শত্রুদের মুখে ছাই দিয়া জোকার নায়েক যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন কেন মুসলিমদের অন্য দেশে মসজিদ বানানো ও অবাধে ধর্মপ্রচারের অধিকার দেয়া উচিত, আর কেন সৌদি আরব সহ কিছু ইচলামিক দেশে অন্য ধর্মের প্রচার ও প্রসার সহ্য করা হয় না। এ ব্যাপারটা ২+২=৪ মেলানোর মতই সোজা। কিন্তু আফসোস আল্লাহ তায়ালা নাচতিকদের দিলে সিল মেরে দিয়েছেন বলে এত সহজ ব্যাপারটা তারা বুঝতে পারছে না আর এটা নিয়া অযথা হাউকাউ করছে।
এ বিষয়ে জানতে হলে নিচের ভিডিওটি দেখুন।
এ বিষয়ে জানতে হলে নিচের ভিডিওটি দেখুন।
আর যারা দেখার সময় পাবেন না, তাদের জন্য জোকারের মহান বাণীর তরজমা ও তফসীর করে দিয়ে দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিলের তৌফিক আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন:
‘উপস্থাপক: ভারতের এক অমুসলিম প্রশ্ন করেছেন ইসলামি দেশগুলোতে কি আমাদের ধর্ম পালন করার ও আমাদের উপাসনালয় তৈরির অনুমতি আছে? যদি থাকে তাহলে সৌদি আরব ও কিছু ইসলামি দেশে কেন চার্চ বানানোর অনুমতি নেই যেখানে আপনারা মুসলমানেরা লন্ডন প্যারিসে মসজিদ বানাচ্ছেন?
জোকার: কিছু ইসলামিক দেশে যেমন সৌদি আরব ও অন্যান্য কিছু দেশে অন্য ধর্মের প্রচার এবং এমনকি অন্য ধর্মের উপাসনালয় তৈরি করা নিষিদ্ধ। আর এক্ষেত্রে অনেক অমুসলিম বলে থাকেন আমরা যেমন আপনাদেরকে আমাদের দেশে মসজিদ বানাতে দেই, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে আপনারা ধর্মের প্রচার করেন, মসজিদ বানান, আপনারা কেন তেমন সুযোগ দেন না?
উত্তরে আমি ঐ অমুসলিমকে বলব, আপনি যদি কোন স্কুলের প্রিন্সিপাল হন আর স্কুলের জন্য অঙ্ক টিচার রাখতে চান এবং আপনার কাছে যদি তিনজন শিক্ষক আসে, আপনি এখন যদি তাদেরকে প্রশ্ন করেন ২+২ কত? এক শিক্ষক বলল ২+২=৩, দ্বিতীয়জন বলল ২+২=৪ আর ৩য় জন বলল ২+২=৬। এখন আমি সেই অমুসলিমকে বলব, এই তিনজনের মধ্যে আপনি কি যে উত্তর দিল ২+২=৩ বা যে বলল ২+২=৬ তাকে রাখবেন? সে বলবে, না? আমি বলব, কেন? সে বলবে, কারণ এই দু’জনের অঙ্কের সঠিক জ্ঞান নেই! ঠিক তেমনি যখন দ্বীনের প্রশ্ন আসে, আলহামদুলিল্লা সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, আমরা জানি ‘ইন্নাদ্দিনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম (আল্লাহর ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম) সূরা আলে ইমরানের ৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ ইসলাম ছাড়া আর কোনো দ্বীনকে কবুল করবেন না। (“আল্লাহ কইচে কুরান আর ইসলাম সঠিক, কুরান কইচে আল্লাহ সঠিক” এই দুষ্টচক্রের একপাশ।) যেহেতু আমরা জানি, ইসলামই সত্য দ্বীন তাই অন্য কোনো ধর্মের প্রচার আমরা অনুমোদন করি না (বুইঝা ফালাইছি, জোকার। নাও, তালগাছ তোমার!!)।
আর যেখানে চার্চ বানানোর প্রশ্ন আসে, তখন আমি বলব আমরা এটা কীভাবে অনুমোদন করব যেখানে তাদের দ্বীনই ভুল? তাদের উপাসনাই ভুল? এজন্যই আমরা ভুল জিনিস আমাদের দেশে অনুমোদন দেই না (বুইজ্জেন্নি?), কিন্তু এ ব্যাপারটা সৌদি আর আরো কিছু ইসলামিক দেশে, সব মুসলিম দেশে নয়।
উপস্থাপক: কিন্তু তারা তো মনে করে তাদের দ্বীন সত্য, আর আমরা মনে করি আমাদের দ্বীন সত্য। এক্ষেত্রে একটা বিষয় বোঝা উচিত…
জোকার: (কথা কেড়ে নিয়ে) দেখেন তারা তো ২+২=৩ যে বলবে, তাকে স্কুলে নেবে না, কারণ তারা কনফার্ম যে ২+২=৪ তেমনি ধর্মের ব্যাপারেও আমরাই কনফার্ম, তারা কনফার্ম না (!!!)। তারা যদি কনফার্ম হত যে তাদের ধর্মই সত্য তাহলে কি আমাদেরকে তাদের দেশে ধর্ম প্রচার করতে দিত?
(এল্লেইগাই মনে হয় কয়, ভাল মাইনষের ভাত নাই) আমরা জানি, তাদের ধর্ম ভুল তাহলে তাদেরকে ভুল জিনিস প্রচার করতে কেন দিব, যেখানে আমরা ১০০% শিউর ইসলাম সত্য ধর্ম?
উপস্থাপক: এটা কি মানবাধিকারের বিপক্ষে যাবে না?
জোকার: একদমই না। যদি সে নিজ ধর্ম পালন করতে চায়, ঘরে বসে করুক। কিন্তু প্রচার করতে পারবে না। () যেমন ঐ শিক্ষক নিজে মনে মনে ২+২=৩ ভাবতে পারে কিন্তু বাচ্চাদেরকে তা পড়াতে তো আমরা দিব না, ঠিক তেমনি তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পারদর্শী (যেইগুলা তারা হারাদিন লুক্কায় লুক্কায় কুরান পইড়া আবিষ্কার করচে) এসব বিষয়ে আমরা তাদেরকে আমাদের দেশে ডাকব, তাদের কাছ থেকে শিখবই তেমনি ধর্ম বিষয়ে আমরাই বিশেষজ্ঞ (নাকি বিশেষঅজ্ঞ) তারা এখনো সত্য ধর্মকে জানে না। তাই আমরা তাদেরকে সত্যপথে (!!) আনার চেষ্টা করছি। এজন্যই আমরা ইসলামের প্রচার করি অমুসলিমদের কাছে। (আহা! এই জনদরদী তালগাছবাদীরা না থাকলে পৃথিবীটা বিনুদুনশুন্য হয়ে যেত।)’
জানি, এত জোরালো যুক্তির পরেও নাচতিকের গুষ্টিরা জোকার দাদাকে নিয়ে কুৎসা রটাবে, তাকে ছাগু বলবে, তালগাছ সাধবে। কারণ আল্লাহ তো তাদের অন্তরে মোহর মারিয়া দিয়াছেন। তাই তারা বুঝে না তালগাছ আমাদের বৈশ্বিক সম্পদ যার নিচে মুচলিম উম্মাহ হাতে হাত ধরে কাফেরনিধনে আর সারা বিশ্বে শান্তিপূর্ণ এচলামের ঝান্ডা উড়ানোর প্লান করবে আর তরবারিতে শান দিবে।
তালগাছবাদী যুক্তিগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম যুক্তির উপস্থাপক হিসেবে জোকার নায়েককে তালবাগান পুরুষ্কার দেওয়া হউক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন