আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১১

পাকিস্তানে ব্ল্যাসফেমি আইনের ফেরেববাজি


পাকিস্তানের মোছলমানেরা এখন ইসলামকে সমুন্নত রাখতে প্রাণপাত করছে। সরকারও ব্ল্যাসফেমি আইন প্রয়োগের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে ঘিয়ে অগ্নিসংযোজনের কাজটি করে চলেছে দক্ষতার সঙ্গে। ব্ল্যাসফেমি আইনের প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে হত্যা করে খুনি এখন জাতীয় বীর। এখন তাঁর কন্যাও হুমকির মুখোমুখি। তাঁকে এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে "বাবার ভাগ্য স্মরণ করার" পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

ব্ল্যাসফেমি আইন পরিবর্তনের পক্ষে বক্তব্য রেখে প্রাক্তন মন্ত্রী শেরি রেহমানও মোল্লাদের তীব্র বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে তাঁকে "হত্যার উপযুক্ত" ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আহা! কী পরম শান্তির ধর্ম! 

সাম্প্রতিক এই ঘটনাবলী সেখানকার সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের আতঙ্ক গভীরতর করেছে। অনেকেরই হয়তো জানা আছে যে, আছিয়া বিবি নামের এক খ্রিষ্টান মহিলাকে নবীর বিরুদ্ধে অপমানসূচক কথা বলার অপ্রমাণিত অভিযোগে ফাঁসির হুকুম দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় "ডন" পত্রিকা সাম্প্রতিক সার্বিক বিষয় নিয়ে বেশ দুঃসাহসী একটি কার্টুন প্রকাশ করেছে। 


এদিকে এক মোছলমান মহিলার ঘটানো কাহিনী শুনুন। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে সে চিৎকার করে বলতে থাকে যে, তার খ্রিষ্টান আত্মীয়া নবীর বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলেছে। খ্রিষ্টান মহিলা তখন সেই বাসার ভেতরে বসা। চিৎকার শুনে এক মোল্লার নেতৃত্বে একদল নারী-পুরুষ সেই বাসায় ঢুকে খ্রিষ্টান মহিলাটিকে মারধোর করতে শুরু করে। বাদ পড়েননি তাঁর মা-ও। পরে মোল্লা নিজের স্ত্রীকে নিয়ে গর্ব করে বলেছে, সে অন্য সবার চেয়ে বেশি মেরেছে অভিযুক্তা মহিলাকে। ফলে তার নিজের হাত এতোটাই ফুলে গেছে যে, সেই ঘটনার পর থেকে সে আর রুটি বানাতে পারছে না। মোল্লাকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনিয়ে নিতে হচ্ছে। 

আরও একটি ঘটনা। এক ইমাম ও তার পুত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে ব্ল্যাসফেমি আইনের আওতায়। তাদের অপরাধ ছিলো, তারা তাদের মুদির দোকানের গায়ে সাঁটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ঘোষণা সংক্রান্ত একটি পোস্টার সরিয়ে ফেলার দুঃসাহস করেছিল! পোস্টারটিতে কোরানের আয়াত লেখা ছিলো যে! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন