আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১১

ইসলামী ইতরামি: আজও এক ডজন


পরম শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে ঘটানো শান্তিপূর্ণ কিছু ঘটনা পেশ করা যাক। পাকিস্তান, ইরাক ও আফগানিস্তানে ঘটে যাওয়া "মেজর" ইতরামির যে খবরগুলো মূলধারার মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়, তার বাইরের কিছু "মাইনর" তবে গুরুত্ব- ও তাৎপর্যপূর্ণ কিছু খবর: 

১.
ইসলামী শাসনের আপোসহীন সমর্থক সুদানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শরিয়া আইন মানেই বেত্রাঘাত, অঙ্গকর্তন অথবা হত্যা। সত্য কথাটি এতো সরলভাবে বলার জন্য তাকে উত্তম জাঝা।

২.
ওপরের কথার সত্যতা যাচাই করে নিন। চুরির দায়ে অভিযুক্ত এক পুরুষের হাত কেটে নিয়েছে তালিবানেরা। (যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। - সুরা আল মায়েদাহ, আয়াত ৩৮)

৩.
বাংলাদেশের পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হলেও আমার চোখে পড়েনি। এক মাদ্রাসাপ্রধান পনেরোজন ছাত্রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে দাড়ি কামিয়ে ফেলার অপরাধে। মাদ্রাসার আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের অন্তত পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা দাড়ি থাকার কথা।

৪.
আত্মীয়তাবহির্ভূত পুরুষ ও নারীর ভেতরে করমর্দন, কথোপকথন ও তাদের একত্রে চলাফেরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সোমালিয়ার ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আল-শাহাব। নির্দেশ অমান্য করা হলে তাহাদের জন্য রহিয়াছে কারাবাস, বেত্রাঘাত অথবা মৃত্যুদণ্ড।

৫.
ধর্মকারীর এক পাঠক ধর্মান্তরিত হওয়াকে বলেছিলেন "বাঘের মুখ থেকে কুমিরের মুখে পড়া"। কথাটা সত্যি। তবে বাঘ অথবা কুমির বেছে নেয়ার অধিকার যে কারুর থাকার কথা। কিন্তু ব্যক্তি-অধিকার ব্যাপারটি যে ইসলামে নেই! ঘটনাক্রমে মুসলিম পরিবারে জন্মের কারণে মুসলমান সবাইকে মুসলমান হয়েই জীবন কাটাতে হবে! নইলে ইসলামের বিধান অনুযায়ী ইসলামত্যাগকারীদের হত্যা করার আইন আছে। এই যেমন, ইরান সরকার উঠে-পড়ে লেগেছে ইসলামত্যাগীদের বিরুদ্ধে। 

৬.
তথাকথিত ভালোবাসা দিবস নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই (ভালোবাসা রজনী হলে চিন্তা করে দেখতাম )। নেই কোনও মোহও। আমার বিবেচনায় তা একেবারেই ফাঁপা, ফালতু ও ব্যবসামুখর উৎসব। তবে অন্যেরা সোৎসাহে উদযাপন করলে আমার তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা আছে ইরান সরকারের। এই দিবসের প্রতীকবাহী যাবতীয় কার্ড, উপহার, টেডি বেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।

৭.
কানাডাবাসী কিছু মুসলমান জিহাদী প্রশিক্ষণ নিতে পাকিস্তানে অবস্থিত আল-কায়েদা ক্যাম্পে যায় বলে। এরাই খাঁটি মুসলিম। কোরানের কথা মেনে চলে।

৮.
মিশরীয় এক জিহাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার্চ আক্রমণ করা জায়েয। শান্তি কায়েমের লক্ষে কতোকিছুই তো করতে হয়!

৯.
সাময়িক বা খণ্ডকালীন বিয়ে (বলা উচিত, ইসলামী মোড়কে পতিতাবৃত্তি) বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট ইরানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাঁচ মাস আগে চালু হওয়া এই সাইটের সদস্য সংখ্যা এখন বাইশ হাজার। তাদের ভেতরে এক হাজার জন মেয়ে। 

১০.
অপকর্ম করে শয়তানের ওপরে দোষ চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা আছি বিশ্বাসীদের মধ্যে। সতেরোজন মেয়েকে ধর্ষণ করে এক সৌদি পুরুষ বলেছে, শয়তান তাকে কুপথে পরিচালিত করেছে। দুঃখের কথা, নাস্তিক-অপরাধীদের জন্যে এমন একটি আশ্রয় নেই, যার ওপরে তারা নিজেদের দোষ চাপাতে পারতো। আফসুস!

১১.
বিয়ের উৎসবে ডিজে সঙ্গীত পরিচালনা করবে? সেটা চলতে দিতে পারে না মোল্লারা।

১২.
সোমালিয়ার ইসলামী সংগঠন আল-শাহাবের মতে ফুটবল হারাম বলেই বোধ হয়। বিশ্বকাপের সময় ফুটবল দর্শকদের ওপরে হামলা চালানো এই সংগঠন স্থানীয় ফুটবলারদের হুমকি দিয়ে চলেছে নিয়মিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন