আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১১

গোঁড়া নাস্তিকেরা, জঙ্গি নাস্তিকেরা


যে সব ব্যক্তি "জঙ্গি নাস্তিক" শব্দবন্ধ ব্যবহার করে মনে করে থাকেন, নাস্তিকদেরকে ধর্মীয় জঙ্গিদের পর্যায়ে নামিয়ে আনা গেল, তাঁদেরকে একটি প্রশ্ন করতে চাই। তবে তার আগে নিচের খবরটি বিশদ পড়ে নেয়া যাক।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নরকে তাঁরই দেহরক্ষী গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি ব্ল্যাসফেমি আইনের ঘোর বিরোধী ছিলেন, ছিলেন উদারপন্থী এবং তালিবানের কঠোর সমালোচনাকারী। হত্যাকারী স্বীকার করেছে, তিনি ব্ল্যাসফেমি আইনকে কালো আইন আখ্যা দিয়েছিলেন বলে সে তাঁকে হত্যা করেছে। প্রধান ধর্মভিত্তিক দলগুলো এই হত্যাকাণ্ডের প্রশংসা করেছে। হত্যাকারীকে আদালতে আনার সময় waiting lawyers threw handfuls of rose petals over him and others in the crowd slapped his back and kissed his cheek as he was led in and out amid heavy security.

ঘেন্নায় মুখ তেতো হয়ে আসে!

এটি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। ধর্মের নামে করা এমন হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ ইতিহাসে আছে যাবে লক্ষ-লক্ষ।

এখন সেই প্রতিশ্রুত প্রশ্নটি করি:  নাস্তিকদেরকে জঙ্গি আখ্যা দেয়ার যৌক্তিকতা কি সত্যিই আছে? ধর্মবাদী জঙ্গিদের সঙ্গে আপনাদের কথিত জঙ্গি নাস্তিকদের তুলনা সত্যিই চলে? ("জঙ্গি নাস্তিক" প্রসঙ্গে পূর্বে প্রকাশিত পোস্টগুলোর ভেতর থেকে অন্তত দু'টি পোস্টে (এক, দুই) চোখ বুলিয়ে আসা যেতে পারে।)

আরও একটি অলীক শব্দবন্ধের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়: "গোঁড়া নাস্তিক"। ব্যবহারকারীরা নাস্তিক-এর সংজ্ঞাটি সঠিকভাবে জানলে বুঝতে পারতেন, "গোঁড়া" শব্দটির সঙ্গে "নাস্তিক"-এর ব্যবহার অর্থগতভাবে অসম্ভব। 

তাকেই নাস্তিক বলা হয়, যে-ব্যক্তি একেবারে কোনও ধরনের প্রমাণ না থাকার কারণে ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষীয় দাবিতে অনাস্থা জ্ঞাপন করে। এর বেশি কিছু নয়। 

কেউ কি আমাকে বুঝিয়ে বলবেন, যুক্তি-তথ্য-প্রমাণহীন দাবিতে অবিশ্বাস প্রকাশের ভেতরে গোঁড়ামির স্থানটি কোথায়? পক্ষান্তরে, প্রকট প্রমাণ, জুতসই যুক্তি, তর্কাতীত তথ্য উপেক্ষা করে ("বুঝি, কিন্তু মানি না" টাইপ) ভিত্তিহীন বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে থাকাটাই কিন্তু গোঁড়ামি। ভুয়া দাবিকে অস্বীকৃতি জানানোয় গোঁড়ামির গ-ও নেই

যদি কখনও ঈশ্বরের অস্তিত্বের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়, এবং তারপরেও যদি কোনও নাস্তিক থেকে থাকে ধরাধামে, যে তার মত পরিবর্তনে ঘোর অনীহ, শুধু তখনই তাকে গোঁড়া বলা যাবে, তার আগে নয়। কোনওমতেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন