শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১০

বেকায়দায় ঈশ্বর

লিখেছেন লাইট ম্যান 

বর্তমান বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত ধর্মগুলোর মধ্যে একমাত্র বৌদ্ধধর্ম ছাড়া হিন্দু, ইসলাম, খ্রীষ্টান ও জুডিজম ঈশ্বর বা খোদাকে ভিত্তি করেই রচিত। ঈশ্বরকে তুষ্ট করে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভই এইসব ধর্মের মূল কথা। কোনো যুক্তি, তর্ক বা প্রশ্ন উত্থাপনের কোনো প্রকার সুযোগ নেই বলা চলে এইসব ধর্মে। বিশ্বাসই এই ধর্মগুলোর মূল ভিত্তি। যার বিশ্বাস যত বেশী, সে তত বেশী উন্নত ধার্মিক। ডারউইনের বির্বতনবাদের সূত্র আবিষ্কারের ফলে ধর্মব্যবসায়ীদের প্রধান হাতিয়ার হিসাবে একচ্ছত্র অধিপতি খোদার আসন টলমল হলেও ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে খোদার অস্তিত্ব এখনো প্রশ্নাতীতভাবে সত্য। এখানে আমি তথাকথিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোর আলোকে কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করতে চাই, যেগুলোতে খোদার দোহাই দিয়ে মূলত ধর্ম-প্রবর্তনকারীরা নিজেদের স্ব-বিরোধিতা, হঠকারি সিদ্ধান্ত নিজের প্রচারিত ধর্মের অনুসারীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন নাকি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খোদার (মূলত নিজেদের) অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ করেছেন ।

প্রথমে মানব জাতি সৃষ্টির উপখ্যান নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের মিল-গরমিল গুলো দেখা যাক।

জুডিজম মত অনুসারে

আজ থেকে প্রায় ৩,৩০০ বছর পূ্‌র্বে জেরুজালেমে জুডিজমের উৎপত্তি। ইহুদি মত অনুসারে আব্রহামই ইহুদি জাতির প্রতিষ্ঠাতা। ইহুদিদের ঈশ্বরপ্রেরিত ধর্মগ্রন্থ হল তোরা(TORAH)। TORAH মানে শিক্ষা। তোরার বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি, ঈশ্বর ছয়দিনে সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির কাজ সম্পন্ন করে মানুষ সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করলেন। নিজের আদলে মাটি থেকে তৈরী করলেন প্রথম মানুষ। তিনি তার নাম রাখলেন আদম। আদম সৃষ্টির পর তিনি আদমের নিঃসঙ্গতায় বড়ই চিন্তিত হলেন। আদমের এই নিঃসঙ্গতা দূর করতে কী করবেন চিন্তা করতে করতে তাঁর সঙ্গিনী হিসাবে মাটি থেকে তৈরী করে ফেললেন প্রথম মানবী লিলিথ কে। কিন্তু লিলিথের মান-অভিমান ছিল খুবই বেশী, মননেও ছিলেন প্রচণ্ড স্বাধীনচেতা। তিনি কোনোক্রমেই আদমের অধীনে থাকতে রাজি হলেন না। 

অগত্যা ঈশ্বরকে সৃষ্টি করতে হল দ্বিতীয় রমণী। কিন্তু এখানেও ঈশ্বরের দুর্ভাগ্য! ঈশ্বরের এই সৃষ্টিপ্রক্রিয়া আদম দেখে ফেলে। অতএব দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ঈশ্বরের বিফলে গেল। দেখা যাচ্ছে, ঈশ্বরও ব্যর্থ হয়! এইবার ঈশ্বর আদমকে আদেশ দিলেন ঘুমিয়ে যাও। আদম গভীর ঘুমে অচেতন হল, এরই ফাঁকে ঈশ্বর মানব ইতিহাসের প্রথম অস্ত্রোপচার করে আদমের পাঁজর থেকে একটি হাড় আদমের অজ্ঞাতসারে নিয়ে (চুরি করে) সৃষ্টি করলেন তৃতীয় রমণী ঈভকে। আদমের একাকিত্ব দূর হল ঈভকে পেয়ে। সে তো মহাখুশি। অতঃপর ঈশ্বর আদম ও ঈভকে স্থান দিলেন স্বর্গীয় উদ্যান ইডিনে। 

তারা সেখনে মহাআনন্দে দিন কাটাতে লাগল। ঈশ্বর তাদের আরো ভাল লাগার জন্য সমস্ত ইডেন সুশোভিত করলেন মনোহরি ফল-ফুলের বৃক্ষ দিয়ে। দয়ালু ঈশ্বর পানির হাহাকার দূর করার জন্য ইডেনের চারপাশে নদ-নদীর সুব্যবস্থাও করলেন (ঈশ্বর তখনো আধুনিক বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থার কথা নিশ্চয়ই জানতেন না; জানলে অবশ্যই পানির ট্যাংক বা নলকূপের ব্যবস্থাও করতেন)। ইডেনের মাঝখানেই রোপন করলেন জ্ঞানবৃক্ষ(tree of knowledge)। অতঃপর ঈশ্বর আদম ও ঈভকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞানদান করলেন, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর নাম মুখস্ত করালেন। ঈশ্বর আদম ও ঈভকে নেচে-গেয়ে ইডেনের বাকি সব ফল খাওয়ার অনুমতি দিলেও সর্তকবাণী উচ্চারণ করলেন জ্ঞানবৃক্ষের ফল না খেতে। কিন্তু সুখের আতিশয্যে কে শোনে কার কথা! সুমিষ্ট ফল বলে কথা। শয়তানের সহযোগিতায় তারা ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেল। দয়ালু করুণাময়ী ঈশ্বর রাগে অগ্নিশর্মা হলেও ক্ষমা করে দিলেন মানব জাতির আদি পিতামাতাকে। তবে শাস্তিস্বরূপ স্থানচ্যুত করলেন স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে। তোরার বর্ণনামতে, এভাবেই পৃথিবীতে মানব জাতির সূচনা।

জেনেসিস জুডিজমের একটা অংশ।


জেনেসিসের মত অনুসারে

জেনেসিসে সৃষ্টির বর্ণনা জুডিজমের অনুরূপ। পার্থক্য বলতে লিলিথ এবং দ্বিতীয় নারীর সৃষ্টির মত বোকা কাজ ঈশ্বরকে দিয়ে করানো হয়নি। শয়তানকে দিয়ে আদম ও ঈভকে ঈশ্বর নিষিদ্ধ ফল খাওয়ালেন।  জেনেসিসে সব প্রাণীর নামকরণের মত কঠিন কাজটিও আদমকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছিলেন ঈশ্বর। বেচারা আদমের পক্ষে হয়তো সব প্রাণীর নাম মুখস্থ করা সম্ভব হয়নি, নাকি ঈশ্বরের পক্ষে তখনো সব প্রাণী সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি, সেটা এখনো রহস্যাবৃত। কারণ বিজ্ঞানীদের এখনো নতুন নতুন প্রাণী, গ্রহ-নক্ষত্র আবিষ্কার করে সেসবের নামকরণের মত দূরূহ কাজটি করে যেতে হচ্ছে।


বাইবেলের মত অনুসারে

বাইবেল জেনেসিসের সংষ্করিত রূপ। জেনেসিসের সৃষ্টির কথাই বাইবেলে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।


কোরানের মত অনুসারে

কোরানেও মানবজাতি সৃষ্টির নতুন কোনো কথা বলা হয়নি এবং জুডিজম বা জেনেসিসের মত কে সমর্থন করা হয়েছে। পরিবর্তন বলতে শুধু ফেরেস্তাকে দিয়ে পৃথিবী থেকে মাটি সংগ্রহ করে আদম তৈরীর কথা উল্লেখ আছে। সম্ভবত বেহেস্তের মাটি খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল, আর ঈভের নাম পরিবর্তন করে হাওয়া দেওয়া হয়েছে।

He taught Adam all the names of everything.” (Quran 2:31)

কোরানেও ঈশ্বর আদমকে নাম মুখস্থ করানো এবং অন্যান্য বিষয় শিক্ষা দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।


হিন্দু মত অনুসারে

হিন্দুধর্মে কখনো মহা প্রজাপতি, কখনো ব্রহ্মা, কখনো শিব, কখনো বা ডিম থেকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বা মানবজাতি সৃষ্টির অনেকগুলো উপাখ্যান আছে। তাই কোনো উপাখ্যানই গ্রহণযোগ্য নয়।


বৌদ্ধ মত অনুসারে

বৌদ্ধধর্মে মানবজাতি বা পৃথিবী কীভাবে উৎপত্তি হল, এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সৃষ্টিতত্ব নিয়ে এই ধর্মে কোনো ধর্মীয় বক্তব্য নাই।

এছাড়া চীন, আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানুষ ও বিশ্বজগৎ সৃষ্টি নিয়ে চমৎকার আরো অনেক গল্প প্রচলিত আছে।

ওপরের আলোচনা থেকে এটা দিবালোকের মত পরিষ্কার:

(১) তোরার মানবসৃষ্টির গল্পটাকে বাইবেল ও কোরানে স্বীকার করা হয়েছে, কারণ ধর্মগুলোর উৎপত্তি একই অঞ্চলে হয়েছে। বংশ পরম্পরায় শুনে আসছে বলে অন্য কোনো নতুন গল্প এতে যুক্ত করলে সে অঞ্চলের জনসাধারণের কাছে তা সহজে গ্রহণযোগ্য হত না। তাছাড়া প্রচুর বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল ছিল। উদাহরণ হিসাবে আমরা বলতে পারি, দূরত্ব এবং মানুষের কল্পনাশক্তির ভিন্নতার কারণে ভারতবর্ষ, অষ্ট্রেলিয়া, চীন, নরওয়ে, আফ্রিকা বা পৃথিবীর অনান্য দেশে পৃথিবী ও মানবসৃষ্টির গল্পগুলো ভিন্ন। জুডিজমে মানবসৃষ্টির গল্পের সব চেয়ে দুর্বল ও হাস্যকর হল - লিলিথ ও দ্বিতীয় নারীসৃষ্টির রহস্য। বাইবেল ও কোরানে বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে স্বীকার করে নিলে ঈশ্বরের সর্বজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আবার বাইবেল ও কোরানে জুডিজমের গল্পটাকে মেনে নেয়ায় এই প্রশ্ন কি দেখা দিচ্ছে না যে, তোরার সৃষ্টিবর্ণনাই ঠিক (ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে)?

(২) বাইবেল ও কোরানে আদমের পাঁজরের হাড় থেকে ঈভকে সৃষ্টি প্রশ্নাতীতভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে, কারণ সম্ভবত ধর্ম প্রবর্তনকারীরা আমাদের এই ধারনা দিতে চেয়েছেন, স্ত্রীজাতি পুরুষ থেকেই সৃষ্ট। অর্থাৎ স্ত্রীর জন্য পুরুষ নয় বরং পুরুষের জন্যই স্ত্রীজাতি সৃষ্টি করা হয়েছে। অতএব স্ত্রীজাতিকে পুরুষদের অধীনেই থাকতে হবে সারা জীবন। “তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র, সুতরাং তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যে প্রকারে ইচ্ছা অবতীর্ণ হও।”-কোরানের এই উক্তিটি এই মানসিকতার ভিত্তিতে রচিত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল।

(৩) মরু অঞ্চলের প্রতিটি ধর্মীয় গ্রন্থে ঈশ্বরের আদলে মানুষ সৃষ্টির কথা বলা আছে। ধরা যাক, কোনো মানুষ যদি মাথার চুল, দাড়ি, বগলের নীচের ও শরীরের অনান্য অংশের চুল না কাটে, নখ না কাটে, সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল না করে, মলত্যাগ করে পরিষ্কার না করে উলঙ্গ অবস্থায় থাকে, তাহলে প্রশ্ন থাকে, ঐ মানুষটি দেখতে কি ঈশ্বরের মত হবে? সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় মানুষ কিন্তু এভাবেই ছিল।

(৪) অনেকে গাছে, মাছে, বিভিন্ন ফলমূলে অনেকে আবার কুকুর শেয়ালের ডাকের মধ্যে ও ঈশ্বরের মাহাত্য খুজে পান। কিন্তু দুটো শিশু যখন জোড়া লাগা অবস্থায় (মাথায় মাথায়, বুকে বুকে বা শরীরের অনান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে) জন্ম নেয়, বোবা কালা অন্ধ বা মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়, তখন সবাই ঈশ্বরের স্বরূপ অথবা দুর্বলতার কথা বেমালুম চেপে গিয়ে ডাক্তারের শ্মরণাপন্ন হন এবং ভুলে যান - "সবই ঈশ্বরের ইচ্ছা" সূচক মহামূল্যবান বাণী । তখন ঈশ্বরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেতে চরম-পরম-নরম কোনো ধার্মিকই কার্পণ্য করেন না।

(৫) তোরা, বাইবেল ও কোরান থেকে আমরা জানতে পারি, মানুষ সৃষ্টির পূর্বেই ঈশ্বর স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। এতে প্রমানিত হয়, মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোই ছিল ঈশ্বরের মূল উদ্দেশ্য। তা না হলে নিষিদ্ধ ফলগাছটি ঈশ্বর লাগালেনই বা কেন? ঈশ্বর কি তবে ভবিষ্যৎ জানতেন না?

(৬) ঈশ্বরের যদি সত্যিই ভবিষ্যৎ জেনে থাকেন তাহলে ফল খাওয়াতে অযথা শয়তানকে দোষারোপ কেন?

(৭) ঈশ্বর নিশ্চয় নগ্নতা পছন্দ করেন। প্রমাণ হিসাবে আমরা বলতে পারি আদম ও ঈভ-এর জন্য কাপড়ের ব্যবস্থা করার কথা আমরা কোনো ধর্মীয় গ্রন্থে পাই না। অথচ কোনো কোনো ধর্মীয়গ্রন্থে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে কাপড় পরার কথা বলা হয়েছে।

(৮) আদমের ছেলে-মেয়েরা পশুদের মত নিজেদের মধ্যে মহানন্দে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। ধর্মীয় মত স্বীকার করে নিলে বলতে হয়, মানব জাতির বংশ বৃদ্ধি হয়েছিল অবৈধ উপায়ে। ধার্মিকেরা যদি বলেন, প্রথমে সেটা বৈধ ছিল, পরে ধর্মে বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে, ভাই-বোন সম্পর্ক অবৈধ করা হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন থাকে ঈশ্বর কি বৈধ-অবৈধ বিষয়টি প্রথমে অনুধাবন করার মত জ্ঞানী ছিলেন না? অনুধাবন করতে পারলে নিশ্চয়ই আরো এক জোড়া আদম-হাওয়া তৈরী করতে পারতেন।

(৯) ধর্মীয় বইগুলো থেকে আমরা জানতে পারি, ঈশ্বর আদমকে সব কিছু শিখিয়ে পড়িয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমরা জানি, মানুষ প্রথম দিকে কথাই বলতে জানত না। ভাষার পরিপূর্ণ রূপ দিতে মানুষের লেগেছিল কয়েক হাজার বছর। ধার্মিকেরা যদি কথা শেখার বিষয়টিতে দ্বিমত পোষণ করেন, তাহলে অনুরোধ রইল, ঈশ্বরের নামে নিজের ছেলে বা মেয়েকে বা কোনো নিকট আত্মীয়ের ছোট বাচ্চাকে জঙ্গলে ছেড়ে আসার। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন তারা কি শেখে।

(১০) ধর্মের বইগুলোতে অন্ধবিশ্বাস না রেখে একটু যুক্তি খাটালে স্বর্গের গাছপালা ও নদীর যে বর্ণনা আমরা দেখি, তা পৃথিবীর কোনো সুন্দর মনোরম দৃশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। একইভাবে ঈশ্বরের আদলে মানব সৃষ্টিতেও আমরা ধারণা করতে পারি, আগের দিনের মানুষের পক্ষে মানুষ অপেক্ষা সুন্দর, জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান কোনোকিছু কল্পনা করা সম্ভব হয়নি, তাই তারা মানুষের মত ঈশ্বরের রূপ কল্পনা করেছে।

ওপরের আলোচনা থেকে আমরা ঈশ্বরের জ্ঞান-অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করব? নাকি মেনে নেব ধর্মীয়গ্রন্থের মহাখলনায়কদের ঈশ্বরের নামে মিথ্যাচারের কথা। সিদ্ধান্তের ভার পাঠকদের ওপরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন