মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

ইসলামী ইতরামি: পুরো এক ডজন


১.
মুসলিম সমাজে পর্নো-আসক্তির প্রাবল্য অত্যধিক, এ তথ্য সর্বজনবিদিত ("সবচেয়ে যৌনবঞ্চিত, এবং সে-কারণেই সবচেয়ে যৌনক্ষুধার্ত, জাতির নাম - মুসলমান" নামের পোস্ট দ্রষ্টব্য)। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের ইমাম এবং পর্নোমুক্তি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতারা মনে করেন, পর্নো-আসক্তির মতো বিশাল সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মুসলমানেরা অনীহ। তাই? শুধু এটাই বিশাল সমস্যা? শরিয়া, শিশুবিবাহ, জিহাদ - এসব কোনও সমস্যা নয়? এসব নিয়ে গঠনমূলক আলোচনায় মুলমানেরা উৎসাহী?

২. 
সুইডেনে আত্মঘাতী হামলা ব্যর্থ হবার পর আল-কায়েদা এবার হুমকি দিচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত দুই সুইডিশ প্রতিষ্ঠান IKEA ও VOLVO-র ওপরে হামলা চালানোর। এক জঙ্গি তো ঘোষণাই দিয়ে বসলো: the battle of Stockholm isn't but the start of a new era in our Jihad; through which Europe will become the field for our battles. তা দিতেই পারে! স্থানীয় গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইডেনে এখন কমপক্ষে দু'শো ইসলামী জঙ্গি রয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চয়ই আরও বেশি। কারণ হামলাকারী মৃত জঙ্গি ছিলো না সেই দু'শোজনের তালিকায়

৩. 
ইরানের মসজিদে হামলা করে ৩৯ জনকে হত্যা করা দুই আত্মঘাতী জঙ্গির হাস্যমুখ ছবি দেখুন। ছবিগুলো তোলা হামলার প্রস্তুতি নেয়ার সময়। আর কিছুক্ষণ পরেই তাদের প্রত্যেকের এখতিয়ারে চলে আসবে বাহাত্তরটি করে কুমারী হুর! মুখে হাসি তো ফুটবেই! আর তারা তো জানেই: নিশ্চয়ই আল্লাহ ভঙ্গ করে না অঙ্গিকার। 
৪.  
আরব দেশের  আরও আজব আইন। জনসমক্ষে মেয়েদের শরীর তো আমুণ্ডনখাগ্র পোশাকাবৃত থাকেই, তবে চোখ আনাবৃত রাখা জায়েজ ছিলো। তবে এখন ঘোষণা দেয়া হয়েছে, মেয়েদের চোখ প্রলুব্ধকর হলে তা ঢেকে রাখতে হবে! 

৫. 
পাকিস্তানে বাল্মিকী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রেম কিষণের বালিকা কন্যা সুমনের মৃত্যুর পর সেই সম্প্রদায়ের প্রথা অনুযায়ী তাকে কবর দেওয়া হয়। সম্প্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থান না থাকায় তারা খ্রিষ্টান কবরস্থানে তাকে কবর দিতে নিয়ে যায়। খ্রিষ্টান ও মুসলমানের কবরখানা পাশাপাশি। তাই ভুল করে সুমনকে কবর দেওয়া হয় মুসলমান এলাকায়। পরে সুমনের কবরে স্মৃতিফলক লাগানো হলে মুসলমানদের নজরে পড়ে এবং স্থানীয় মুসলমানরা কবরখানা অপবিত্র হয়েছে দাবী করে সুমনের মৃতদেহকে তুলে খ্রিষ্টান এলাকায় কবর দিতে বাধ্য করে। কোনো নেক মুসলমান এজন্য লজ্জিত হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
(লিংকসহ লিখে পাঠিয়েছেন মিয়াসাহেব)

৬.
একেবারে ওপরের ঘটনার মতোই আরেকটি ঘটনা। তুরষ্কে। 

৭. 
কোনও মুসলমানের ভিজিটিং কার্ড অবহেলা করে ফেলে দেয়ার আগে দেখে নেবেন, কার্ডে উল্লেখিত নামে "মুহম্মদ" লেখা আছে কি না। নইলে নবীজির নামকে অপমান করার দায়ে আপনার শাস্তি হয়ে যেতে পারে! ঘটনা পাকিস্তানে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মুহম্মদ নামধারী সব ব্যক্তিকে নবীজির প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে!

৮.
সুদানে শরিয়া আইনের আওতায় প্রতি বছর গড়ে চল্লিশ হাজার মেয়েকে সর্বমোট ছয় লক্ষবার বেত্রাঘাত করা হয়ে থাকে শাস্তি হিসেবে। অভিযোগ - মূলত "নৈতিক স্খলন" (যেমন প্যান্ট পরার অভিযোগে এক মেয়েকে পেটানো হয়েছিল) ।

৯. 
নবীজি যা করে গেছেন, সাচ্চা মুসলমান তা বাতিল বা নিষিদ্ধ করতে পারে না। যেমন, মালয়েশীয় মন্ত্রী শিশুবিবাহ নিষিদ্ধ করার আহ্বান পরিহার্য বলে গণ্য করেন। 

১০. 
ইসলামী ইতরামি অব্যাহত জেলখানাতেও। নামাজ পড়ার পরে আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলে বিধর্র্মীদের মৃত্যু কামনার জিকির করতে করতে কারাগার অফিসারকে পিটিয়েছে ইসলামের চার বীর যোদ্ধা।

১১.
শিক্ষাবিরোধ ধর্মের জন্য অপরিহার্য। ইসলামের শাসন কায়েম করতে চাইলে একমাত্র মাদ্রাসাশিক্ষা ছাড়া যাবতীয় শিক্ষা বর্জনীয়। আর তাই ইসলামীরা বেলুচিস্তানে শিক্ষকহত্যা প্রকট হয়ে উঠেছে।

১২.
মুসলিমদের হ্যাম-ও-ফোবিয়া আছে, তা তো সবারই জানা। তাই বলে এই পর্যায়ের? স্পেনের এক শিক্ষক ক্লাসে পড়ানোর সময় শুয়োরের মাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে নয় একেবারেই। তাতে কী! সেই ক্লাসের এক মুসলিম ছাত্রের পিতামাতা মামলা ঠুকে দিয়েছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে (গুগলের অনুবাদ)। এরা কি উন্মাদ? নাকি অন্যকিছু? হ্যামখোরদের দেশে পড়ে না থেকে হ্যামহীন হালাল দেশে চলে যায় না কেন তারা?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন