লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান
প্রিয় পাঠকগণ, মহান আল্যাপাকের অশেষ রহমতে আশা করি ভাল আছেন। অনেকদিন পর আবার কোরানের মাহফিলে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার মধ্যেও কোরানের বিভিন্ন হাস্যকর আয়াত আমাদের মুখে কিঞ্চিত হাসির উদ্রেক করে।
আমি প্রায়ই অবাক হয়ে ভাবি, মোহাম্মদের আমলে যারা আরবে ছিল, তারা কি এতটাই নির্বোধ ছিলো যে, মোহাম্মদের এই সমস্ত ছলচাতুরী তারা বুঝত না? মোহাম্মদ আয়াতের নামে যা বলতো, সব তারা বিনা বাক্যব্যয়ে কেন স্বীকার করে নিত? আসলে তাদের দোষ দিয়েই বা লাভ কী? এখন এই ইন্টারনেটের যুগে এসেও কি মুমিন মুসলমানেরা সেই আরবীয় অশিক্ষিত, নির্বোধ ও বর্বরদেরকে অতিক্রম করতে পেরেছে? সেই বস্তাপচা আয়াত আর হাদিসের কবল থেকে এখনও কি মানুষ নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছে?
আজকের আয়াতগুলোর একটিতে আল্যা এই বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টি সম্পর্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, আরেকটিতে আল্যা অসাধারণ সাহিত্য প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন।
চলুন তবে, শুরু করা যাক।
সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত ৫৪: এখানে আল্যা বলেছেন, তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলবে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। গাণিতিকভাবে যদি ব্যাখ্যা করি, অসীম যার ক্ষমতা, তিনি কোন কাজ করতে গেলে কোন সময়ক্ষেপন হবার কথা নয়। অর্থাৎ zero time delay তে তাঁর যে কোনো কাজ করতে পারার কথা। যেমন: xযদি কোন পূর্ণসংখ্যা (integer) হয়, তাহলে
ধরি,
x একক ক্ষমতার ১ জনের ১টি কাজ করতে সময় লাগে = y দিন
১ ,, ,, ১ ,, ঐ ,, ,, ,, ,, = y* x দিন (ক্ষমতা কমলে কাজ করতে বেশী সময় লাগবে)
∞ ,, ,, ১ ,, ,, ,, ,, ,, ,, = y*x/ ∞
= ০ দিন (কারণ যে কোনো সসীম সংখ্যাকেই অসীম দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল শূন্য হয়)
x ও y এর মান যাই হোক না কেন ভাগফল শূন্যই হবে।
কিন্তু ছয়দিন সময় লাগার মানে তাঁর ক্ষমতা অনেক বিশাল হতে পারে, তবে তা অসীম নয়, সসীম।
আরেকটি ব্যাপার, দিন হলো সূর্যের আলোর উপস্থিতি, আর রাত হলো সূর্যের আলোর অনুপস্থিতি। এটা ছাড়া দিন রাতের মধ্যে বিশেষ কোনো পার্থক্য নেই। আহ্নিক গতির কারণেই দিন ও রাত হয়। আল্যা ( অর্থাৎ কোরান রচনাকারী মোহাম্মদ) তখনও জানতেন না আহ্নিক গতি কী। তাই তিনি "দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে" টাইপের আবালীয় কথাবার্তা বলেছেন। তিনি যদি সর্বজ্ঞ হতেন, তাহলে অবশ্যই বলতেন পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ক্রমাগত ঘুরছে বলেই পৃথিবীতে দিন আর রাত পর্যায়ক্রমে সংঘটিত হয়।
সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত ১৪৮: এ আয়াতটি উল্লখ করার একটাই কারণ - আল্যার সাহিত্যপ্রতিভা আপনাদের সামনে তুলে ধরা। একটি বাছুর "হাম্বা হাম্বা" ডাকছে!!!!!!!! কী চমৎকার কথা! সমগ্র মানবজাতির জন্য পাঠানো, সর্বকালের সেরা জীবনবিধানে এই ধরনের একটি লাইনের কার্যকারিতা কী? আর কোরান ঘাঁটলেই পাওয়া যাবে মূসার সম্প্রদায় এটা করেছে, আদ সম্প্রদায় ঐটা করেছে, সামুদ সম্প্রদায় সেটা করেছে। বলা বাহুল্য, কোরানে উল্লেখ করা সব সম্প্রদায় আরব ও পার্শ্ববর্তী এলাকার। এর বাইরেও যে দুনিয়া আছে, এর বাইরেও যে সভ্যতা আছে, সম্প্রদায় আছে, সেগুলোর বিষয়ে আল্যা কোন তথ্য দেননি। কোথাও বলেননি, "ওয়াং চুং" (একটি কাল্পনিক চৈনিক নাম) বা এ জাতীয় নামধারী কোন সম্প্রদায় এটা করেছে, কিংবা রেড ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় ঐটা করেছে। এখান থেকেই স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, আল্যার ভূগোল জ্ঞান কতটা সীমাবদ্ধ ছিল।
সূরা আল-আ'রাফ, আয়াত ১৭৯: এখানে আল্যা বলেছেন, তিনি দোযখের জন্য বহু জ্বীন আর মানুষ তৈরি করেছেন। তিনি যদি আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন যে, এই মানুষগুলি দোযখে যাবে, আর এই মানুষগুলি স্বর্গে যাবে, তাহলে আর পাপ-পূণ্যের এত হিসাব-নিকাশ কেন? দুই ফেরেশতা দুই কাঁধে বসে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্ভুল হিসাব লেখার প্রয়োজনীয়তাটাই বা কী? এখানে কি আল্যা নিজেই পক্ষপাতিত্বের দোষে দুষ্ট নন?
আজ এটুকুই থাক। আল্যার গণিত আর ভুগোল জ্ঞানের বহর দেখুন আর তারস্বরে চিৎকার করে বলুন "সুভানাল্লাহ"!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন