বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

বৃষবিষ্ঠা বা বল্দার্গু – ১১


(ধর্মের সঙ্গে আপাত সম্পর্কহীন এই সিরিজটি ধর্মকারীতে প্রকাশের কারণ একটিই: তথ্য-প্রমাণহীন যে কোনও বিশ্বাসের প্রচার ও প্রসার ক্ষতিকারক। ধর্মসহ এই জাতীয় যাবতীয় অপবিশ্বাস থেকে মুক্ত হতে পারলেই নিজেকে প্রকৃত মুক্তমনা বলা যেতে পারে। তার আগে নয়।)

Penn & Teller জুটির উপস্থাপিত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপবহুল ব্যাশিং টিভি-সিরিজ "বুলশিট"-এর এই পর্বের (তিরিশ মিনিট) বিষয়বস্তু: জ্যোতিষবিদ্যা। আমার ভাগ্য ও জীবনযাত্রার ওপরে প্রভাব ফেলা ছাড়া দূর-দূরান্তের লক্ষ-কোটি গ্রহ-নক্ষত্রের আর কোনও কাজ তো নেই! তাদের অবস্থান বদল হলে বদলে যায় আমার ভাগ্যও। শশালা! বিজ্ঞানের ব-ও নেই এতে! 

অথচ এই বল্দার্গুতে বিশ্বাসীর সংখ্যা পৃথিবীতে কোটি-কোটি! আর তাদের এই বিশ্বাসদৌর্বল্যকে পুঁজি করে দেদারসে সম্পদশালী বনে যাচ্ছে জ্যোতিষী নামধারী প্রতারকেরা। পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয় দৈনিক রাশিচক্র। অনেক জ্যোতিষী পেয়ে যায় তারকা-খ্যাতি! জ্ঞানী ভাব নিয়ে এবং আক্ষরিক অর্থেই আগডুম-বাগডুম বলে সরলবিশ্বাসী লোকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি কেন প্রতারণা নামের অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না, বুঝে পাই না। 

সম্প্রতি আরেকটা খবরে পড়লাম, এখন নাকি রাশি সংখ্যা বারো নয়, তেরো! শুধু তেরো কেন, তেরো কোটি হলেও বল্দার্গুর দুর্গন্ধ হ্রাস পায় না এতোটুকুও।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন