আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

কোরানের বাণী > কেন এতো ফানি – ১৪

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

প্রিয় ইসলামপ্রেমী ভাই-বোনেরা, আশা করি, মহান আল্যার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ছহি-ছালামতে আছেন। কোরানের অমূল্য বাণীগুচ্ছ যাহা ৬০০ ডানাবিশিষ্ট জিব্রাইল বেহেস্ত হইতে সরাসরি আনিয়া মহা-ম্যাডের কাছে পৌঁছাইতেন, যাহার ব্যাপারে কোনোই সন্দেহের অবকাশ নাই, যাহা আল্যা মোমিন মোচলমানদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন, তাহারই মধ্য হইতে অল্প কিছু বাণী আমি প্রতিবার আপনাদের জন্য উপস্থাপন করি। শান্তির ধর্ম ইসলামের জন্য প্রেরিত এই গ্রন্থে আল্যা মাঝে মাঝে চরম হিংসাত্মক কথাবার্তা বলিলেও মোমিন মোচলমানদের হৃদয়ে তাহা কোনভাবেই প্রশ্নের উদ্রেক করে না, কারণ মোমিন মোচলমান মাত্রই বিশ্বাস করে যে, আল্যা যাহা করেন--মঙ্গলের জন্যই করেন। এই মঙ্গল কি আসলে গুটিকতক মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য, নাকি শুধুমাত্র মোচলমান সম্প্রদায়ের জন্য, নাকি বিশ্বমানবতার জন্য, তাহা মোটেই বিবেচ্য নয়। যাহা হউক, আসুন, আমরা প্রশ্নবিহীন অন্তর নিয়ে আমাদের কোরান পাঠ আসরে মনোনিবেশ করি।  

আজকের আলোচ্য আয়াতগুলো পাঠ করিলে, আল্যা যে আসলেই দয়ার সাগর - এ বিষয়ে আপনাদের ধারণা আরও সুদৃঢ় হইবে। গণিমতের মালের প্রকৃত মালিক সম্বন্ধেও আপনাদের পরিষ্কার ধারণা জন্মাইবে এবং ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবচ করিবার সময় কেমন আচরণ করিয়া থাকে, তাহাও জানিতে পারিবেন।


সূরা আল-আরাফ, আয়াত ২০৪ : এইখানে আল্যা বলিয়াছেন, কোরান পাঠের সময় রহমত বর্ষণের আশায় নিশ্চুপ থাকিতে। আল্যার বাণী নিয়া কোনো প্রশ্ন মনে জাগিলে কিংবা কোনো সন্দেহের উদ্রেক হইলেও যেন মোমিন মোচলমানরা টুঁ-শব্দটি না করে। যেন প্রশ্ন করিলেই রহমতের ধারাবর্ষণ বন্ধ হইয়া যাইবে। অতএব কোরান পাঠের সময় চুপচাপ বসিয়া থাকুন এবং রহমতের অবিরল ধারায় সিক্ত হইতে থাকুন, কোনো প্রশ্ন মনে উদয় হইলেও তাহার কণ্ঠরোধ করিয়া দিন।

সূরা আল-আনফাল, আয়াত ০১ : এইখানে আল্যা গণিমতের মালের প্রকৃত মালিক হিসেবে তাঁহার নিজের ও রসূলের নাম উল্লেখ করিয়াছেন। আল্যা নিজেই তো সমস্ত মহাবিশ্বের মালিক। তাহার পরও তিনি গণিমতের মালের মালিকানা আলাদা করিয়া দাবি করিলেন! সাথে মহা-ম্যাডের কথাও বলিলেন। এ আয়াত পাঠ করিলেই আমরা বুঝিতে পারি রসূলুল্যা আল্যার কতটা "পেয়ারের আদমী" ছিলেন। গণিমতের মালের মালিক হিসেবে আল্যার নামের উল্লেখ থাকিলেও তিনি এই ধরণীতে আসিয়া ঐ লুটের মালের অংশও নিবেন না, যৌনদাসীদের সম্ভোগও করিবেন না। তাই মালিক দুইজন হইলেও ভোক্তা একজনই। সুতরাং গণিমতের মাল হিসেবে লুটিয়া আনা সম্পদ কিংবা ধরিয়া আনা মেয়েদের প্রকৃত মালিক মহা-ম্যাড। তিনি তাহা হইতে তাঁহার পছন্দমত বস্তুসামগ্রী ও যৌনদাসী রাখিয়া, অবশিষ্ট অংশ তাঁহার বীর অনুসারীদের মধ্যে অকাতরে বিলাইয়া দিয়া দানশীলতার এক অসামান্য উদাহরণের অবতারণা করিয়াছেন। চুভানাল্যা। 

সুরা আল-আনফাল, আয়াত ১২ ও ১৩: এই আয়াত পাঠে আমরা জানিতে পারিলাম, আল্যা ফেরেশতাদিগকে নির্দেশ দিয়াছেন, যেন ফেরেশতারা মোমিন মোচলমানদের চিত্তকে ধীরস্থির করিয়া রাখে যাহাতে, কাফেরদের গর্দানে আঘাত হানিতে গিয়া এবং কাফেরদেরকে জোড়ায় জোড়ায় কাটিতে গিয়া মোমিন মোচলমানদের চিত্ত বিচলিত কিংবা বিগলিত হইয়া না যায়। মারহাবা, মারহাবা! আল্যা যে দয়ার অন্তহীন মহাসাগর, ইহাতে আর সন্দেহ কি?

সূরা আল-আনফাল, আয়াত ৫০ : এই আয়াতকে আল্যা এতটাই সহজ করিয়া উপস্থাপন করিয়াছেন যে, আমার ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টাকেই বাহুল্য বোধ হইবে। তাহার পরও একটি কথা উল্লেখ না করিলেই নয়। তাহা হইল, আল্যা ফেরেশতা আর মানুষকে বানাইয়াছিলেন তাঁহার এবাদতের জন্য। ফেরেশতারা দিবারাত্র আল্যার এবাদতে মগ্ন থাকে বলিয়া বিনোদনের কোন সুযোগ পায় না। তাই ক্রীড়ামোদী ফেরেশতারা যাহাতে কাফেরদের জান কবচ করিবার সময় বক্সিং ও ফুটবলের চর্চার মাধ্যমে বিনোদনের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থার কথাই আল্যা উক্ত আয়াতে উল্লেখ করিয়াছেন। 

সূরা আত-তাওবা, আয়াত ০৫ : এই আয়াতে আবারও আল্যার দয়ার বিশালতা এবং মহত্বের গভীরতা প্রকাশিত হইয়াছে। আল্যা এই আয়াতের মাধ্যমে কাফেরদের প্রতি মোমিন মোচলমানদের আচরণ কেমন হবে সে বিষয়েই আলোকপাত করিয়াছেন।

এতক্ষণ ধৈর্য ধরিয়া রহমতের ধারায় সিক্ত হইবার জন্য আপনাদিগকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন