সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১০

সচিত্র হা-হা-হাদিস – ২১

হিসেব করে দেখলাম, পুরুষদের জন্য দোজখে যাওয়াটাই বেশি লাভজনক। বেহেশতে একে পুরুষের জন্যে থাকবে মাত্র বাহাত্তরটি হুর। আর দোজখ নাকি ভর্তি থাকবে মেয়েতে। বিশ্বাস হয় না? খোদ নবীজি বলেছেন এই কথা! আর সেটাই তো হবার কথা! ইসলামের দৃষ্টিতে পুরুষের তুলনায় নারী নিম্নশ্রেণীর প্রাণী। আর মেয়েদের উদ্দেশে নবীজি তো স্পষ্টই বলেছেন: I have not seen anyone more deficient in intelligence and religion than you.


প্রাসঙ্গিক হাদিস:

Bukhari vol. I. No. 28 
The Prophet said, “ I was shown the Hell-fire and that the majority of its dwellers were women who were ungrateful.”

Bukhari vol. 1, No. 301 
Allah’s Apostle… said, “O, women!” Give alms, as I have seen that the majority of the dwellers of Hell-fire were you women… I have not seen anyone more deficient in intelligence and religion than you.

Bukhari vol. II, No. 171 
The Prophet then said… “I also saw the Hell-fire and I had never seen such a horrible sight. I saw that most of the inhabitants were women.”

পোপপচানি


ভ্যাটিকানরাজের ইন্টারনেটবিরোধী বাণী কীভাবে পচিত হলো, ভিডিওতে দেখুন 

প্রথম দু'মিনিট দশ সেকেন্ড দেখলেই চলবে।

হ্রস্বরসবাক্যবাণ – ০১

(নিশ্চয়ই নির্ধর্মীগণের মস্তিস্কে প্রায়শই ছোটোখাটো দু'একটি ধর্মধোলাই-বাক্য বা আইডিয়া ঝিলিক দিয়া ওঠে। তোমরা তাহা তৎক্ষণাৎ লিপিবদ্ধ করিয়া ধর্মকারীতে প্রেরণ করিয়া অশেষ ছওয়াব হাছিল করো। অন্যথায়, হে নির্ধর্মীসকল, ইহ- ও পরকালে তোমাদিগের জন্য অপেক্ষা করিতেছে অনন্ত নরকভোগ।)

লিখেছেন ধ্রুব তারা
আজ তাঁর জন্মদিনও। ধর্মকারীর পক্ষ থেকে তাঁকে অভিনন্দন। 

১. 
আমাদের সমাজে ধর্মকে আক্রমণ করে কথা বলার অধিকার মানুষের না থাকলেও মানুষকে আক্রমণ করার এবং আক্রমণ করার কথা বলার পূর্ণ অধিকার ধর্মের রয়েছে।

২.
স্রষ্টা সাহেবকে বাংলা চলচিত্রের ভিলেনের মতো মনে হয়। নায়িকা ভিলেনের সাথে প্রেম না করলে ভিলেন নায়িকাকে ধর্ষণ করে আর স্রষ্টাকে 'ভাল না বাসলে' স্রষ্টা মানুষকে নরকের আগুনে পোড়ায়।

ধর্মের ছহি সহিষ্ণুতা


সম্ভাব্য সব ধরনের প্রচারের অধিকার সমস্ত ধর্মের আছে বলেই বোধ হয়। তাদের সর্বব্যাপী প্রচারণায় উৎপীড়িত হতে হতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে আমাদের চক্ষু-কর্ণ । অথচ ধর্মের এই আগ্রাসী প্রচারের প্রেক্ষাপটে নেহাতই নিরীহ নিরীশ্বরীয় প্রচারে ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতিক্রিয়ায় চমকে উঠতে হয়। সহিষ্ণুতার সোল এজেন্সির দাবিদার ধার্মিকদের প্রতিবাদ, ক্ষোভ, গালিগালাজ ও হুমকির মুখে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে টাঙানো ধর্ম-অসমর্থিত বাক্যসম্বলিত বিলবোর্ড ও ব্যানারগুলো।

সাম্প্রতিকতম ঘটনা। American Atheists নামের প্রতিষ্ঠান বিলবোর্ড ঝুলিয়েছে:


ব্যস, শুরু হয়ে গেছে! 

গতকাল পাঁড় খ্রিষ্টানদের চ্যানেল ফক্স নিউজে ডেকে আনা হয়েছিল এই সংগঠনের সভাপতিকে। তিন মিনিটের উপভোগ্য ভিডিও দেখুন।


মোল্লার কাজ মোল্লা করেছে

মোল্লা যখন বালিকাদের আরবি পড়ায়, তখন অধিকাংশ সময় আরবিশিক্ষা কোন দিকে মোড় নেয়, কইনচেন দেহি? ঠিক ধরসেন! 

বেয়াল্লিশ বছরের মোল্লা আট বছরের শিশুবালিকাকে ধর্ষণ করেছে। তবে মোল্লার কোনও দোষ নেই। শয়তানের প্ররোচনায় নাকি সে এ কাজ করেছে।

বাংলাদেশে ঘটা এই খবরের লিংক পাঠিয়েছেন সায়কা শাহরিন।  

পুরো খবরটিই তুলে দিচ্ছি:

চট্টগ্রামে আট বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে সরকারি মুসলিম হাই স্কুল মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা মাইনুদ্দিন (৪২)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এয়াকুবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাওলানা মাইনুদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে নিয়ে এ কাজের জন্য 'শয়তান'কে দায়ী করে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার শাহনেওয়াজ খালেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শিশুকন্যাকে ধর্ষণের দায়ে মাওলানা মাইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে থানা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।' ধর্ষণের শিকার স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সন্তোষ চাকমা জানান, মাওলানা মাইনুদ্দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই শিশুকন্যাকে ফুসলিয়ে তার চায়ের দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং মাইনুদ্দিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাইনুদ্দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে দাবি করে, 'শয়তানের প্ররোচনায়' সে এই গর্হিত কাজ করেছে।

ব্লেয়ার-হিচেন্স লড়াই


ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বাকযুদ্ধে নেমেছিলেন নাস্তিক ক্রিস্টোফার হিচেন্সের সঙ্গে। বিষয় ছিলো: "পৃথিবীতে ধর্ম একটি শুভশক্তি"। কে সপক্ষে আর কে বিপক্ষে, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না!

বিতর্ক শুরু আগে কানাডার "দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল" একটি জরিপ শুরু করেছিল: "পৃথিবীতে ধর্ম কি একটি শুভশক্তি?" জরিপের ফলাফল দেখতে গিয়ে তাজ্জব বনে গেলাম! মনে হলো, স্ক্রিনশট নিয়ে রাখাটা জরুরি।


কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত এই বিতর্কে উপস্থিত ২৭০০ দর্শকের অধিকাংশের ভোটে জিতেছেন হিচেন্স। বলা হচ্ছে, ফলাফল ২-১। যদ্দূর আন্দাজ করতে পারি, ৬৬% ভোট পেয়েছেন হিচেন্স এবং ব্লেয়ার - ৩৩%। বিস্তারিত এখানে পড়ুন।

ভিডিও দেখতে উৎসাহীরা এখান থেকে শুরু করে লেজুড় ধরে দেখতে থাকুন।

এদিকে গত ২৬ তারিখে বিবিসি-কে হিচেন্স খোলামেলা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। জানুন ক্যান্সারাক্রান্ত হিচেন্স-এর মৃত্যুচিন্তা সম্পর্কে। মাত্র সাত মিনিটের ভিডিও।


রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১০

আমুণ্ডুনখাগ্র পুত-পবিত্র নবীজি

নবীজি অজু করার পর তাঁর ব্যবহৃত পানি খেয়ে ফেলতো তাঁর সাহাবিরা। এমনকি কে খাবে সেই পানি, তা নিয়ে তাদের ভেতরে হাতাহাতি লাগার উপক্রম পর্যন্ত হতো।

শুধু কি তাই? তাঁর ঘাম, থুতু, মুত্রও ছিলো পবিত্র। তাঁর ঘাম দিয়ে বানানো হতো এক ধরনের পারফিউম। মাখানো ময়দার তাল এবং মাংসের পাত্রে থুতু ফেলে নিশ্চয়ই সেসবকে পবিত্রতা দান করেছিলেন তিনি, নইলে তাঁর ভক্তরা খেতো ওইসব খাদ্য? তিনি তাঁর কুলি করা পানিও খেতে নির্দেশ দিতেন তাদের এবং গায়ে-মুখে মাখাতে বলতেন। নারীজাতির কথাও তিনি বিস্মৃত হতেন না। সেই পানির কিয়দংশ তিনি মায়েদের জন্য সংরক্ষণ করতে বলতেন। এ-ই শেষ নয়। "নবীজির মুত্র তোমাদের নামাজের চেয়ে উত্তম", সেটিও জেনে রাখা দরকার।

অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে? না, একটুও বানিয়ে বলা নয়। সব হাদিস থেকে নেয়া। তথ্যসূত্রসম্বলিত ভিডিওতে দেখুন। তবে খাবার সময় না দেখার পরামর্শ রইলো।

ডাউনলোড লিংক (২২.৪ মেগাবাইট)

প্রিয় পুরনো পোস্টগুলো – ২০


ধর্মকারীতে পোস্টের সংখ্যা চোদ্দশো ছাড়িয়ে গেছে। এই সাইটের খোঁজ যেসব পাঠক সম্প্রতি পেয়েছেন বা ভবিষ্যতে পাবেন, তাঁদের পক্ষে আগে প্রকাশিত মজাদার পোস্টগুলো খুঁজে নেয়া ব্যাপক শ্রম- ও সময়সাধ্য ব্যাপার হবে ভেবেই হারানো-দিনের-পোস্ট ধরনের এই সিরিজের অবতারণা। পুরনো পাপীরাও এই সুযোগে স্মৃতিচারণ করে নিতে পারেন 

প্রতি পর্বে আমার বিশেষ প্রিয় পাঁচটি পোস্টের লিংক দেবো সংক্ষিপ্ত বর্ণনাসহ। শুরু করেছি ধর্মকারীর আদিকাল থেকে।

১. ওরাংওটাং আর কুকুর (অসাধারণ ছোট্ট এক ভিডিও) 
২. ফলের রসের মৃত্যু চাই! (ছবি - না দেখে থাকলে পুরাই মিস) 
৩. যিশুভক্ত সুজির গল্প (চমৎকার অ্যানিমেটেড গল্প) 
৫. Muhammad sucks! আক্ষরিক অর্থেও! (শিক্ষামূলক ভিডিও )

আগের পর্বগুলো দেখতে নিচের "কাসুন্দি" ট্যাগে ক্লিক করুন।

গাণ্ডু গাড়িবিক্রেতারা

গাড়িবিক্রেতা হালায় গাড়ি দেখায় না, গাড়ির কাগজপত্র দেখায় খালি আর চাপাবাজি করে।

মজাদার ভিডিও-কার্টুন।



বিষাক্ত বিশ্বাস


মুভি দেখার অভ্যেস আমার নেই বললেই চলে। তবু ক'দিন আগে হঠাৎ করে দেখা হয়ে গেল এক কানাডীয় ছবি "আই কিল্ড মাই মাদার"। নামটিই শুধু ভয়ঙ্কর, আদতে কেউ কাউকে হত্যা করে না ছবিতে। মা আর ষোলো বছর বয়সী ছেলের জটিল সম্পর্কের কাহিনী শুধু।

একটু আগে খবরে পড়লাম, এক লোক তার মাকে সত্যি সত্যিই খুন করেছে। ঘাতক একজন অভিনেতা এবং সে অভিনয়ও করেছে Ugly Betty নামের সিরিয়ালে। খবরটির বৈশিষ্ট্য হলো, খ্রিষ্টধর্মবিশ্বাসী ঘাতক তিন ফুট লম্বা তরবারি হাতে নিয়ে জিকির করার মতো করে বলছিলো মায়ের উদ্দেশ্যে: Repent! Repent! Repent! এবং মা যিশু ও ঈশ্বরে বিশ্বাস করে কি না, সেই প্রশ্ন করতে করতে সে হত্যা করে মাকে।

কিছুই বলার নেই!

পুনশ্চ. কিছুটা সময় আগে ভুডু - ভূতুড়ে এক ধর্মের নাম নামের পোস্ট দেয়ার পর এই খবরটি চোখে পড়লো! 

অহিতকর পুরোহিত


ক্যাথলিক ধর্মযাজক আর শিশুকামিতা এখন প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ক নিত্যনতুন খবর হরহামেশাই চোখে পড়ে। বেশি কোথাও খুঁজতেও হয় না। একটা সাইটে চোখ বোলালেই খবরের অভাব হয় না। কিন্তু কাঁহাতক এই একই বিষয় নিয়ে লেখা যায়! তবে একঘেয়েমিতে বৈচিত্র্য আনতে তৎপর হয়েছে ধর্মযাজকেরাই!

খবর শুনুন। যৌননিপীড়নের শিকার হওয়া এক বালক এক ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলে সে-ও হাত গুটিয়ে বসে রইলো না। ছেলেটিকে খুন করার ফন্দি আঁটলো সে। ভাড়া করলো এক খুনিকে। তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ সে পায়নি অবশ্য। সকল প্রশংসা পরম করুণাময়ের। তিনিই তো বাঁচালেন বালকটিকে। তবে যাজক তাকে যৌননিপীড়ন করার সময় তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন, কারণ তিনি, খুব সম্ভব, শিশুপর্নোর ভক্ত ও ঈক্ষণকামী (কী খটোমটো বাংলা রে, বাবা! এর মানে হলো - অপরের যৌনক্রিয়া বা যৌনাঙ্গ দেখে যৌন তৃপ্তিলাভকারী ব্যক্তি। ইংরেজিতে বলে voyeur। আচ্ছা, বাংলায় সহজ করে "দর্শনকামী" বলা যায় না?)। 

খবরের লিংক পাঠিয়েছেন কৌস্তুভ

এবারে দেখুন প্রাসঙ্গিক দু'টি টিভি রিপোর্ট।


ভুডু – ভূতুড়ে এক ধর্মের নাম


কিছু ভূতুড়ে, রহস্যময় এবং প্রায়শই ভয়াবহ রিচ্যুয়াল হিসেবে ভুডু অনেকের কাছেই পরিচিত। তবে আফ্রিকার বেনিনে ভুডু যে সরকারীভাবে ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত, তা আমার জানা ছিলো না। ধর্মের নানান দাবি ও প্রস্তাব যতো উদ্ভট ও নির্মমই হোক না কেন, সেগুলো নিঃশর্ত মেনে নেয়াই ধর্মবিশ্বাসীদের বৈশিষ্ট্য। ব্যতিক্রম নেই ভুডু-অনুসারীদের ক্ষেত্রেও। ধর্মবিশ্বাস প্রকৃতপক্ষেই মানুষের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি ধ্বংস করে দেয়। এর পক্ষে ভুরি-ভুরি উদাহরণ দেয়া সম্ভব। ভুডু ধর্মের ক্ষেত্রেই দেখুন, এই ধর্মে বিশ্বাসীরা পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি আনার লক্ষ্যে নিজেদের সন্তানদের হত্যা করতে দ্বিধা করে না (এটাকে নবী ইব্রাহীম সিনড্রোম বলা যায়?)! ভাবতে পারেন! বিশ্বাসের কী মহিমা! ধর্মের নামে সন্তান হত্যার রীতি অন্য ধর্মগুলোয় হয়তো নেই। তবে অন্যদের হত্যা করার বিধান তো প্রধান ধর্মগুলোতেও মহাসমারোহেই বিদ্যমান। এছাড়া ধর্মেজোশে বলীয়ান হয়ে আত্মাহুতি দেবার রীতি বা ঐতিহ্যের কথা তো আমরা জানিই।

আল-জাজিরার তৈরি ২৪ মিনিটের ভুডু বিষয়ে ভিডিও দেখুন। বড়োই বেদনাবহ।

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১০

আরও বল্দার্গু

আবার আমার প্রিয় দ্য চেসার  

কতো ভুয়া দাবিতে মানুষ বিশ্বাস করে, ভেবে অবাক হতেই থাকি। এক প্রতারক বই এবং ভিডিও বের করেছে। তার দাবি, একেবারে মন থেকে কিছু চাইলে এক সময় আপনি তা পাবেনই! এ জন্যে আপনাকে পার হতে হবে তিনটে ধাপ: ask, believe এবং receive। তো এই বল্দার্গুর যা প্রাপ্য, সেটাই দিয়েছে দ্য চেসার। পুরাই হাহাপগে।


ডাউনলোড তরিকা

এই বদগুলোর বেশ কয়েকটি ভিডিও ধর্মকারীতে দেয়া হয়েছে। না দেখে থাকলে সবগুলো দেখা ফরজে আইন। অতএব ছওয়াব হাছিল করতে "দ্য চেসার" ট্যাগে ক্লিক করুন।

এদিকে বিল মার একই জাতীয় বইয়ের এক লেখককে নিয়ে চরম বিদ্রূপ করলেন। বইয়ের নাম: Wish it, Want it, Do it। মিল পাচ্ছেন না আগেরটার সঙ্গে? 

ডাউনলোড লিংক (২৪.৩ মেগাবাইট)

পী লে, পী লে, ‘মেরী’ নাম কা পেয়ালা...

লিখেছেন কৌস্তুভ 

শচীনকত্তার ওই ভক্তিমূলক হিন্দি গানখানা হয়ত অনেকেই শুনেছেন। না শুনলে শুনতে পারেন। কিন্তু না, এখানে গান নিয়ে আজ আলোচনা করছি না। দুটো কথা বলব, জয়গান নিয়ে। ধম্মকম্মের। আমার পরিপ্রেক্ষিত থেকে। আর সাথে চানাচুর হিসাবে ইতালীয় বালিকার গপ্প। (আসল লেখাটা পড়তে না চাইলে শেষে চলে যান।)

(১)
কয়েকদিন আগে আমাদের ইউনির মেডিকাল স্কুলে ক্যাথলিক স্টুডেন্ট গ্রুপ এক বক্তৃতার আয়োজন করেছিল। তার হেডিং পড়েছিল, “মিরাক্‌ল্‌ আরোগ্য? লুর্দ গির্জায় চিকিৎসাবিজ্ঞান-নির্ভর অনুসন্ধান”। এবং তলায় লেখা, যাঁরাই এই একবিংশ শতাব্দীতে ধর্ম ও বিজ্ঞানের ‘ডায়নামিক ইন্টারপ্লে’ দেখতে আগ্রহী, তাঁরা অবশ্যই আসুন।

বিজ্ঞানের পক্ষে বক্তৃতাটি ঝুঁকে, নাকি ধর্মের পক্ষে, সে সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি পোস্টারটিতে। মেডিকাল স্কুল যখন, তখন মিরাক্‌ল্‌ আরোগ্যের কোনো দাবিকে অপ্রমাণ করা হবে, এটা মনে হচ্ছিল। আবার ভাবছিলাম, ক্যাথলিক ছাত্রদের আয়োজিত যখন, তখন প্রমাণের চেষ্টাও বিচিত্র নয়। হয়ত একটা সমঝোতার চেষ্টা করা হবে, ভাবলাম। ‘অ্যাপলজিস্ট’ ধরনের কোনো অবস্থান আর কি।

(২)
গিয়ে জানলাম, বক্তৃতাটি ফ্রান্সের দক্ষিণের লুর্দ শহরের ‘আওয়ার লেডি অফ লুর্দ’ নামক গির্জাটির সম্বন্ধে। সেখানে একটি ‘পবিত্র জলধারা’ আছে, যা একটা চৌবাচ্চায় জমা করা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী সেখানে স্নান করতে আসেন। স্নান মানে, দুজন কর্মী আপনাকে ধরে সেই ৮-৯ ডিগ্রীর ঠাণ্ডা জলে ঘচাং করে ডুবিয়েই তুলে ফেলবে। মানস সরোবরের হিমশীতল জলে ডুব দিয়ে যেমন তনুমনঝাঁঝাঁকরণ চাঙ্গা ভাব হয়, তেমন আর কি। তবে ওখানেই শেষ নয়। এ পর্যন্ত বহু লোকেরই নাকি ওই জলে স্নান করে দুরারোগ্য ব্যাধি সেরে গেছে। প্রায় দেড়শ বছর ধরে এই স্নান চলছে (ওই যেমন হয়, শুরুতে মাতা মেরী এক পরমাসুন্দরী শ্বেতবস্ত্রাবৃতা যুবতীর সাজে কাউকে দর্শন দিয়ে কিছু বাণীটাণী দিয়েছিলেন), এখনও অবধি হাজার হাজার লোকে এই দাবী করেছে।

নিঃসন্দেহ হতে, গির্জার পাদ্রী এক মেডিকাল বোর্ড স্থাপন করেন, তাও বহুদিন হল। তার এক হেড-ডাক্তার আছেন। তিনি এবং অন্যান্যরা মিলে এই দাবীগুলি পরীক্ষা করে রায় দেন, এগুলো সত্যিই চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী সারানো অসম্ভব কি না। তেমন হলে, এই কেসগুলি ক্যাথলিক হর্তাকর্তাদের কাছে যায়, তাঁরা নেড়েচেড়ে রায় দেন, হ্যাঁ এটি একটি মিরাক্‌ল্‌।

এই ইতালীয় ভদ্রলোক সেখানকার বর্তমান হেড-ডাক্তার। প্রথম অ-ফরাসী। হার্ভার্ড মেডিকাল স্কুল থেকেই পাশ। আগে অন্য কোথাও কাজ করতেন, গত বছর ওদের ডাক পেয়ে সেখানে যোগ দেন। নিজেও ক্যাথলিক, ছাত্রজীবনে সেখানে তীর্থযাত্রায় গিয়েছিলেন। ইউনির ক্যাথলিক স্টুডেন্ট গ্রুপের কিছু ছাত্র সম্প্রতি সেখানে তীর্থযাত্রায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে পরিচিত হয়, তখন তাঁকে এখানে বক্তৃতা দিতে আহ্বান করে। তিনি সাগ্রহে স্বীকৃত হন। আরো অন্যান্য শহরেও তিনি এই লেকচারটি দেবেন বলে জানালেন।

(৩)
এ পর্যন্ত শুনেই নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, লেকচারটি কী ছিল। একটি বিবরণমূলক বিজ্ঞাপন, যদি ভদ্রতাবশত প্রোপাগান্ডা কথাটি না বলি। স্থানটির মহিমা সম্বন্ধে বিশদ জানালেন, কিভাবে এই ঘটনাগুলি চিহ্নিত হয়, সেখান থেকে মিরাক্‌ল্‌ ঘোষণা হওয়া অবধি পদ্ধতিগুলি কি কি, ইত্যাদি। গর্ব করে বললেন, তাঁরা অত্যন্ত ‘উন্মুক্ত’। ওনার দপ্তরে এসে যে কোনো ডাক্তার কোনো কেসের ফাইলপত্র চাইলেই ওনারা সাগ্রহে দেখাবেন, যাতে ওই ডাক্তারও পরীক্ষা করে নিতে পারেন, সত্যিই দুরারোগ্য কি না। বললেন, এইধরনের আরোগ্যকে আমরা ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যাখ্যার অযোগ্য’ বলি না, বলি ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না’। অ্যাকাডেমিক লাইনে কিছু প্রকাশ করতে গেলে যাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয় (অবশ্য এখন সম্মান কমে যাচ্ছে) – সেই ‘পীয়ার রিভিউ’ অর্থাৎ সম পেশার অন্যদের দিয়ে সেগুলিকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া, তাও তাঁরা করেন বললেন। প্রথম ধাপে তাঁরা নিজেরাই কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। তারপর একটি কমিটি নির্বাচিত করা থাকে, যাতে অনেক প্রতিষ্ঠিত ডাক্তাররা থাকেন, তাদের কাছে সেগুলি পাঠানো হয়। তাঁরা পরীক্ষা করে রায় দেন। তারপর তাদের মধ্যে এটি ‘চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না’ কি না তাই নিয়ে ভোট হয়। ভোটে জিতলে সেটি ধর্মগুরুদের কাছে পাঠানো হয়।

(৪)
এ পর্যন্ত নাকি ৬৭ টি মিরাক্‌ল্‌ চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে ক্যানসার, টিবি, আর্থরাইটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ইত্যাদি আছে। একটা কেসের সামারি ধরালেন লোকজনকে। ছবিটবি আর টাইমলাইন দিয়ে। সেসব ডাক্তারির ব্যাপার আমি কিছু বুঝি না।

এই দাবিগুলির বিষয়ে আমার কয়েকটি বক্তব্য আছে। আপনারা সহমত কি না, ভেবে বলবেন।

১. এই দীর্ঘ দেড়শ বছরে মাত্র ৬৭টি কেস মিরাক্‌ল্‌ হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ভুল হবার হার কত? এই আমেরিকার মত আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন জায়গাতেও দেশের মতই ভুল পা কেটে বাদ দেওয়া, আসল স্যামের বদলে অন্য স্যামকে ক্যান্সার হয়েছে বলে বলে দেওয়া, অপারেশনের পর পেটে ছুরি রেখে দেওয়া, এ তো কতই হয়। এমন তো হতেই পারে, বায়োপ্সির রিপোর্ট গুলিয়ে ফেলে যাঁকে ক্যান্সার হয়েছে বলে ধরে নিয়ে প্রচুর কেমোথেরাপি দেওয়া হল, সেই ভক্তিমতী মহিলা ওই জলে চান করে প্রচুর জোশ নিয়ে দেশে ফেরত গেলেন, তারপর আশায় আশায় আবার বায়োপ্সি করালেন। ব্যাস, কেল্লা ফতে!

২. আসলে কমিটির যাঁদের দিয়ে রিভিউ করানো হচ্ছে, তাঁরাও কিন্তু প্রচণ্ড ক্যাথলিক। আর মনে ভক্তিভাব থাকলে মানুষ দরজার কাঠের নকশায়ও যিশুকে দেখে, জলাধারের শ্যাওলায় মেরীকে দেখে। আরো কত কি। তাঁদের রিভিউ কতটা নিরপেক্ষ, আর কতটা মিরাক্‌ল্‌ ঘোষণা করানোর ব্যাপারে উৎসাহী, কে বলবে?

৩. একটা দুরারোগ্য রোগ ওখানে গিয়ে সেরে গেছে বলে তা বিজ্ঞাপিত হচ্ছে। কিন্তু এমন রোগ কোনো কারণে আপনা থেকে সারতে পারে কি না, বা তেমন সারার হার কত, এসব না জানলে তুলনা করা যাবে কি করে? এত লক্ষ লোক যে ক্যান্সার নিয়ে ওখানে যায় প্রতি বছর, তার মধ্যে সারে আর বিজ্ঞাপিত হয় হয়ত মাত্র ১ জনের। আর বাকিদের? তাহলে সাফল্যের হারটা কেমন?

৪. দেড়শ বছর আগে যা স্বাভাবিকভাবে সারা অসম্ভব বলে ধরা হচ্ছিল, আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের নজরে কি তা একই রকম অসম্ভব বলে মনে করা হবে? দুর্ঘটনায় আপনার মাথায় চোট লাগল, আপনার মস্ত্বিস্ক আর ঠিকঠাকভাবে সব কাজকর্ম করতে পারে না। আগেকার দিনে মনে করা হত, এ জিনিস আর বদলাবার নয়। কিন্তু এখন ‘ব্রেন প্লাস্টিসিটি’র নতুন তত্ত্ব বলছে, মাথার নিউরনের জাল আপনা থেকেই বদলায়, এবং বড়সড় পুনর্সংযোগও হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।

(৫)
লেকচারের শেষ দিকে উনি বললেন, হে উপস্থিত সন্দেহপ্রবণ ডাক্তারগণ, আমি সরাসরি কিছু বলছি না, কিন্তু এই আর্টিকলটি দেখ, এখানেও বলেছে, ধর্মে মতি থাকলে রোগ তাড়াতাড়ি সারে।

কৌতূহল হল। বাড়ি এসে আর্টিকলটা নামিয়ে পড়লাম। ইতালিরই জনকয় ধর্মপ্রাণ চিকিৎসকের রচিত। পীয়ার-রিভিউ করা জার্নালেই প্রকাশিত। তবে পীয়ার-রিভিউ যে অনেকাংশেই বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো হয়, সে কথায় পরে আসছি। আর্টিকলটা একটু পড়ি।

সেটার শিরোনাম, ‘ধর্মানুভূতির সঙ্গে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট রোগীদের বেঁচে থাকার অ্যাসোসিয়েশন দেখা গেছে’। কোনো পেপারে যখন তথ্য-সংখ্যা ঘেঁটে স্ট্যাটিস্টিকাল কাজকর্ম করা হয়, ‘অ্যাসোসিয়েশন’ শব্দটা দিয়ে বোঝানো হয় ‘স্ট্যাটিস্টিকাল অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘স্ট্যাটিস্টিকাল কোরিলেশন’কে, যার মানে, সরল ভাষায়, একটার সংখ্যা বাড়লে অন্যটারও সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে ডেটা’য়। কোরিলেশনের মোটামুটি বাংলা সমানুপাত।

এই ‘অ্যাসোসিয়েশন’ অনেকভাবেই দেখা যেতে পারে। তাই একে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কয়েকটা উদাহরণ দিই, যেখানে সমানুপাত’এর কোনো মানেই হয় না। ১. আইসক্রিমের বিক্রি বাড়লে জলে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে। তাহলে কি আইসক্রিম খেলেই...? না, নিশ্চয়ই নয়। গরমে লোকে ঠান্ডা বেশি খায়, অন্যদিকে জলে দাপাদাপিও বেশি করে আরকি। ২. আপনার বয়স ২৫, মাথায় ঘন কালো চুল। বিয়ে করলেন। পঞ্চাশে মাথায় বিশাল ইন্দ্রলুপ্ত। ওই বৌ ব্যাটার জন্যই! নাকি বয়সের জন্য? ভুক্তভোগীরা অবশ্য প্রথমটারই দাবী করবেন...

(৬)
প্রথমটায় গরমকাল, আর দ্বিতীয়টায় বয়স, এগুলো হচ্ছে ‘হেতু’। যে ধরনের স্ট্যাটিস্টিকাল কাজকর্মে এই হেতু বা ‘কজ’ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়, তাকে বলে ‘কজালিটি’। যেমন সিগ্রেট ফুঁকলে তার ধোঁয়ায় যে সত্যিই লাং ক্যান্সার বাড়ে, সেইটা প্রমাণ করা। এই কাজগুলো তুলনায় অনেক কঠিন। আপনি যদি নিজে হাতে একটি পরীক্ষা সেট-আপ করতে পারেন, যাতে অর্ধেক লোক ফুঁকবে, আর অর্ধেক ফুঁকবে না, আর তাদের খাওয়াদাওয়া পরিবেশ সব সমান রাখতে পারেন, তাহলে হিসাব করে বলা সোজা। নইলে এমনি এমনি কিছু ডেটা থেকে ‘কজালিটি’ বার করা খুব কঠিন।

তা এই পেপারটির শিরোনামে তো শুধুমাত্র ‘অ্যাসোসিয়েশন’ বলা হয়েছে, যে ধর্মানুভূতি বেশি এমন লোকেদের বেশিদিন বাঁচতে দেখা গেছে। তাহলে ঐ বক্তা ভদ্রলোক এমন ‘কজালিটি’র দাবী করলেন কেন, যে ওখানে নাকি লেখা, ধর্মানুভূতি থাকলে লোকে বেশিদিন বাঁচবে?

পুরোটা পড়লাম। দেখি, ভেতরে সত্যিই সেই দাবী করা! এক জায়গায় লেখা, তাহলে আমরা এই ‘হাইপোথিসিস’ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলাম, যে ধর্মানুভূতি সত্যিই বাঁচার হার বাড়ায়। দেখেন কাণ্ড। ‘অ্যাসোসিয়েশন’ থেকে যে লাফ মেরে কজালিটি’তে চলে যাওয়া যায় না, সেটা মানতে এঁদের বয়েই গেছে। আরেক জায়গায় বলছেন, আমরা এইটা বিশ্বাস করতে আগ্রহী, যে ওই যে সম্পর্কটা দেখা গেছে, সেটা শুধুই সমানুপাত নয় বরং হেতু; ধর্মবিশ্বাস রোগীদের জীবনপথের সত্যিই এক বিরাট পাথেয়। তা এমন বিশ্বাস থাকলে আর যুক্তি-বুদ্ধি-অ্যানালিসিসের প্রয়োজন আছে, বলেন?

(৭)
আর সেসব হলে যে অ্যানালিসিস ছেড়াবেড়া হবে, সে তো প্রত্যাশিতই। এনারা স্ট্যাট-এর যে পদ্ধতিটা ব্যবহার করেছেন, তার নাম ‘সারভাইভাল অ্যানালিসিস’। আতিপাতি স্ট্যাট কাজকর্মের চেয়ে এটা একটু বেশি জটিল, তাই অসাবধানে এটা ব্যবহার করলে ভুলও বেশি হয়। একটা উদাহরণ দিই।

মনে করুন, আমরা দেখলাম আপনার ৭০ বছরের বেশি বাঁচার সম্ভাবনা ২০%। তাহলে ৫০ বছরের বেশি বাঁচার সম্ভাবনা তো অন্তত ওই ২০% হবেই। আসলে আরো বেশিই হবে, হয়ত ৪০%। তাই বয়সের তুলনায় বাঁচার হার আঁকলে সেই গ্রাফ কেবল কমবেই।

অথচ, একটা পীয়ার-রিভিউ করা পেপার, যাতে তুলনা করে দেখানো হচ্ছে, যে সাধারণ মানুষের তুলনায় পপ-স্টারদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাত্রার কারণে মৃত্যুহারও বেশি, সেখানে কিন্তু পপ-স্টারদের সেই গ্রাফ উঠছে-নামছে!

(৮)
এই পেপারেও ওই অ্যানালিসিস লাগাতে গিয়ে যাচ্ছেতাই সব কাণ্ড করেছেন ওঁরা। আমার ব্লগে বিস্তারিত লিখেছিলাম, এখানে সংক্ষেপে বলি।

চিকিৎসার পর বাঁচার হার যখন মাপবেন, তখন লিভার প্রতিস্থাপনের পর কোনো শারীরিক জটিলতায় মৃত্যু হচ্ছে কি না, সেটাই তো মাপবেন। হঠাৎ কেউ এসে আপনাকে গাড়ি চাপা দিল আর আপনি পটল তুললেন, এটা কেন ওই চিকিৎসা-গবেষণার মৃত্যুহারে মাপা হবে? বরং, নিয়ম হল, যেহেতু এভাবে মারা গেলে আপনার প্রকৃত শারীরিক হালচাল আর মাপা যাচ্ছে না, তাই বলা হবে, আপনাকে ‘সেন্সর করা’ হয়েছে। সেন্সর করা আর জটিলতায় মারা যাওয়া দুটোকে আলাদা ভাবে হিসাব করতে হয়। এখানে সব মিশিয়েটিশিয়ে দিয়েছেন ওঁরা। কেন করা হয়েছে, সেটায় পরে আসছি।

৩ বছর ধরে ১৭৯ জন রোগীকে স্টাডি করেছেন ওঁরা – ৮৯ জন ধার্মিক আর ৯০ জন অধার্মিক, তাতে মাত্র ১৮ জন মারা গেছে মোট। এই হারটা খুবই কম। তাই হিসাবে ত্রুটি হবার সম্ভাবনা বেশি। পরে আসছি তাতে। তা এঁরা বলেছেন, কোনো ‘ডেটা লস’ হয় নি, এই ৩ বছর সবাইকেই স্টাডি করতে পেরেছেন (মারা যাওয়া লোকেদের বাদ দিয়ে)। অথচ, ১ বছর পরেই বলছেন, এখন ১২৮ জনকে মাপছি। বাকি ৪৯ জন কই? অত লোক তো মরেও নি। হিসাবের কড়ি বাঘে খেয়ে গেল?

আচ্ছা, হিসাব শুরু করেছিলেন, প্রায় সমান ধার্মিক ও অধার্মিক মানুষ নিয়ে। তাহলে সমান সমান হলে, দুটো গ্রুপেই ৯ জন করে মরার কথা। এবার যদি ধার্মিক গ্রুপে ১ আর অধার্মিক গ্রুপে ২ জন দুর্ঘটনায় মরে থাকেন, তাহলেই তো আসল মৃত্যুহারের অনুপাত বেড়ে ১১৫% হয়ে যায়। হিসাবে গণ্ডগোল, যা দেখাতে চাইবেন তা আসবে না। তাই দে গরুর গা ধুইয়ে, সব ধরনের মরা মিশিয়ে দে।

আসলে, যেসব বিষয়গুলির গবেষণায় স্ট্যাট ব্যবহার করা হয়, যেমন ডাক্তারি, ভাষাতত্ত্ব ইত্যাদি, তাদের পরীক্ষালব্ধ ফলগুলি থেকে কিছু প্রমাণ বা প্রতিষ্ঠা করতে, সেখানে স্ট্যাটিস্টিক্স একটা সেকেন্ডারি বিষয়। অন্যান্য সরঞ্জামের মতনই স্ট্যাটকেও একটা ব্যবহার্য সরঞ্জামের মতই ধরা হয়। তাই তাদের স্ট্যাটে যথেষ্ট ট্রেনিং দেওয়া হয় না, এবং তেমন গুরুত্বও দেওয়া হয় না, কোনোরকম করে একটা লাগিয়ে রেজাল্টটা পছন্দমত পেলেই হল। রিভিউয়ের সময়ও অ্যানালিসিসে কোনো ভুল আছে কিনা দেখার জন্য কোনো স্ট্যাটের লোককে রাখা হয় না।

(৯)
পেপারের রেজাল্ট সেকশনে অ্যানালিসিস করে পাওয়া ফলগুলো দিয়ে, ডিসকাশন সেকশনে সেগুলো ব্যাখ্যা করার নিয়ম। এই পেপারে ওনারা সেখানে ফল ব্যাখ্যার বদলে ধর্মকে ব্যাখ্যা করেছেন। গোটা স্টাডিতে কোথাও মাপা হয় নি, ওনারা বলে দিলেন, লোকেরা ঈশ্বরকে গভীর ভাবে উপলব্ধি করেছেন, এবং এই ধার্মিক ‘সেন্টিমেন্ট’ তাঁদের সংস্কৃতি থেকে উঠে আসা। ‘গভীর ভাবে উপলব্ধি’, ‘সংস্কৃতি’ সেসব তথ্য এল কোত্থেকে?

অবশ্য আশ্চর্য হই নি। ইতালী ইউরোপের অন্যতম ধর্মপ্রাণ দেশ হিসাবে খ্যাত, ভ্যাটিকান’এর আবাস। সেখানের ভদ্রলোক, ডাক্তার হলে কি হবে, বক্তৃতার শেষে ‘দিস ইস মিরাক্‌ল্‌’ বলে চিৎকার করবেন, সে আর বেশি কি। ওই পেপারের লেখক ডাক্তাররাও ইতালীয়, খেয়াল করবেন।

এই তো কদিন আগেই মহামতি পোপ বলেছেন, “বিজ্ঞানীরা তো আর দুনিয়া বানায় নি, তারা সেটার হালচাল শেখার চেষ্টা করে শুধু। তাদের কাজ হচ্ছে তাই এই মহাজাগতিক সূত্রগুলি বোঝার চেষ্টা করা। এবং সেটা বুঝলেই তাই তারা বুঝতে পারে, এক সর্বশক্তিমান ‘কারণ’ এই দুনিয়া চালাচ্ছে – সেটাই হল ভগবান, মানুষ চালাচ্ছে না।” এই দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় লাইনে লাফ দেবার লজিকে যে প্রচণ্ড ফ্যালাসি, সেটা বোঝার ক্ষমতা তাঁর বা অনেকেরই নেই। তাই ওই ভদ্রলোক বা ওই ডাক্তাররা একই ধারণার অনুসরণে যে ‘মেরী’ নামের নেশায় সবাইকে চুর হতে আমন্ত্রণ জানাবেন, এ আর আশ্চর্য কি।

সাধারণ ভাবে ধরা হয়, পশ্চিম ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলি বেশি আধুনিক এবং উদারপন্থী, আর পূর্ব ও দক্ষিণের দেশগুলি প্রাচীনপন্থী। বোরখা-ব্যানের মত পদক্ষেপ নিতে থাকা ‘লিবারেল’ ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষিত ক্যাথলিক ডাক্তারের অভাব তাই এখন পড়তেই পারে, আর তার জোগান দিতে ইতালীর চেয়ে উপযুক্ত আর কে? ফ্রান্সে ৭৩% ধর্মকে গুরুত্ব দেয় না, জার্মানীতে ৫৭%, আর ইতালীতে মাত্র ২৬%।

সে তুলনায় আবার আমেরিকাও অনেক বেশি ধর্মনির্ভর। গোঁড়াদের অত্যাচারে ইউরোপ ছেড়ে চলে আসা উদারপন্থী মানুষেরা যখন আমেরিকা প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তাঁদের লক্ষ্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। সেই থেকে আজ ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’য়ে এসে দাঁড় করিয়েছে যীশু-অনুগামীদের দল। কোরান পোড়ানোর তাদের জিগির তাদের পাবলিসিটি স্টান্ট। আমেরিকার স্কুলে ক্রিশ্চান লবিগুলি সফলভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্ব শেখানো চালু করেছে কয়েক জায়গায়। সেই তুলনায় আজ ইংল্যান্ডের অবস্থা অনেক ভাল। সাম্প্রতিক এক স্টাডিতে আমেরিকার মাত্র ২৬% জনতা বলেছে, মানুষ বহু লক্ষ বছর ধরে ইশ্বরের প্রভাব ছাড়াই বিবর্তিত হয়েছে। সেইটা ইংল্যান্ডে ৪৮% লোক বলেছে। ওই ভদ্রলোক তো আমেরিকাতে আরো উৎসাহ নিয়ে লেকচার দিতে আসবেনই।

(১০)
ইতালি এবং ক্যাথলিকদের কথা যখন তুলেছি, তখন আমাদের ব্যাচের এক ইতালীয় বালিকার গল্প দিয়ে শেষ করি। বালিকা প্রচণ্ড ক্যাথলিক, তার সব কথাতেই ‘ইলাহি ভরসা’। তার একটি বয়ফ্রেন্ড আছে, সে আবার বালিকাকে যত্ন করে কামড়াইতে বড়ই উৎসাহী। কিন্তু ধর্মপ্রাণা বালিকার তাতে খুব আপত্তি। সে বলে, ওগো, আমাকে আগে বিবাহ করে নিজের শ্রীচরণে ঠাঁই দিয়ে নাও, তারপর মনের সুখে কামড়াইবে; কিন্তু বিয়ের আগে একদম ওসব নয়, আমি মাতা মেরীর মতই ভার্জিনাবস্থায় বিবাহ করতে চাই। অনেক ইতালীয় মহিলার মতই এই মেয়েও ‘আদর্শ মাতৃত্বের’ দৃষ্টান্ত স্থাপনে আগ্রহী, বিয়ের অব্যবহিত পরেই সে এক বিশাল পল্টনের উৎপাদন এবং লালনপালন করে সফল এবং প্রবল মাতৃত্বের ধ্বজা ওড়াতে চায়। এ গল্প সে সবাইকেই করে। দুষ্ট পাঠক এ কথা শুনে ভাববেন না, ওই পল্টন উৎপাদনে সে আপনার কোনো অবদান চায়।

মুশকিল হল, ওই ছেলেটি ধর্মটর্মকে পাত্তা দেয় না, সে অজ্ঞেয়বাদী। বান্ধবীর ধর্মচর্চায় কোনো আগ্রহ নেই তার, স্বভাবতই সেই ধর্মের আরোপিত বাধায় কামড়াতে না পেরে সে বড়ই ক্ষুব্ধ। ওদিকে সে পট করে বিয়েও করতে চায় না, তার মত, যখন আমাদের মধ্যে এত বিষয়েই মনের অমিল, তখন এখুনি বিয়ে করে ফেলে পরে ভোগার চেয়ে আরো কিছুদিন দেখে নেওয়া ভাল। সব মিলিয়ে বড়ই জটিল স্টেলমেট।

একই কনফারেন্সে গেলে তারা পাশাপাশি ঘর নেয়, কিন্তু ডবল-বেড একটা রুম নেয় না। আমেরিকাতে এটা বেশ ব্যতিক্রম। এমন কেন জিজ্ঞেস করলে বলে, পাশাপাশি আগুন আর ঘি? যদি ‘টেম্পটেশন’ সামলাতে না পেরে ‘কিছু’ হয়ে যায়? বলি, তাহলে তোমার ধর্মসঞ্জাত চারিত্রিক বলের কি হল? বলে, না, “হিউম্যান নেচার ইজ উইক”।

আবার ছেলেটির ‘হবু স্ত্রী’ হিসাবে খুব অভিমান করে, যখন ছেলেটির সমমনস্ক বন্ধুরা তার বাড়িতে এসে মেয়েটির গোঁড়ামিকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। বলে, হবু হোক, বর তো! তার কি কর্তব্য নয়, স্ত্রীর নিন্দামন্দ দেখলে তেব্র পেতিবাদ করা? বরং সে-ও ওদের সঙ্গে মিলে খিলখিল করে!

এই অচলাবস্থাতেই গল্প শেষ করি। কোনো পাঠক বেশী কৌতূহল দেখিয়ে ফেললে মুশকিল হয়ে যাবে – ছেলেটি আবার খাঁটি সিসিলীয়, কোনোরকম আভাস পেলেই তার পুত্রপৌত্রাদি এসে অনাগত চোদ্দপুরুষকে শুদ্ধু ভেন্ডেটা করে দিয়ে যাবে। সুহৃদ নিধার্মিকদের এহেন বিপদ থেকে সাবধান করা কর্তব্য বইকি। মেয়েটি সবাইকেই বলে, ছেলেটির সুমতি হোক, ভালয় ভালয় আমাদের বিয়েটা হয়ে যাক, এই দোয়া করুন। শান্তিকামনায় আপনারাও তাই করুন বরং।

বিজ্ঞানের সিম্ফনি


বিভিন্ন মনীষীর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে অদ্ভুতভাবে বানানো "যুক্তিসঙ্গীত"। সঙ্গীতশিল্পীরা হলেন: বার্ট্রান্ড রাসেল, কার্ল সেগান, রিচার্ড ডকিন্স, স্যাম হ্যারিসসহ আরও কয়েকজন।

লিরিকসও দেয়া হলো।


লিরিকস:

Russell:
When you are studying any matter
Or considering any philosophy
Ask yourself only: what are the facts,
And what is the truth that the facts bear out

Sagan:
Science is more than a body of knowledge
It's a way of thinking
A way of skeptically interrogating the universe

If we are not able to ask skeptical questions
To be skeptical of those in authority
Then we're up for grabs

Shermer:
In all of science we're looking for a balance 
between data and theory

Harris:
You don't have to delude yourself
With Iron age fairy tales

Porco:
The same spiritual fulfillment
That people find in religion
Can be found in science
By coming to know, if you will, the mind of God

Krauss:
The real world, as it actually is,
Is not evil, it's remarkable
And the way to understand the physical world 
is to use science

Dawkins:
There is a new wave of reason
Sweeping across America, Britain, Europe, Australia
South America, the Middle East and Africa
There is a new wave of reason 
Where superstition had a firm hold

Plait: 
Teach a man to reason
And he'll think for a lifetime

Sagan:
Cosmology brings us face to face with the deepest mysteries
With questions that were once treated only 
in religion and myth

The desire to be connected with the cosmos
Reflects a profound reality
But we are connected; not in the trivial ways
That Astrology promises, but in the deepest ways

Feynman:
I can't believe the special stories that have been made up 
About our relationship to the universe at large
Look at what's out there; it isn't in proportion

Russell:
Never let yourself be diverted 
By what you wish to believe
But look only and surely
At what are the facts

Randi:
Enjoy the fantasy, the fun, the stories
But make sure that there's a clear sharp line
Drawn on the floor
To do otherwise is to embrace madness


পছন্দ হলে এখানে গিয়ে আরও ছ'টি যুক্তিসঙ্গীত শুনে নিন 

বেহেশতের কুমারীগণ ও মোমিন মুচলিম পুরুষেরা

২০০৯ সালের ২৫ জুলাই সৌদি Al-Majd TV চ্যানেলে সিরিয়ায় জন্ম নেয়া সৌদি ইসলামবিদ মুহম্মদ আল-মুনাজিদ মোমিন মোচলমানদের জন্যে বেহেশতে অপেক্ষমাণ কুমারী হুরদের সম্পর্কে এমন বর্ণনা দিলেন যে, শুনে মুচলিম পুরুষদের লোলবর্ষণ প্রবলতর তো হবেই, এমনকি, বলা যায় না, নাস্তিকেরাও প্রলুব্ধ হয়ে যেতে পারে 

লক্ষ্য করুন, তিনি নিশ্চিত করছেন, সুখ ও তৃপ্তির ব্যাপারটি শুধুই পুরুষদের জন্য। মোমিন মোচলমান পুরুষদের বেহেশতবাস চূড়ান্ত উপভোগ্য করতে আল্লাহ অকৃপণ। পান-ভক্ষণ-প্রেম-যৌনতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের জন্য তিনি তাদেরকে দেবেন একশো পুরুষের শক্তি ও ক্ষমতা। বলেন, সোবহানাল্লাহ।

ভিডিওর ট্র্যান্সক্রিপ্ট তুলে দিলাম পুরোটা।

Interviewer: How does one conduct relationships in Paradise whether with the black-eyed virgins or with Muslim women who entered Paradise?
[...]
Muhammad Al-Munajid: Allah said that the black-eyed virgins are beautiful white young women, with black pupils and very white retinas, whose skin is so delicate and bright that it causes confusion. Allah said that they are like hidden pearls. They have wide eyes, and they have not been touched by man or jinn. They are virgins, who yearn for their husbands. They are all the same age, morally and physically beautiful. They are like precious gems and pearls in their splendor, their clarity, their purity, and their whiteness. They are like hidden pearls as pure as a pearl within a shell, untouched by man. Each one of them is so beautiful that you can see the bone-marrow through the delicate flesh on their legs.

Such brilliant beauty does not exist in this world. Where can you find such beauty? Whereas the women of this world may suffer, for days and nights, from menstruation, from blood for 40 days after childbirth, from vaginal bleeding and from diseases the women of Paradise are pure, unblemished, menstruation-free, free of feces, urine, phlegm, children... Moreover, Allah cleaned them of all impure and foul things, both in appearance and character. In character, they are not jealous, hateful, or angry. They are not greedy.
[...]
They are restricted to tents, locked up for the husband. There is no such thing as going out. When he comes home they are there. There is no such thing in Paradise as a man coming home and not finding his wife there. Allah described them as women who lower their gaze, and never look at anybody but their husband. As for deriving pleasure the man is given the strength of...

Interviewer: Sheik Muhammad, you said she looks only at her husband, but today, things are different. Today, husbands don't look only at their wives, or vice versa except for a few, on whom Allah has taken mercy.

Muhammad Al-Munajid: There are some pious, pure men, who have eyes only for their wives, and there are some pious, pure, and obedient wives, who have eyes only for their husbands. But today, in the marketplace, in films, and so on, people's eyes roam freely. The Internet... The people of this world... There is a big difference when it comes to deriving pleasure. In this world, men work hard and tire themselves out in order to derive pleasure. The Prophet Muhammad says that in Paradise, a man gets the strength of 100 men when it comes to eating, drinking, passion, and sex.



ঈশ্বরের প্রিয় দেশ, প্রিয় গ্রহ...

দুর্দান্ত একটি পোস্টার। ছবির ওপরে ক্লিক করে পূর্ণ আকারে দেখুন।


বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১০

অপবিজ্ঞান ধোলাইপর্ব


রিচার্ড ডকিন্সের উপস্থাপনায় যুক্তি ও বিদ্রূপের অপূর্ব সমন্বয়ে অপবিজ্ঞান ধোলাইপর্ব।


ঘামান মাথা

কার্টুনের তিন চরিত্র একত্রে কী বলছে, ভাষা জানা নেই বলে বুঝতে পারিনি, তবে "নিজেদের ভেতরে যতো শত্রুতাই থাকুক না কেন, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ" হলে বেশ মানাতো বলেই মনে হচ্ছে।

বা অন্য কী হতে পারতো? ঘামান না একটু মাথা!


হিচেন্সের অংশগ্রহণে সাক্ষাৎকার ও বিতর্ক


সাক্ষাৎকার

ক্যান্সারাক্রান্ত ক্রিস্টোফার হিচেন্স এতোটুকুও হারাননি নিজের অবস্থান, যুক্তির তীক্ষ্ণতা ও রসবোধ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এবিসি চ্যানেলে তাঁর লম্বা সাক্ষাৎকার সেটাই প্রমাণ করে। দুই দিনে নেয়া এই সাক্ষাৎকারের প্রথম দিনের শেষে সাক্ষাৎকারগ্রাহক যখন বললেন, আগামীকাল কথা হবে, তখন হিচেন্স উত্তরে যা বললেন, তা জানতে হলে দ্বিতীয় ভিডিওর শেষাংশটুকু দেখতে হবে 

আর চার পর্বের সম্পূর্ণ ভিডিও দেখুন এখানে


বিতর্ক 

ইনটেলিজেন্ট ডিজাইনের সমর্থক উইলিয়াম ডেম্বস্কির সঙ্গে দীর্ঘ বিতর্ক। দেখে উঠতে পারিনি বলে কোনও মন্তব্য করছি না। উৎসাহীরা এখান থেকে দেখা শুরু করতে পারেন।

মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১০

হ্যান্ডি জিব্রাইল ও "আল্লাহর বাণী"


নবীজির সবচেয়ে প্রিয় স্ত্রী আয়েশা খুব তাৎপর্যমূলক একটি কথা বলেছিলেন নবীজিকে উদ্দেশ্য করেই, "আমার তো মনে হয়, তোমার সাধ-আহ্লাদ পূরণ করতে তোমার আল্লাহ খুবই তৎপর।" (I feel that your Lord hastens in fulfilling your wishes and desires. - Bukhari, Volume 6, Book 60, Number 311)। স্ত্রীদের সঙ্গে শোয়ার সিরিয়াল ভেঙে নবীজি তার ইচ্ছেমাফিক পছন্দের স্ত্রীর সঙ্গে শুতে পারেন - এই মর্মে একটি আয়াত নাজিল হবার পর শ্লেষ-মেশানো এই কথাটি তিনি বলেছিলেন।

সুস্থবুদ্ধির কারুর বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে, আল্লাহন বাণী বলে চালিয়ে দেয়া সমস্ত কথাই আসলে ধূর্ত নবীর নিজের কথা। নিজের করা বা করিতব্য যে কোনও অপকর্ম জাস্টিফাই করতে তৎক্ষণাৎ "নাজেল করিয়ে নিতেন" জুতসই ও লাগসই আয়াত। তাঁর ছিলো পোষা জিব্রাইল। একেবারে হ্যান্ডি। 

কোরান থেকে উদ্ধৃত করা কয়েকটি "আল্লাহর বাণী":


ভারতের নিরীশ্বরবাদী ব্যক্তিত্বরা


যুগে যুগে ভারতে ঈশ্বর-অবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বদের অনতিদীর্ঘ তবে তাৎপর্যপূর্ণ তালিকা দেখুন।



খেলতে না জানলে বিকিনি হ্রস্ব!

চীনে চলমান এশিয়ান গেমসে বিচ ভলিবলের এক ম্যাচে হারার পর এচলামী দেশ ইয়েমেন দলের এক খেলোয়াড় বলেছে, তার দলের হারের পেছনে চিয়ারলিডারদের নেতিবাচক ভূমিকা আছে। তাদের কারণে নাকি দলের দলের মনোযোগ ব্যাহত হয়েছে 


না, অট্টহাসির ইমো দেয়া বোধহয় উচিত হলো না। অনৈসলামিক হ্রস্ব সন্তরণ-ভূষণ পরিধিত বেগানা জেনানাদের দেখে মোচলমান খেলোয়াড়দের ঈমান উত্থিত হতেই পারে। আর উত্থিত ঈমান নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া যে দুঃসাধ্য ব্যাপার, তা অনুমান করা দুরূহ নয়।

প্রচারে বিঘ্ন – ১২

কোথায় অনন্তকাল কাটাতে চান আপনি? 

ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণ আকারে না দেখলে বোঝা যাবে না।



মুসলিমদের হিটলারফেটিশ


মুসলিমদের সবচেয়ে বড়ো শত্রু ইহুদিদের পেঁদিয়েছে বলে অনেক মুসলমানের ভেতরে হিটলারভক্তি আছে। অনেক সময় তা বেরিয়ে আসে কথায় কথায়।

"মডারেট" এক এচলামবিদ Imam Yusuf al-Qaradawi সম্প্রতি হিটলারের কুকীর্তির পক্ষে সাফাই গেছেন।

এর আগে মিসরের ইসলামবিদ Hussam Fawzi Jabar স্থানীয় Al-Nas TV চ্যানেলে গত ১১ জুলাই হিটলারের কীর্তির সপক্ষে বক্তব্য রাখেন।

ডাউনলোড লিংক (১৩.৫ মেগাবাইট)

আরেকটি কৌতূহলোদ্দীপক লিংক পেলাম। সত্যাসত্য জানি না।

আত্মঘাতী জঙ্গি নাস্তিক

আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত সশস্ত্র জঙ্গি নাস্তিক 


ব্রিটিশ স্কুল, ইসলামী রীতি


কয়েক ঘণ্টা আগে বিবিসি-তে প্রচারিত অনুসন্ধানী ডকুমেন্টারি। শিরোনাম দেখেই বিষয় আঁচ করা সম্ভব।



সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০১০

আল্যার অস্তিত্ব বিষয়ে নিঃসংশয় হোন


মাত্র এক মিনিটের এই ভিডিওটি দেখার পর আধা, পাতি, কট্টর, জঙ্গি - সব ধরনের নাস্তিক মাথা নিচু করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নূরের পথে আসবে। 

সুশীলতাহীন ধর্মধোলাই

অনেক আগে পোস্ট করা একটি ভিডিও রিপোস্ট করছি শুরুতে দুটো কারণে। প্রথমত, ভিডিওটি আমার অতিশয় প্রিয়, আর দ্বিতীয় কারণ হলো - একই কমেডিয়ানের আরেকটি দুর্দান্ত ভিডিও পেয়েছি। আজ দুটোই যাচ্ছে একসঙ্গে।

অস্ট্রেলিয়ার স্ট্যাডআপ কমেডিয়ান Jim Jefferies-কে আমার পছন্দ, কারণ তাঁর ভেতরে সুশীলতার ভান নেই, নেই অনাবশ্যক মেকি ভদ্রতা। কড়া শব্দসহযোগে কঠিন কথা বলতে তাঁর একেবারেই বাধে না।

প্রথম ভিডিও থেকে কিছু উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে:

I know this is a Christian country and I stand for your right to be religious but please know that you're wrong... Stop being a fucking child.

... Let's think about it rationally, right, which isn't a good point for the Christians - rational thought. 

... religious people in the crowd and they don't like hearing facts.

পৃথিবীর যতো অনাচার ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রসঙ্গে ঈশ্বরের ভূমিকার কথা তুললে বলা হয়ে থাকে: 

God works in mysterious ways. What sort of excuse is that? What is.. what is mysterious about acting like a fucking asshole?

... see, religious people are just fucking stupid!

দ্বিতীয় ভিডিও এর চেয়েও ভয়াবহ । নিজেই দেখুন।




গুগলের চোখে মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা


নতুন কোনও আইডিয়া নয়। পুরনো এবং ধার করা আইডিয়া নিয়ে আজ গুগলালাম। why are muslims টাইপ করতেই ড্রপ-ডাউন মেন্যুতে যা পাওয়া গেল, দেখুন:


এবার খ্রিষ্টান আর ইহুদিদের সম্পর্কে গুগলের ধারণা কী, দেখা যাক।


দাস-প্রহারের খ্রিষ্টীয় তরিকা


স্ত্রী-প্রহারের ইসলামী তরিকাগুচ্ছ তো অনেকেরই জানা। এবার দাস-প্রহারের খ্রিষ্টীয় তরিকা জানাচ্ছে TheThinking Atheist তাদের নতুন, যথারীতি গতিশীল ও মন-মাতানো ভিডিওতে।


আরব দেশে নারীর দশা – ০৫

ইসলামে নারীকে নিচুশ্রেণীর প্রাণী হিসেবে গণ্য করা হয়। কোরানের আয়াতগুলো পড়লে এই কথাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের প্রয়োজনে এবং নারী পুরুষের প্রায় যথেচ্ছ ব্যবহার্য সামগ্রীর মতো। 

আরব দেশগুলোতে নারীদের অবস্থা বিশেষভাবে মর্মান্তিক। নারীদের দুর্দশার প্রতিফলন ঘটানো কিছু কার্টুন সেই দেশগুলোর পত্র-পত্রিকায় হঠাৎ-হঠাৎ প্রকাশিত হয়। সেসবের সংকলন নিয়েই এই সিরিজ।


সূত্র: Al-Gumhouriyya, মিসর
প্রকাশকাল: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৭
"তুমি তাঁকে বিয়ে করবে, কথা শেষ। তোমার বাবা তাঁকে কথা দিয়েছেন।"

সূত্র: Al-Madina, সৌদি আরব
প্রকাশকাল: ২৭ মে, ২০০৭
মহিলার হাতে ধরা ফোল্ডারে লেখা: ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট। ডানদিকের সাইনবোর্ডে লেখা: চাকরি, বামপাশে কালোয় লেখা সাইনবোর্ডে লেখা: উচ্চতর শিক্ষা এবং কমলা রঙের সরল পথের শেষে লেখা: বিবাহ।

সূত্র: Al-Watan, সৌদি আরব
প্রকাশকাল: ২৪ আগস্ট, ২০০৭
"তালাক!"

কার্ল সেগানের সর্বশেষ সাক্ষাৎকার


১৯৯৬ সালের ২৭ মে তারিখে কার্ল সেগান তাঁর সর্বশেষ সাক্ষাৎকার দেন। তিনি কথা বলছেন অপবিজ্ঞান, ধর্ম ও নানাবিধ প্রমাণহীন দাবি সম্পর্কে। ২০ মিনিটের এই সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশটি ধর্মকারীতে আগে প্রকাশিত। 



রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১০

মানবাধিকারের এচলামী সংজ্ঞা

ইসলাম এবং মানবাধিকারের সহাবস্থান অসম্ভব। থাকবে যে কোনও একটা। তবু লোক দেখানোর খাতিরে এচলামী অনেক দেশে মানবাধিকার সংগঠন থাকে। সরকারের পোষা। মানবাধিকার বিষয়ে সেগুলোর অবস্থান কী, তা নিচের খবর দেখেই অনুমান করে নেয়া যায়।

ইরানের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রধান পাথর ছুঁড়ে হত্যাপদ্ধতির পক্ষে ওকালতি করেছে! তার ভাষ্য: Stoning means you should do a number of acts, by throwing the stone in a limited number, in a special way.…In the eyes of some people, stoning is a lesser punishment than execution because there is a chance you should survive.

একটা ব্যাপার বুঝলাম না। এই পদ্ধতি প্রয়োগের সময় বেঁচে থাকার সুযোগ রাখা হয় কি? 

বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে ধর্মের যুদ্ধ


ধর্মের চোখে বিজ্ঞান বড়োই বদ, বেয়াড়া ও বেয়াদব! যুগ যুগ ধরে পদে পদে ধর্মের জারিজুরি ফাঁস করে দিচ্ছে হারামজাদাটা! তাকে ছাড়া অবশ্য চলেও না, তবে সুযোগ পেলেই বিজ্ঞানকে এক হাত নেয় ধর্মগুলো। তবে কারণগুলো বরাবরই হয় হাহাপগে গোছের।

তিনটে কৌতূহলোদ্দীপক সংবাদ চোখে পড়লো।

১. 
ব্রাজিলের ইভ্যানজেলিক্যাল খ্রিষ্টানদের জন্য ইউএসবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণটা কী? না, ইউএসবি-র প্রতীকটি মনে করিয়ে দেয় ত্রিশুলের কথা (ছবিতে লক্ষ্য করুন)। আর শয়তানের পুজারিদের শাস্তি দিতে এই ত্রিশুল ব্যবহার করা হবে নরকে।

২. 
Thou Shalt Not Facebook ।  বিবাহিত ধার্মিকদের বিপথগামী করতে পারে খোমাখাতা। আর তাই তারা হয় চিরতরে লগ আউট করবে সেখান থেকে, নয়তো তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে চার্চ থেকে।

৩.
তৃতীয় খবরটি সবচাইতে মজাদার। কতোটা ভোদাই হতে পারে লোকে, তার একটি নিদর্শন। এক ধর্মপ্রাণ ভোদাই বই লিখেছে একখানা।  নাম: The Devil in the Machine: Is your computer possessed by a demon?  ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে কম্পিউটারের। তাতে বলা হচ্ছে:

While the Computer Age has ushered in many advances, it has also  opened yet another door through which Lucifer and his minions can enter and corrupt men's souls.

Demons can possess anything with a brain, including a chicken, a human being, or a omputer.

Any PC built after 1985 has the storage capacity to house an evil spirit.

...most of the youths involved in school shootings like the tragedy at Columbine were computer buffs...I have no doubt that computer demons exerted an influence on them.

...one in 10 computers in America now houses some type of evil spirit.

Technicians can replace the hard drive and reinstall the software, getting rid of the wicked spirit permanently.

নিজের থেকে অন-অফ হওয়া ভাইরাস-আক্রান্ত একটি কম্পিউটার পরীক্ষা করে লেখক সিদ্ধান্ত টেনেছেন: The program began talking directly to me, openly mocked me. It typed out, 'Preacher, you are a weakling and your God is a damn liar.' Then the device went haywire and started printing out what looked like gobbledygook...I later had an expert in dead languages examine the text. It turned out to be a stream of obscenities written in  a 2,800-year-old Mesopotamian dialect!

এতোদিনে অরিন্দম


সেই কুত্তা সেই গু খাইলো, খালি খাওয়ার আগে মাখায়া খাইলো!

কনডম প্রশ্নে ক্যাথলিক চার্চের অনড় অবস্থানটি ছিলো রীতিমতো মানবতাবিরোধী। এইডস জর্জরিত আফ্রিকায় গিয়ে বর্তমান ভ্যাটিকানরাজ ঘোষণা দিয়েছিল, কনডম ব্যবহারে এইডসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বাড়ে। শালাকে জাস্ট এই কারণে জেলে ঢোকানো দরকার ছিলো!

পোপ এবার ঘোষণা দেবে, এইডসে "আক্রান্ত হবার ঝুঁকি হ্রাস করতে" কনডম ব্যবহার করা যাবে। 

সে এবং তার সাগরেদরাও অ্যাদ্দিন ধইরা কনডমবিরোধী কুযুক্তির বন্যা বইয়া দিতেসিল। এখন সেই নির্লজ্জরা নেড়ি কুত্তার মতোন লেজ পিছনের দুই পায়ের মধ্যে ঢুকাইয়া কী বলবে, ভাবতে ইচ্ছা করতেসে। 

এই সুমতিটা কেন যে আগে হয়নি তাদের! তাদের ধর্মীয় গোঁড়ামি আর হঠকারিতার কারণে নিশ্চয়ই ঝরে গেছে কতো বিশ্বাসীর প্রাণ, আরও কতোজন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী এই ব্যাধিতে! শশশালারা!