্গিগুলোর সক্রিয়তার নমুনা দেখুন ভিডিওতে।

ইসলামী ইরোটিক অ্যাপ্রন

হালকা ইয়ে টাইপ কার্টুন। ইমোটা খিয়াল কৈরা! 

আরেকটি হিচেন্সীয় বিতর্ক


ক্রিস্টোফার হিচেন্সের সঙ্গে ব্রিটিশ খ্রিষ্টধর্মবিদ Alister McGrath-এর প্রায় একশো মিনিটের বিতর্ক। বড়োই উপভোগ্য। এবং তা অবশ্যই হিচেন্সের ক্ষুরধার যুক্তি, লক্ষ্যভেদী ব্যঙ্গ এবং প্রতিপক্ষের "অনেক-কথা-যাও-যে-ব'লে-কোনো-কথা-না-বলি" ধরনের নির্দিষ্ট বক্তব্যহীন বক্তব্যের কারণে। 

রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ১০

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

আমাদের মানবজীবনে যত রকমের সমস্যা আছে, তার সকল সমাধান নাকি কোরানে দেয়া আছে। কোরান ঠিকভাবে অর্থ বুঝে পড়লেই নাকি জাগতিক সকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। ইতিপূর্বে আমরা কোরান পাঠ করে জানতে পেরেছি, কীভাবে নারীকে ব্যবহার করতে হবে, কোন নারীকে বিবাহ করতে হবে, কোন নারীকে ঈমানের পথে ধরে রাখার জন্য প্রহার করতে হবে, কীভাবে মুসলমান হত্যার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, কীভাবে বিধর্মীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অন্য মুসলমানদের উৎসাহিত করতে হবে, বিধর্মীদের বিশ্বাস করা সমীচীন কি না, "ঘরের পেছনের দরজা" ব্যবহার করা যাবে কি না, পানি পাওয়া না গেলে আকাম-কুকামের পর কীভাবে নিজেকে পবিত্র করতে হবে, ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বরূপ কেমন হবে ... ইত্যাদি। আরও পড়তে থাকলে আরও হয়তো অনেক কিছুই জানতে পারবো। আজকে দেখবো, সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা কীভাবে করতে হবে, রসূলের সাথে বে-তমিজ আচরণ করলে কী শাস্তি দিতে হবে এবং চুরি করলে কী সাজা হবে ইত্যাদি। নিচের আয়াত গুলো পড়ুন।


সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৭৬: এখানে সম্পত্তির বন্টন কীভাবে হবে, তাই আলোচনা করা হয়েছে। একেকজন মানুষের ভাই-বোন, পুত্র-কন্যার সংখ্যা একেক রকম। কারও ভাই আছে তো বোন নেই, কারও বোন আছে তো ভাই নেই, কারও কোনোটাই নেই, আবার কারও উভয়ই আছে কিন্তু সংখ্যা সমান নয় অথবা সমান। একই কথা পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। Permutation & Combination করলে অসীম সংখ্যক ফলাফল পাওয়া যাবে। কিন্তু এর মধ্য থেকে আল্লাহ মাত্র তিনটি ক্ষেত্র নিয়ে কেন আলোচনা করেছেন, তা বুঝলাম না। আবার যে তিনটি ক্ষেত্রে সম্পত্তির বন্টন করেছেন, তারও পুরো হিসাব দেননি। ক্ষেত্র তিনটি নিম্নরূপ:

ক্ষেত্র ১) একজন নি:সন্তান পুরুষ, যার একজন বোন আছে: এক্ষেত্রে বোন পাবে তার সম্পত্তির অর্ধেক। বাকি অর্ধেক কই যাবে? বোনটিও যদি নি:সন্তান হয়, তবে তার ভাই (অর্থাৎ প্রথম ব্যক্তিরই ভাই) এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। 

আল্লাহর পেঁচিয়ে কথা বলার বদ অভ্যাস আছে। সোজাসুজি বললেই পারতো, এক ব্যক্তির এক বোন ও এক ভাই থাকলে...। তা না বলে বললেন, এক ব্যক্তির এক বোন থাকলে এবং ঐ বোনের এক ভাই থাকলে ...।

ক্ষেত্র ২) এক ব্যক্তির দুই বোন আছে: এক্ষেত্রে দুই বোন পাবে সম্পত্তির ২/৩ অংশ অর্থাৎ প্রত্যেক বোন পাবে ১/৩ অংশ। বেশ ভাল কথা! কিন্তু বাকি ১/৩ অংশ কই যাবে?

ক্ষেত্র ৩) এক ব্যক্তির ভাই-বোন উভয়ই আছে: এক্ষেত্রে একজন পুরুষ (ভাই) পাবে একজন জন নারীর (বোনের) দ্বিগুণ। কেন? ভাই-বোন সমান পাবে না কেন? এখানেও কুটিল আল্লাহ নারীদের বঞ্চিত করেছেন।

সূরা আল-মায়েদা (ময়দা নয়), আয়াত ৩৩: এখানে আল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি রসূলের পায়ুপথে অঙ্গুলি সঞ্চালন করে, তবে তাকে খুন করতে অথবা শুলে চড়াতে অথবা হাত-পা কেটে তাকে পঙ্গু করে দিতে, অথবা দেশ থেকে বের করে দিতে। এখানেই শেষ নয়। এগুলো হল ইহলৌকিক শাস্তি। পরলোকেও তাদের জন্য শাস্তি রয়েছে।

আর রসূল যখন রাতের অন্ধকারে দলবলসহ আক্রমণ করে নিরীহ ব্যক্তিদের হত্যা করত, তাদের মালামাল লুন্ঠন করত, তাদের স্ত্রী-কন্যাদের বন্দী করে ক্রীতদাসী বানাত এবং ইচ্ছেমত ভোগ করত, তখন নপুংসক আল্লা, নবীর সেই পর্ণো লাইভ দেখত আর গীটার বাজাত। 

সূরা আল-মায়েদা, আয়াত ৩৮: এখানে আল্লাহ চুরির শাস্তি হিসেবে হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আল্লাহ অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ। কিন্তু একই আল্লাহ যখন ধর্মান্ধ মানুষকে বিধর্মীদের খুনের নির্দেশ দেন, তাদেরকে যে কোনো অবস্থায় অবিশ্বাস করতে বলেন, বিধর্মীদের কোনো কারণ ছাড়াই দোযখে নিক্ষেপের কথা বলেন, তখন আল্লাহর ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে শুধু প্রশ্নই জাগে না, তাকে একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ বলে মনে হয়। শাস্তির কথা যখন আসলোই, তখন শুধু চুরি কেন, সব অপরাধ নিয়ে বলতে হবে। পারমানবিক বোমা বর্ষন, জীবাণু অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করা, সাইবার ক্রাইম, ডাটাবেজ হ্যাকিং, ভাইরাসের মাধ্যমে অমূল্য ডাটাবেজ নষ্ট করা ইত্যাদির শাস্তি নিয়েও বলতে হবে। এগুলোর প্রতিটি, চুরির চেয়ে কোটি গুণ বড় অপরাধ।

নিশানবাণিজ্য


ছুতো পেলেই বিভিন্ন দেশের পতাকা পোড়ানোর প্রবণতা ঈমানদার মুসলিম ভাইদের ধমনীতে প্রবাহমান দেখে যথাযোগ্য ঝোপে যথাসময়ে কোপ হানায় দক্ষ এক ব্যবসায়ী লুফে নিলো এই মওকা 

জার্মান টিভিতে প্রচারিত।

পোস্টারিকাগুচ্ছ – ০১

ছোট আকারের নাটককে নাটিকা বলা গেলে ছোট পোস্টারকে পোস্টারিকাও বলা যাবে নিশ্চয়ই 

অনেকগুলো জমে গিয়েছিল, একসঙ্গে দিয়ে দিলাম।