স্কাইপে চ্যাট করার সময় স্রেফ ঠাট্টা করে স্ত্রীকে লিখেছিলেন, "তালাক, তালাক, তালাক"। ফল কী হলো? স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেল।
ভাবছেন, কৌতুক? একদমই নয়। কোন ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্যে ঘটেছে এমন হাহাপগে ঘটনা, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। এখন মোল্লারা ফতোয়া দিয়েছে, এই যুগলের পুনর্বিবাহের ব্যবস্থা আছে। এবং তা করতে গেলে এখন মেয়েটিকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে ভিন্ন পুরুষের সঙ্গে। বিয়েটি হতে হবে পূর্ণাঙ্গ ও নিখুঁত, তারপর সেই পুরুষের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটিয়ে তবেই না পুরনো স্বামীকে আবার বিয়ে করা যাবে!
বুঝুন ঠ্যালা। এদিকে "প্রাক্তন" স্বামী-স্ত্রী বলছে, তারা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসে। তাতে ইসলামের বয়েই গেল! এখন তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে কমপক্ষে ছয় মাস, মেয়েটিকে মেনে নিতে অন্য পুরুষের যৌনসংসর্গ এবং "প্রাক্তন" স্বামীকে সব সহ্য করে যেতে হবে চোখ-মুখ-কান বন্ধ করে।
ইসলামে নাকি নারীকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় না! যত্তোসব ফালতু বাত! লক্ষ্য করে দেখুন, পুনর্বিবাহের পথে সমস্ত প্রতিবন্ধক অতিক্রম করার ভার অর্পণ করা হয়েছে কিন্তু নারীর ওপরেই। পুরুষদের প্রতি আল্লাহর পক্ষপাতিত্ব থাকলে এ সব দায়িত্ব তো তিনি পুরুষকেই দিতেন, নাকি! এর পরেও কিছু গবেট ইসলামে নারীর অবস্থান শোচনীয় বলে মড়াকান্না জুড়ে দেবে!
আল্লাহর কী অপূর্ব বিধান! ইসলামের কী অপার ন্যায়পরায়ণতা! নাস্তিক গাধাগুলো তো এসব নজরেই আনবে না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন