চলুন, দেখা যাক শান্তির ধর্মের সাম্প্রতিক শান্তিকামী কর্মকাণ্ড।
১.
নববর্ষের প্রাক্কালে মিসরে এক খ্রিষ্টান চার্চে ইসলামী আত্মঘাতী হামলায় মারা গেছে ২১ জন। এর পরে ক্ষুব্ধ খ্রিষ্টানদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
(দ্বিতীয় লিংক পাঠিয়েছেন রিফাত)২.
একই ঘটনা ইরাকেও। তবে এক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়েছে একাধিক চার্চে। নিহত হয়েছে কমপক্ষে দু'জন খ্রিষ্টান এবং আহত হয়েছে ১২ জন।
৩.
নাইজেরিয়ায় ক্রিসমাসের প্রাক্কালে ইসলামীদের হামলায় মারা গেছে ৮৬ জনেরও বেশি খ্রিষ্টান। এটাই শেষ নয়। আরও একটি হামলায় মারা গেছে বেশ কয়েকজন (পুলিশের মতে ৪ জন, সামরিক বাহিনী বলছে ১১ জনের কথা, আর টিভি রিপোর্টে নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ৩০ জন)।
৪.
আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ইসলামী জঙ্গি বলেছে, "আমি জঙ্গি কি না, তা নির্ধারণ করার মালিক আল্লাহ"। মাশাল্লাহ! একেবারে সাচ্চা মোছলমানের মুখগহ্বর নিঃসৃত মধুর বাণী!
বিবিসি-র টিভি প্রোগ্রাম "টপ গিয়ার" পড়েছে মোছলমানদের তোপের মুখে। অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রেখে উপস্থাপকেরা বোরখা পরেছিলেন। আর তাতেই ইছলামীদের ধর্মানুনুভূতি উত্থিত হয়ে পড়েছে।
৬.
আসরের নামাজ পড়ে কামানো ছওয়াব যথেষ্ট মনে না হওয়ার কারণেই, সম্ভবত, বোনাস ছওয়াব আদায় করতে সোমালিয়ার একদল মোছলমান জঙ্গি খ্রিষ্টানদের লাইব্রেরি ধ্বংস করে ফেলে আসরের নামাজ শেষে। সেখান থেকে তারা বাইবেল, খিষ্টধর্মীয় অন্যান্য পুস্তক এবং অডিও-ভিডিও শহরের কেন্দ্রে নিয়ে এসে পোড়ায়। মোছলমান বাইবেল পোড়ালে নিশ্চয়ই তা পরম নৈতিক কাজ। তবে ভিন্নধর্মের কেউ কোরান পোড়ানোর কথা মুখে আনুক দেখি! শান্তি কাকে বলে, ইসলাম তা দেখিয়ে দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন