আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১১

কোরানের বাণী > কেন এতো ফানি – ১৫

লিখেছেন ব্লগার রাইয়ান

সুপ্রিয় পাঠকগণ, চিত্তবিনোদনের অনন্ত উৎস কোরানে অনেক আশ্চর্যজনক তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু তথ্য আপনাকে বিনোদন দেবে, কিছু তথ্য আপনার ভিতরকার কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ইত্যাদি রিপুকে উদ্দীপ্ত করবে, কিছু তথ্য আপনার জ্ঞানের পরিধিকে সংকুচিত করে দেবে, আপনাকে করে তুলবে জ্ঞানবিমুখ এবং অন্ধ অনুকরণকারী। আপনি হয়ে যাবেন একজন রক্তলোলুপ, ধর্মজীবী। আপনি শিক্ষিত হয়েও মূর্খ ঈমামের ওয়াজ ও ফতোয়া মুগ্ধ হয়ে শুনবেন। ফতোয়া আইন কার্যকর করার জন্য আন্দোলন করবেন। নারীকে বস্তাবন্দী করার জন্য রাজপথে মিছিল করবেন। ধর্মের নামে মানুষকে খুন করতেও আপনার হাত কাঁপবে না। এমনকি সে যদি আপনার পরিবারের সদস্যও হয়, তবুও ধর্মের বিরোধিতা বা ধর্মের প্রতি অন্ধ আনুগত্য না দেখানোর অপরাধে আপনি তাকে হত্যা করতে পারবেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের ফলে অনুশোচনার বদলে একজন কাফের হত্যার প্রশান্তি অনুভব করবেন। আপনার ভেতরকার বিকৃত যৌনাকাঙ্খা যেমন: শিশুকাম, ধর্ষণ ইত্যাদিকে বাস্তব রূপ দেয়ার জন্য একটি শক্তিশালী অবলম্বন পাবেন। বিজ্ঞানের কোনো আবিষ্কার ধর্মবিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তা অসত্য বলে প্রচারণাও চালাতে পারবেন (ডারউইনের আবিষ্কারকে এখনও অনেক ধর্মবিশ্বাসী ভ্রান্ত মনে করেন)। আপনার মধ্যে ধর্মানুভূতি নামক এক প্রকার মস্তিষ্কবিকৃতি দেখা দেবে, এবং একটি নির্মল কার্টুনও আপনার মধ্যে জিঘাংসা জন্ম দেবে। একজন আপাদমস্তক দুশ্চরিত্র ও কামুক মানুষকে আপনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব বলে মেনে নেবেন। পেটে বোমা নিয়ে ঢুকে পড়বেন কোনো এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বা কোনো এক ত্রাণপ্রার্থীদের লাইনে। 

যাই হোক, আজকে আমরা ক্যালেন্ডারের জন্ম ইতিহাস জানবো, জিহাদের হালাল তরিকা শিখবো এবং যাকাতের দাবীদার বিষয়ে জানবো। উল্লেখ্য যে, জিহাদ বিষয়ে শুধু সূরা আত-তওবাহ্-তেই এতো কথা আছে যে, সব গুলোর ব্যাখ্যা দিতে গেলে আরও তিনটা কোরানের সমান বড় বই লেখা যাবে। তাই এখান থেকে বাছাই করে অল্প কিছু আয়াত তুলে দেয়া হল। মোমিন ও জিহাদী বান্দাদেরকে সূরা আত-তওবাহ্ পুরাটা পড়ার পরামর্শ দেয়া হল।



সূরা আত-তওবাহ্, আয়াত ৩৬: এ আয়াত পড়ে জানতে পারলাম, আল্যায় নাকি পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই ঠিক করে রেখেছিল যে বছরে ১২টা মাস থাকবে। পড়ার সাথে সাথেই জানতে ইচ্ছা হলো, আরবী ক্যালেন্ডার সম্পর্কে। যা জানলাম, তা হলো, 

১) আরবী বছরে মোট দিনের সংখ্যা ৩৫৪। অর্থাৎ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার হতে ১১ দিন কম। কারণ আরবী ক্যালেন্ডার চাঁদের উপর নির্ভরশীল। চাঁদের হিসেবে ১মাস = ২৯.৫৩ দিন। সুতরাং ১২ মাস = ১২ *২৯.৫৩ = ৩৫৪.৩৬ দিন।

আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা। এই সময়টাকেই আমরা ১ বছর বলি। চার বছর পর পর এই অতিরিক্ত ৬ ঘন্টাকে আমরা অতিরিক্ত ১টি দিন হিসেবে যোগ করে নিই। এটাই লিপ-ইয়ার। কিন্তু আল্যার ক্যালেন্ডারে লিপ-ইয়ার হিসেবে ১ দিন যোগ হওয়া দূরে থাক, প্রত্যেক বছরে ১১ দিন কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ পৃথিবীর গতিবেগ হিসাব করতে গিয়ে আল্যা সামান্য ভুল করে ফেলায় পুরা বছর জুড়ে সেই ভুলের জের টানতে হচ্ছে।

২) এই ১২ মাসের মধ্যে আবার ৪ টা মাস সম্মানিত। তাহলে বাকি ৮টা মাস কি অসম্মানিত? এ সম্মানিত মাসে নিজেদের উপর অত্যাচার করা যাবে না। মাসের আবার সম্মান-অসম্মান কী? ভাল কাজ করাই যদি মূল বিষয় হয়, তাহলে তা যে কোনো সময়ই করা যেতে পারে। সময় ধরে ভাল কাজ করার শানে-নুযুল কী? সম্মানিত মাসে ভাল কাজ করলে আল্যা বেশী খুশী হবে আর অসম্মানিত মাসে খারাপ কাজ করলে তা মাফ করে দেবে - এসব কথার যৌক্তিকতা কী? 

সূরা আত-তওবাহ্, আয়াত ৪১: এখানে আল্যার জঙ্গি মানসিকতাসম্পন্ন পাশবিক চেহারাটা স্বরূপে উন্মোচিত হয়েছে। স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জাম যেমন: সেকালের ক্ষেত্রে তলোয়ার, বর্শা, তীর-ধনুক আর একালের জন্য বোমা বানানোর রাসায়নিক, স্প্লিন্টার, বারুদ, তার, ঘড়ি, জেহাদী সিডি, বই ইত্যাদি নিয়ে বের হয়ে গিয়ে জায়গায় জায়গায় ফুটানো বা ফাটানোর কথাই আল্যা বলেছেন। নিজের জান-মাল, পরিবার-পরিজন, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান কারও ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে খালি আল্যার নামে বোমা ফাটাও আর দখল কর। যেখানে তোমরা হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মেরেছো, সেখানেই মসজিদ উঠাও। কেউ বাধা দিলেই মূরতাদ ঘোষণা করে কল্লার দাম হাঁকাও। তুমি আত্মঘাতী বোমা হামলায় মরলে তোমার পরিবারের ভরণ-পোষণ কে করবে তার চিন্তা করার জন্য মহান আল্যাই আছে। তোমার স্ত্রী-সন্তান যদি পথে পথে ভিক্ষা করেও খায়, সেটাকেই তার জন্য বরাদ্দ রিজিক বলে মেনে নাও। 

সূরা আত-তওবাহ্, আয়াত ৪৪: আল্যার উপর অন্ধবিশ্বাস যার আছে, সে কখনই নবীর কাছে জেহাদ করা থেকে অব্যাহতি চাইবে না। আমি নিশ্চিত, মুহাম্মদের আমলে জেহাদ করার সময় কোনো এক বা একাধিক ঈমানদার বান্দা জেহাদের নামে মুহাম্মদের লুটের ধান্দা বুঝতে পেরেছিল। যখন তারা দেখল, তারা যুদ্ধ করে মাল লুটে আনে, নারীদের বন্দী করে আনে, আর সেখান থেকে মুহাম্মদ বেছে বেছে "ভাল জিনিসগুলি" রেখে, তাদেরকে "পচা জিনিস" দিয়ে ঠকায়। কিছু বলতে গেলেই খালি আয়াতের রেফারেন্স দেয়, তখনই তারা এর থেকে অব্যাহতি চেয়েছিল। এবং শঠ মুহাম্মদ তখন আল্যার নামে এই আয়াত নামিয়ে এনেছিল। 

সূরা আত-তওবাহ্, আয়াত ৪৬: এখানেও সেই ৪১ নং আয়াতেরই প্রতিধ্বনি। ইহকালে - লুটে আনা পরের সম্পত্তি ভোগ, যুদ্ধবন্দী ধর্ষণের আকাঙ্খা, আর পরকালে - অনিন্দ্যসুন্দরী হুর ছহবতের লোভ কোনোটাই যখন কিছু কিছু অনুসারীকে জেহাদ করতে বাধ্য করাতে পারল না, তখনই মুহাম্মদ বাকি অনুসারীদেরকে জেহাদের ক্ষেত্রে উদ্দীপ্ত রাখতে এ আয়াতের অবতারণা করেছিল, এ কথা সহজেই বোঝা যায়।

সূরা আত-তওবাহ্, আয়াত ৬০: এতোদিন আমরা জানতাম, যারা গরীব, নি:স্ব, যাদের সামর্থ নাই, তারাই যাকাতের হকদার। কিন্তু এই আয়াত থেকে জানলাম, আল্যার পক্ষে জেহাদকারীরাও যাকাতের হকদার। যাদের "চিত্ত-আকর্ষণ" করতে চান, তারাও যাকাতের হকদার। অর্থাৎ কারও চিত্ত আকর্ষণের প্রয়োজন হলে তাকে যাকাত দানের মাধ্যমে প্ররোচিত করুন। এটা হালাল পদ্ধতি। কোনো গরীব বিধর্মীকে আপনার মহানুভবতা দেখানোর জন্য যাকাত দিয়ে তাকে লোভ দেখাতে পারেন। আপনার উদ্দেশ্য গরীবের সেবা নয় বরং তাকে আরও বেশী যাকাতের লোভ দেখিয়ে তাকে আপনার ধর্ম গ্রহণে উৎসাহিত করা। আবার যারা জেহাদ করতে গিয়ে মানুষ খুন করছে, তারাও যাকাতের ন্যায্য দাবীদার। আমরা চাই বা না চাই, আমাদেরকে আল্যার আইনবিশিষ্ট একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তারা মৃত্যুর পরোয়া না করে জেহাদ করছে, যাকাত তো তাদেরই প্রাপ্য।

আজকের মাহফিল এখানেই সমাপ্ত। আগামীতে আরও তথ্য নিয়ে আপনাদের সাথে মোলাকাত হবে, এই কামনায় বিদায় নিচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন