শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তার ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

নবীজির জন্মদিবস কীভাবে পালন করতে হয়, শিখে নিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তার কাছে।

খবরের লিংক পাঠিয়েছেন নিলয় নীল। ছবিটি নেয়া হয়েছে সেই সাইট থেকেই।

পতিতা নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের (ইফাবা) প্রেস ম্যানেজার হালিম হোসেন খান জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। জনতা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। গত মঙ্গলবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে গোপালগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় ফাউন্ডেশনের ভাবমর্যাদা বিনষ্টের প্রতিবাদে বুধবার আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি অবিলম্বে প্রেস ম্যানেজারকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। 

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানের জন্য মঙ্গলবার ঢাকা থেকে ইফাবার প্রেস ম্যানেজারসহ কয়েকজন কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ যান। তারা স্থানীয় সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। সার্কিট হাউজের ৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন প্রেস ম্যানেজার হালিম হোসেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি লুঙ্গি পরা অবস্থায় সার্কিট হাউজের পাশে এক পতিতার বাসায় যান। এরপর আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে। মারধর ও হৈচৈ করার এক পর্যায়ে তারা হালিম হোসেনের পরিচয় জানতে পারে। তারা ঘটনাটি সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সার্কিট হাউজে পৌঁছে দেয়। তবে বুধবার সকাল বেলা ঘটনাটি জানাজানি হবার আগে হালিম হোসেন ঢাকায় ফিরে আসেন। 

গোপালগঞ্জের এনডিসি মোহাম্মদ শাহাদাত খন্দকার বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান নিয়ে ভোর বেলায় আমরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এজন্য রাতের বেলার ওই ঘটনার খবর অনেক পরে আমাদের কাছে আসে। তবে জেলা প্রশাসক ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষণিক ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ৩ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 

এদিকে, এ ঘটনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভেতরে তোলপাড় চলছে। সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দোষী ব্যত্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা দাবি করেন হালিম হোসেন এর আগেও একবার যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু সে ঘটনার বিচার না হওয়ায় তার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। 

এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন