সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০১০

কোরানের বাণী / কেন এতো ফানি – ০৮

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

জেহাদী বন্ধুগণ, কোরানের বাণীর গভীর থেকে গভীরতর বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চয় আপনারা ইতিমধ্যে অনেক কিছুই আবিষ্কার করে ফেলেছেন। না করে থাকলেও, অদূর ভবিষ্যতে যে অত্যাশ্চর্য কিছু আবিষ্কার করে মানবসমাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন, তাতে আর সন্দেহ কী? আজকে আমরা দেখবো, বিবাহ সম্পর্কে ইসলাম কী নির্দেশ দেয়। কোন কোন নারীকে আমরা বিবাহ করতে পারবো, তাদের সাথে কীভাবে আচরণ করবো এবং কীভাবে একজন ঈমানদার আকাম-কুকাম করার পর পানি ছাড়াই নিজেকে পবিত্র করবে। বলেন জনাব, একমাত্র কোরান ছাড়া আর কোন গ্রন্থ আপনার এই ধরণের জ্ঞানপিপাসা নিবৃত করবে? নিচের আয়াতগুলো শ্রদ্ধাভরে পড়ি এবং প্রশ্নবিহীনভাবে সত্য বলে মেনে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে শুরু করি।



১) সূরা আন-নিসা, আয়াত ২৫: এখানে আল্লাহ সামর্থ্যহীন মুসলমানদেরকে ক্রীতদাসীদের বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছেন। কারণ এমনিতেই যুদ্ধবন্দী নারীরা বা ক্রীতদাসীরা হল গনিমতের মাল। তাদের ভোগ বা ধর্ষণ করা সকল ঈমানদার মুসলমানেরই ধর্মগত অধিকার। কোনো মুসলমান যদি তার স্ত্রীর প্রতি রুষ্ট হয়ে অথবা "রুচি পরিবর্তনের" জন্য মাঝে মাঝে দাসীগমন করে, তাতে কার বাপের কী? কিন্তু মহান আল্লাহতালা এখানে দাসীদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি নিক্ষেপপূর্বক আলোচ্য আয়াতের অবতারণা করেছেন। এতে সকলের রক্ষিতা হয়ে থাকার চেয়ে অন্তত একজনের তথাকথিত স্ত্রী হবার অধিকার তারা পেল। সত্যি, আল্লাহ পরম করুণাময়। কিন্তু মোহরানা বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। আমি একজন নারীকে বিবাহ করলাম, তাকে মোহরানা প্রদানের মানেটা কী? বিয়ের আগে পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষের মধ্যে মোহরানা নিয়ে দর কষাকষি হয়। কী চমৎকার! ভালবেসে উপহার দেয়া ভিন্ন জিনিষ। কিন্তু সরাসরি টাকা দেয়া, তাও শুধুমাত্র বিবাহ করার কারণে, এটা একটু দৃষ্টিকটু নয় কি? এর সোজাসাপ্টা অর্থ হল, আমি তার শরীর ভোগ করবো বলে তাকে অর্থ দিচ্ছি। এতে তো প্রতিটা নারীকে একজন পতিতা বলে গণ্য করা হল। কারণে বা অকারণে তাকে তালাক দিতে হলে তার মোহরানা পরিশোধ করে তালাক দিতে হবে। ভাবটা এমন, নাও তোমার দেহভোগ করার মূল্য নাও এবং দূর হও। অনেকে মোহরানাকে তালাক পরবর্তী খোরপোষ বলে দাবী করে। কিন্তু তালাক না হওয়া নারীদের ক্ষেত্রেও স্ত্রীকে মোহরানা পরিশোধ করতে হবে। কী নিকৃষ্ট এই প্রথা!

২) সূরা আন-নিসা, আয়াত ৩৪: এখানে বলা হয়েছে, নারীরা পুরুষের উপার্জিত অর্থ ব্যয় করে, তাই পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বশীল। আর কোন নারী যদি এই কর্তৃত্ব মেনে না নেয় ও অবাধ্যতা করে, তাহলে তার শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যেহেতু একজন মুসলমান একসাথে একাধিক বিবাহ কিংবা দাসীগমন করতে পারে, অতএব শয্যা ত্যাগের পর ঐ নারী যৌনসুখ বঞ্চিত হলেও পুরুষটি কিন্তু যৌনসুখ বঞ্চিত হবে না। বরং সে "রুচি পরিবর্তনের" একটি যৌক্তিক কারণ পাবে। আর ঐ নারী যদি একইভাবে "রুচি পরিবর্তনের" চেষ্টা করে, তবে তা হবে ব্যভিচার এবং শাস্তি হল পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা। অ-সা-ধা-র-ণ বিধান!!

৩) সূরা আন-নিসা, আয়াত ৪৩: প্রথম লাইনটি ভাল করে পড়ুন। ঈমানদার কীভাবে নেশাগ্রস্ত হয়, অথবা নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি কিভাবে ঈমানদার হয়?

ঈমানদার ব্যক্তি নারীগমনের  (স্ত্রী-গমন নয় কিন্তু) মাধ্যমে অপবিত্র হবার পর পানি না পেলে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে (তায়াম্মুম) পবিত্র করার সহজ পদ্ধতি নিয়ে আল্লাহ এখানে আলোচনা করেছেন। আকাম-কুকাম যাই কর, পবিত্র (!) মাটি দ্বারা হাত-মুখ ঘসলেই ম্যাজিক! একেবারে "অল ক্লিয়ার"। খুশকি দূরীকরণের শ্যাম্পুর ধারণা এইখান থাকে এসেছে বলে মনে হচ্ছে।

তাইলে ঈমানদার ভাইয়েরা, আর বসে আছেন কেন? বউ যদি কথা না শোনে, তাইলে আর কোনো প্রব্লেম নাই। বউকে ধরে আচ্ছামত প্যাঁদাবেন। কথা কইলেই মুখের ভিতর আল-কোরান ঠাইসা ধরবেন। ব্যস। বউ কথা না শুইনা কই যাইবো?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন