আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

আদমচরিত ০২

(ধর্মপচারকের পক্ষ থেকে: এই পোস্টের লেখক "মুখফোড়" সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ভূমিকা দেয়া আবশ্যক বলে মনে করি। আমার মতে, বাংলা ব্লগ-পরিমণ্ডলে সবচেয়ে শক্তিমান ব্যঙ্গ-লেখক তিনি। আমার সঙ্গে সহমত জ্ঞাপন করবেন, এমন লোকের সংখ্যা অজস্র। কল্পনাতীত কল্পনাশক্তি তাঁর, তীব্র বিদ্রূপাত্মক ভাষা আর অসাধারণ স্মার্ট তাঁর গদ্য। তাঁর অনেক রচনাই ধর্মকারীর চরিত্রের উপযোগী। তিনি তাঁর সেই লেখাগুলো প্রকাশের অনুমতি দিয়ে ধর্মকারীকে কৃতজ্ঞ করেছেন।)

লিখেছেন মুখফোড়

আদম জুলজুল করে তাকিয়ে থাকে ঈভের দিকে। ঈভের পরনে লতাপাতার কাঁচুলি, লতাপাতার কৌপীন, তার শরীরে এক রুক্ষ লাবণ্য, আদম হাঁ করে তাকিয়ে দেখে।

ঈভ বলে, "আদম, তুমি কেন এইভাবে তাকিয়ে আছো? হাঁ বন্ধ করো, মুখে মাছি ঢুকবে।"

আদম তাড়াতাড়ি মুখ বুঁজিয়ে ফেলে সরে পড়ে।

ঝামেলার শুরু হয়েছে এক স্বর্গদূতকে নিয়ে। তার নাম রসময়, সে স্বর্গদূত আর স্বর্গবালাদের নিয়ে নানারকম গরম গল্প তৈরিতে ওস্তাদ।

আদম মাঝে মাঝে বড় জঙ্গল পেরিয়ে ঐ মাঠের কাছে গাঁজার পাতা ছিঁড়তে যায়, সেখানেই ঐ রসময়ের সাথে তার ক্রমান্বয়ে সাক্ষাৎ, আলাপ ও দোস্তি হয়েছে। রসময়ের কাছে গল্প শুনে শুনে ইদানীং আদম একটু গরম হয়ে আছে।

সম্প্রতি "পাশের বাড়ির স্বর্গভাবী" নামে একটা কাহানি বানিয়েছে রসময়, সেটা শুনে আদমের মাথা ঝিমঝিম করছে। স্বর্গবালাদের গড়ন মানুষের মতই, তাই ঈভের সাথে অনেকখানিই মিলে যায় অনেককিছু। আদমের দুষ্টু মাথায় নানা পরিকল্পনা খেলতে থাকে।

কিন্তু পরিকল্পনা ও গল্পমাফিক অগ্রসর হতে গিয়ে বাধা পায় আদম। ঈভ মোটেও পাশের বাড়ির স্বর্গভাবীর মতো উদার নয়, সে ঝটকা মেরে নিজের শরীরের উল্লেখযোগ্য অংশ থেকে আদমের হাত সরিয়ে দেয়, তারপর ঠাস করে একটা চড় লাগায় আদমের মুখে। "ছি আদম, তুমি আবার গাঁজা খেয়ে এসেছো? আবার যদি আমার গায়ে হাত দাও আমি সোজা ঈশ্বরের কাছে নালিশ ঠুকে দেবো।"

আদম চড় খেয়ে গোমড়া মুখে চলে যায় কোথায় যেন।

কিন্তু দিন কতক বাদে রসময়ের কাছ থেকে "পাশের বাড়ির স্বর্গমাসি" নামে আরেকটা গল্প শুনে এসে আদম ঈভকে জাপটে ধরে। ঈভ এবার বহুকষ্টে নিজেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়, কিন্তু আদম তার লতার বাঁধন খসিয়ে ফেলে, ঈভ কোনমতে ছুটে পালায় সোজা ঈশ্বরের দরবারে।

নালিশ শুনে ঈশ্বর গম্ভীর হয়ে ওঠেন। তারপর আদমকে ডেকে পাঠান। আদম মাথা নিচু করে গুটিগুটি পায়ে ঢোকে দরবারে।

"আদম, তুমি নর। নর আদম। নরাধম নও। কেন ঈভকে ওভাবে হামলা করলে?" ঈশ্বর গম্ভীর গলায় বলেন।

আদম ফোঁসফোঁস করে কাঁদে শুধু।

ঈশ্বর বলেন, "জ্ঞানবৃক্ষের ফল না খেয়েই তুমি যেমন উত্থিত হয়ে চলাফেরা করছো, ঐ ফল খেলে কী কান্ড করে বেড়াবে কল্পনা করতে গিয়ে আমি শিউরে উঠছি! তোমাকে হুঁশিয়ার করে দিলাম আদম, এরপর এসব দুষ্টুমি করলে তোমাকে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে কিন্তু!"

আদম হাউমাউ করে কেঁদে বলে, "কী করবো? ঈভের শরীরটা দেখলেই আমার কেমন কেমন লাগে! আর ও কাপড়চোপড় পরে না ঠিকমতো, কতো কিছু দেখা যায়, আমার মাথাটাই গরম হয়ে যায় ওকে দেখলে!"

ঈশ্বর কঠোরভাবে বলেন, "সেটা তোমার মাথার দোষ, ঈভের কাপড়ের দোষ না। নিজের মাথা ঠিক করো।"

আদম গোঁয়ারের মতো বলে, "আপনি ঈভকে বলুন না একটু ঢেকেঢুকে চলতে, আমি গরম হয়ে যাই তো!"

ঈশ্বর বলেন, "কী আশ্চর্য আদম! তোমার নষ্ট মাথার জন্য দেখি দুনিয়াটাই দুইদিন পর ঢেকে ফেলতে হবে! যাও যাও, বাজে বোকো না, জড়িবুটি খেয়ে একটু সুস্থ হও। আবার যদি তোমাকে উত্থিত হতে দেখি, একদম স্বর্গ থেকে কানে ধরে বার করে দেবো!"

আদম চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসে। আর মনে মনে কঠিন শপথ করে সে। ঈভকে কাবু করবেই সে একদিন, তার ওপর চড়বেই সে একদিন। আর যদি না পারে, তাহলে ... তাহলে ... ঐ পঁচা জলার অম্ল খানিকটা যোগাড় করে ঈভের শরীরটা পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে সে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন