সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০৯

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

ঈমানদার ভাইয়েরা, এমন সময় কি আপনাদের জীবনে কখনও আসেনি, যেদিন আপনাদের মনে জিঘাংসা জেগে উঠেছে? ইচ্ছে করেছে কোনো ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ শরিয়তী কায়দায় কতল করে একইসাথে নিজের উদ্দেশ্য সাধন এবং পরজগতের জন্য অশেষ নেকী হাসিল করতে, ভিন্নধর্মীদের সাফল্য কিংবা ঐশ্বর্য দেখে তা দখল করে নিতে। যাদের এরূপ ইচ্ছা হয়েছে, তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দিন, ইসলাম এসব-ই আপনাদের জন্য হালাল করে দিয়েছে। তবে এমনি এমনি নয়, যুদ্ধের মাধ্যমে। আবার যদি এমন হয়, আরেকজন ঈমানদার ব্যক্তি বা অন্য কোনো সাধারণ মুসলমান কোনো কারণে (যেমন, গনিমতের মালের ভাগ বাটোয়ারা কিংবা ধর্মব্যবসায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে)  আপনার শত্রু হয়ে গেল। এবং আপনি ঈমানী জোশ সামলাতে না পেরে তাকে 'আল্লাহ কা পেয়ারা' বানিয়ে দিলেন। তখন কী করবেন? আপনি আখেরাতে আল্লাহকে কী মুখ দেখাবেন? ভিন্নধর্মী খুন করলে কথা নাই, আল্লাহও খুশী, আপনিও খুশী। কিন্তু খুন করেছেন মুসলমান, তাইলে কি হবে? হুমমম.......... তারও ব্যবস্থা আছে। জানতে হলে, নিচের আয়াতসমুহ পড়ুন, বুঝুন, তারপর অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে যান এবং আল্লাহর নামে যত খুশী খুন করুন। আল্লাহ আপনার গুণাহ মাফ করে দেবেন। আ---মি---ন।


সূরা আন-নিসা, আয়াত ৪৯: আল্লাহ অসীম ক্ষমতাবান। কিন্তু তিনি যদি সবসময়ই তার ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ করেন, তাহলে তো তিনি তাঁর নীতির কাছে দায়বদ্ধ হয়ে গেলেন। কিন্তু আল্লাহ কখনই, কারও কাছে, কোনো কিছুর কাছে দায়বদ্ধ নন। তাই তিনি মাঝে মাঝে তাঁর যাকে ইচ্ছা তাকে পবিত্র করেন, যাকে ইচ্ছা তাকে পরনারী ভোগের অধিকার দেন, যাকে ইচ্ছা তাকে পুত্রবধূকে নিজের বধূ বানাতে আয়াত পাঠান। সবই তাঁর ইচ্ছা। এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তো আপনার ঈমান ভেঙ্গে যাবে।

সূরা আন-নিসা, আয়াত ৮৪: পরের সম্পদ দেখে যদি আপনার চোখ কোটরাগত হয়, তবে যুদ্ধের মাধ্যমে তা দখল করে নিন। আর যদি দেখেন আপনার জনবল যথেষ্ট নয়, তাহলে আপনার মুসলমান ভাইদেরও সেই যুদ্ধে উৎসাহিত করুন। যখন তারাও সেই সম্পদের লোভে পড়ে আপনার সাথে যোগ দেবে এবং আপনার জনবল বেড়ে যাবে, তখন আক্রমণ করে সব দখল করে নিন। এতে বিবেকবোধ, মানবতা শুধু ভূলুণ্ঠিত কেন, সাত হাত মাটির নিচে চলে যাক, তার দায়িত্ব তো আপনার নয়। কারণ আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত আর কিছুর জিম্মাদার নন। আর আল্লাহ তো আপনার মদদদাতা হিসেবে আছেনই। তিনি কাফেরদের শক্তি খর্ব করে আপনাকে এই লুটতরাজে সাহায্য করবেন।

সূরা আন-নিসা, আয়াত ৯২: এবার সেই আয়াত, যেটিতে মুসলমান হত্যার প্রায়শ্চিত্ত কীভাবে করতে হবে, তা বলা আছে। উল্লেখ্য যে, বিধর্মী হত্যা করলে আপনার সোয়াব হবে, কিন্তু মুসলমান হত্যা করলে আপনাকে ইসলামী কায়দায় তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। যেমন: চুক্তিভুক্ত সম্প্রদায়ের মুসলমান হত্যা করলে প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দু'টি কাজ করতে হবে। ১) একজন ক্রীতদাস মুক্ত করা, ২) তার স্বজনদের সাথে রক্ত বিনিময় সম্পন্ন করা।
আর শত্রু সম্প্রদায়ের মুসলমান হত্যা করলে শুধু একজন ক্রীতদাস মুক্ত করলেই হবে। আর বর্তমান জমানার কথা অর্থাৎ ক্রীতদাস প্রথা বাতিল হবার কথা মাথায় রেখে আল্লাহ বলেছেন ২ মাস রোজা রাখলেই গুণাহ মাফ হয়ে যাবে। অতএব একটা হটলিষ্ট করুন, তারপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করুন। ৪/৫ টা শত্রু মুসলমান খুন হয়ে গেলে জনপ্রতি ২ মাস ধরে রোজা রাখুন। এতে ইহকাল ও পরকাল দুই-ই রক্ষা পেল। আল্লাহ মহাজ্ঞানী ও প্রজ্ঞাময় বলেই তো আপনাকে এক ঢিলে দুই পাখি মারার বুদ্ধি শিখানোর আয়াত পাঠিয়েছেন।

সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৪০: কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর পাঠানো আয়াত নিয়ে মশকরা করে, কিংবা যৌক্তিক ব্যাখ্যা খোঁজে, তাহলে খবরদার, ভুলেও তার ধার মাড়াবেন না। কারণ একবার আপনার অন্তরের জ্ঞানচক্ষু খুলতে শুরু করলে আপনার ঈমানের লুঙ্গির গিট ঢিলা হতে শুরু করবে। এবং জ্ঞানচক্ষু যদি সামান্য পরিমাণও উন্মীলিত হয়, তাহলে ঈমানের লুঙ্গি শুধু খুলবেই বা ছিঁড়ে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। দ্বিতীয়বার যে পরবেন, তার উপায় থাকবে না। অতএব, "সময় থাকতে মনা হুঁশিয়ার!"

এখনও বসে আছেন? তাড়াতাড়ি হটলিষ্ট তৈরি করে বেরিয়ে পড়ুন। এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য। আল্লাহ আবার এই আয়াত রহিত করে অন্য আয়াত পাঠালে ঝামেলায় পড়ে যাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন