শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

আল্লাহতালাহর অপুর্ব কুদরতি কারিশমা: অতিমানবদের গণহারে ইসলাম গ্রহণ


লিখেছেন আসিফ মহিউদ্দীন

গোপন সুত্র হইতে খবর পাওয়া গেল যে, পৃথিবীর কমিক্স, টিভি, চলচিত্রের অতি বিখ্যাত সকল অতিমানবেরা (সুপারম্যান) কিছুদিন পুর্বে এক রক্তক্ষয়ী মিশনে আন্তঃগ্যালাক্টিক যুদ্ধে জড়াইয়া পড়েন। প্রচণ্ড রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধে দুই পক্ষই সমানে সমান যুদ্ধ চালাইয়া যাইতেছিলেন। হঠাৎ ভিনগ্রহের প্রাণীরা অতিমানবদের লক্ষ্য করিয়া এক অতিকায় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেন। সেই পারমাণবিক বোমাকে নিষ্ক্রিয় করিবার জন্য প্রথমে অতিমানবগন পাল্টা পারমাণবিক বোমা ছোঁড়েন, কিন্তু তাহাতে কোনো কাজ হয় না। এরপর অতিমানবগণ একে একে সকল চেষ্টাই করেন, কিন্তু এলিয়েনদের তৈরি এক ধরনের শিন্ডের কারনে সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। মৃত্য আসন্ন ভাবিয়া অতিমানব ওরফে সুপারম্যানগণ কান্নায় ভাঙ্গিয়া পড়েন, কেউ কেউ নিজ নিজ গার্লফ্রেন্ড লইয়া শেষবারের মত একটু আনন্দ করিবার উদ্দেশ্যে নিজ নিজ কক্ষ তালাবদ্ধ করিয়া ব্যক্তিগত সময় উপভোগে মনোযোগ দেন।

হঠাৎ অতিমানবদের লিডার লাইটম্যান-এর (ছবিতে ইমামের ভুমিকায়) চোখ পড়িল মহাকাশযানের রক্ষিত একটি পুস্তক যাহাকে পৃথিবীবাসী কুরআন বলিয়া থাকেন। মুসলিমগণের দাবী অনুসারে, এটি একটি আসমানী কেতাব এবং আল্লাহ কর্তৃক লিখিত। লাইটম্যান সাহেব কিছুদিন আগে একটি পুস্তকে পড়িয়াছিলেন যে, এই বইটির অলৌকিক কর্মকাণ্ড ঘটাইবার কথা প্রচলিত আছে। তিনি একদা গুলিস্তানের মোড়ে দাঁড়াইয়া খুজলির মলম ক্রয় করিবার সময় জনৈক হকার তাঁকে একটি পুস্তক ধরাইয়া দিয়াছিলেন, যেটার নাম ছিল "আল্লার কী কুদরৎ, লাঠির মইধ্যে শরবৎ"। সেই পুস্তকে লিখিত ছিল, কী করিলে কী হয় এবং কী না করিলে কী না হয়। যথা, পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাইয়া বিশেষ গর্তে সুরা পড়িয়া ফুঁ দিয়া বিশেষ দিনে সহবৎ করিলে পুত্রসন্তান হয়, বিশেষ অঙ্গে দুর্বলতা দেখা দিলে আল্লার নাম লইয়া বিশেষ সুরা পাঠ করিলে সেই অঙ্গ শক্ত ও মোটা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো সেই পুস্তক মারফত তিনি জানিতে পারিয়াছিলেন এই অলৌকিক গ্রন্থের কথা, তাহা মনে পড়িতেই তিনি ফাল দিয়া উঠিলেন।

ইহার পর সেই কুরআনটি লইয়া সুর করিয়া পড়া শুরু করেন এবং কয়েকটি সুরা পড়িয়া সেই অতিকায় পারমানবিক বোমাটির উদ্দেশ্যে কুদরতি ফুঁ দেন। আল্লাহতালাহর অশেষ করুণায় সেই তেলেছমাতি ফুঁতে অলৌকিক কাজ হয় এবং অতিকায় পারমানবিক বোমাটি সহসাই মহাকাশেই বিষ্ফোরিত হইয়া মহাকাশযাত্রী সুপারম্যানদের জীবন রক্ষা করে।

ইহার পরে অতিমানব ওরফে সুপারম্যানগন দলে দলে ইসলাম কবুল করিয়া দ্বীনের পথে যাত্রা শুরু করেন এবং জামাতের সহিত সালাত আদায় করেন। অবশ্য মহাকাশে তাঁহারা সুর্যের অনুপুস্থিতিতে কীরূপে নামাযের সময় নির্ধারণ করেন, তাহা লইয়া নাস্তিক, অবিশ্বাসী, যুক্তিবাজগণ বিশ্বাসী ভাইদের ঈমান ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত হইতে পারেন, তবে আমাদের বিশ্বাসী ভাইগণ তাহাদের যুক্তিতর্ককে কলা দেখাইয়া জোরেসোরে দরুদ পড়িবেন বলিয়াই আমাদের বিশ্বাস। 



খবরে আরও প্রকাশ, সুপারম্যানগণ পৃথিবীতে ফিরিয়াই স্বপরিবারে পবিত্র হজ্জ্ব পালন করিবেন বলিয়াও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তাঁহারা এ কথাও বলেন, আগামী ইজতেমাতে তাঁহারা ঢাকায় পদার্পণ করিয়া আল্লাহতালাহর অশেষ তেলেছমাতির কথা বয়ান করিবেন। মহাকাশে আপাতত সুপার ওমেনগণের কিঞ্চিৎ সংকটের কারণে কেহই চার বিবাহ করিতে পারিতেছেন না, এক বিবাহও সেখানে কষ্টকর। তাই তাঁহারা আশাপ্রকাশ করিয়াছেন, হজ্জ্বের পুর্বেই চার বিবাহ করিয়া সুন্নত সমুন্নত রাখিবেন।

সবাই জোরে বলেন সুবহানাল্লাহ।

নাস্তিক মুরতাদ, বিজ্ঞান যুক্তি নিপাত যাক, 
কুরআন, আল্লাহ আমাদের পথ দেখাক।

আপডেট: এইমাত্র খবর পাওয়া গেল, সুপারম্যান দাড়ি রাখিয়াছেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন