আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১০

সৃষ্টিতত্ত্বে দৃষ্টিদান

লিখেছেন Light Man

মরুর ধর্মগুলোর মধ্যে প্রাচীন ও বিশ্ব পরিচিতি প্রাপ্ত ইহুদি ধর্ম। তাদের ধর্মগ্রন্থের নাম তোরাহ্ (THORA)। তোরাহর প্রথম দিকে কোনো লিখিত রূপ ছিল না। গল্পগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুখে মুখেই চর্চা হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এক কান থেকে আর এক কান, এক মুখ থেকে আর এক মুখে কয়েকশ বছর ধরে প্রজন্ম ধারায় চলে আসায় সময় গল্পগুলোর পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংস্করণ ঘটা খুবই স্বাভাবিক।

তোরাহর বেশির ভাগ গল্পই মূলত মিশরীয় এবং সুমেরীয় অঞ্চল থেকে ধার করা । তোরাহ্ ছিল পাঁচ খণ্ডে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের নাম জেনেসিস।এই জেনেসিস আবার জেনেসিস-১ ও জেনেসিস-২ এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে পরবর্তীতে ।

জেনেসিস আবার অর্ন্তভুক্ত হল:
১. Old testament-এ
২. New testament-এ

New testament লিখিত হয়েছে Old testament-এর প্রায় ৩০০০ বছর পরে।

জেনেসিসে আবার সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কিত দু'টি গল্প প্রচলিত আছে।

জেনেসিসে-১:১-২:৩ মতে ঈশ্বর:
১ম দিনে আলোকে আঁধার থেকে পৃথক করলেন।
২য় দিনে আকাশ ও সাগর পৃথক করলেন।
৩য় দিনে ভূমিকে সাগর থেকে পৃথক করে সমস্ত ভূমি জুড়ে গাছ-পালা ও ঘাস সৃষ্টি করলেন।
৪র্থ দিনে সূ্র্য, চন্দ্র ও তারকারাজি সৃষ্টি করলেন।
৫ম দিনে মাছ ও পাখি সৃষ্টি করলেন।
৬ষ্ঠ দিনে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী সৃষ্টি করলেন।
৭ম দিনে ঈশ্বর বিশ্রাম নিলেন।

জেনেসিসের ২য় সৃষ্টি তত্বের গল্পানুসারে (জেনেসিস ২:৪ -২:২৫ মতে):
ঈশ্বর প্রথমে স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। পৃথিবী প্রথম দিকে খুবই শুষ্ক ছিল। অতঃপর বৃষ্টিবর্ষণ করে পৃথিবীতে গাছপালা জন্মানোর উপযোগী করে তুললেন। এর পরে সৃষ্টি করলেন আদমকে। আদমের বাসস্থানের জন্য স্বর্গীয় উদ্যান ইডেন তৈরী করে খাবার উপযোগী ফলমূলের গাছ লাগালেন। পৃথিবীকেও ভরে তুললেন বিভিন্ন রকমের গাছপালা ও পশু-পাখীদের দিয়ে। সবশেষে সৃষ্টি করলেন ঈভকে।

জেনেসিসের সৃষ্টি তত্বের গল্প দু'টি থেকে যে সংঘাত আমাদের চোখে পড়ে, তা হল:
(১) জেনেসিস ১:৩ আয়াত মতে, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে; জেনেসিস ২:৪ মতে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এক দিনে।
(২) জেনেসিসের ১ম সৃষ্টির গল্পানুসারে ঈশ্বর প্রথমে গাছপালা পরে আদম ও ঈভ সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু ২য় গল্পানুসারে প্রথমে আদমকে পরে গাছপালা এবং সব শেষে ঈভকে সৃষ্টি করেছেন।
(৩) জেনেসিসের ১ম সৃষ্টির গল্প থেকে আমরা পাই, ঈশ্বর আদম ও ঈভ-এর পূর্বে পশু পাখি সৃষ্টি করেছেন; ২য় গল্প থেকে আমরা পাই, ঈশ্বর প্রথমে আদম তারপর পশুপাখিদের অবশেষে ঈভকে সৃষ্টি করেছেন।
(৪) ১ম গল্পে ঈশ্বর ৫ম দিনে মাছ সৃষ্টি করেছেন; ২য় গল্পে মাছ সৃষ্টির কোনো কথাই বলা হয়নি।

ইহুদি ধর্মমতে, আদম জীবিত ছিলেন ৯৩০ বছর। পূর্ণ যৌবন নিয়ে সৃষ্টি হওয়ার সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েও এত দীর্ঘ জীবনে তিনি জন্ম দিয়েছেন মাত্র ৫৬ জন ছেলে-মেয়ে। বিষয়টা কি সন্দেহজনক নয়? হয়তো বা বিশাল এই ভূ-স্বর্গের মালিক আদম ছোট ও সুখী দাম্পত্য পরিবার গড়ার বিশ্বাসী হওয়াতে এত সুদীর্ঘ জীবনেও বেশী সন্তান নিতে চাননি। তবে সমস্যা দেখা দেয় ছেলে মেয়েদের জৈবিক চাহিদা নিয়ে। অনন্যোপায় হয়ে তারা পশুদের মত নিজেদের মধ্যেই জৈবিক চাহিদার কাজটি আপোসে করে নিয়েছিল নিঃসন্দেহে। তা না হলে তো মানব জাতির বংশ বিস্তারই হতো না। ঈশ্বর যে তাদের সেক্স সংযমের ঈমানী পরীক্ষা নিয়েছিলেন, আদমের হতচ্ছাড়া সন্তানেরা তা বুঝতে পারেনি মোটেই। সবজান্তা ঈশ্বর নরকের চুলার আগুন কি সাধে জ্বালিয়েছিলেন!

জেনেসিস মতে এই বিশ্ব ব্রম্মান্ড, পৃথিবী ও প্রাণের বয়স হয়েছে মাত্র ১০,০০০ বছর! কিন্তু বিজ্ঞানের মারফতে আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ব ব্রম্মান্ডের সৃষ্টি ১০ বিলিয়ন বছরের ও বেশী। পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪/৫ বিলিয়ন বছর আর প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে।

বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা আরো জানতে পারি, সৃষ্টির প্রথম অবস্থায় পৃথিবী অত্যন্ত উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল। এই উত্তপ্ত অবস্থা হতে শীতল হয়ে প্রাণের বাসযোগ্য হতে সময় লেগেছে কয়েক বিলিয়ন বছর যা তোরা, বাইবেল ও কোরানসহ কোনো ধর্মীয় বইয়ে উল্লেখ নেই, কারণ এই তথ্যটি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন পবিত্র বইগুলো লেখার আরো অনেক পরে। ধর্মীয় বইগুলোর মতে, ঈশ্বর ১দিনেই সাগর, মহাসাগর, গাছপালা ও অন্যান্য প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। বাইবেলে আরো উল্লেখ আছে, পৃথিবী স্থির।

The earth is fixed at (or near) the center of the universe. The sun and other planets travel
around it. That is what the Bible plainly says [Ps. 93:1, Ps. 19:1-6, Joshua 10:12-14] and what the evidence indicates.

Psalm 93:1
"(...) the world also is stablished, that it cannot be moved."
(এই বিশ্বও স্থির, এটা ঘুরতে পারবে না)

Psalm 104:5
"Who laid the foundations of the earth, that it should not be removed for ever."
(এই পৃথিবীকে যে রূপে স্থাপন করা হয়েছে, তাতে পৃথিবী ঘোরা কখনো সম্ভব নয়)

1 Chronicles 16:30
"(...) the world also shall be stable, that it be not moved."
(পৃথিবী অবশ্যই স্থির, এর পক্ষে ঘোরা সম্ভব নয়)

পৃথিবী সম্পর্কে তোরাহ্, বাইবেলের এই ভুল ব্যখ্যা দেখে কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের খুশিতে গদগদ হওয়ার কোন কারণ নেই। এই ভুল-ভ্রান্তিতে ভরা তোরাহ্ ও বাইবেল ঈশ্বরের প্রেরিত গ্রন্থ বলে কোরানও ওকালতি করে গেছে। মোসেসকে মুসা ও যিশুকে ঈসা নামে ডেকে এই দু'জনকে ইসলামের নবী বলে কোরানে উল্লেখ করে কোরানের সৌন্দর্য বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন