আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বরাহেও আছেন, বিষ্ঠাতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি বোরখাতেও আছেন, বিকিনিতেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি জলাশয়েও আছেন, মলাশয়েও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি উটমূত্রেও আছেন, কামসূত্রেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি আরশেও আছেন, ঢেঁড়শেও আছেন # আল্যা সর্বব্যাপী – তিনি হাশরেও আছেন, বাসরেও আছেন

সোমবার, ৭ মার্চ, ২০১১

মঙ্গলবাণী যেখানে অমঙ্গলের ধারক


লিখেছেন লাইট ম্যান

প্রত্যেক ধর্মেই কিছু না কিছু অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে স্বধর্মীয় অনুসারীদের প্রাণবন্ত, উজ্জীবিত, উত্থিত, উৎসর্গপ্রবণ, উৎফুল্ল ও বিশ্বস্ত রাখার চেষ্টা করা হয়, প্রমাণ করতে চেষ্টা করা হয় ধর্ম পালনের গুরুত্ব, মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকরা এক ফালি হাসি দিয়ে সফলতার ঢেঁকুর তুলে আত্মতৃপ্তিতে হন গদগদ। 

ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে - 

হিন্দু ধর্মে: দূর্গা পূজা, কালী পূজা সহ বিভিন্ন পূজা-পার্বণ। 

বৌদ্ধ ধর্মে: বৈশাখী পূর্ণিমা, সংঘদান (একাধিক ভিক্ষুকে সংঘ বলে) ইত্যাদি। 

খ্রীষ্ট ধর্মে: বড়দিন সহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান। 

ইসলাম ধর্মে: ঈদুল ফিতর, ঈদে মিলাদু নবী, ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি। 

ধর্মীয় এইসব অনুষ্ঠানে প্রবল বেগে ধর্মীয় শ্লোক নিঃসরণের পর মানবমনকে কর্ষণ করতে দোয়া/মঙ্গল কামনা করে এই সব অনুষ্ঠানের ইতি টানা রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই কামনায় কারো সামান্যতম উপকারের মত জটিল কিছু প্রাপ্তি হয় না, এ কথা অতীব সত্য। তারপরেও আপাত নিরীহ শ্রুতিমধুর উদাত্ত প্রার্থনা/ ইচ্ছাসূচক বাক্যগুলোর গভীরে কত হীন মানসিকতা সূক্ষ্মভাবে কাজ করে, তা কেউ কি কখনো খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন? 

আসুন আমরা একটু বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি বিভিন্ন ধর্মের মঙ্গল প্রার্থনার বাণীগুলো। 

হিন্দু ধর্মের লোকেরা বলে-“ওঁ শান্তি” অর্থাৎ “শান্তি হোক”। একই ধর্মের মানুষকে বিভিন্ন জাত-পাত-বর্ণে বিভক্ত করে “ওঁ শান্তি”-র মত জটিল কামনা কার্যকর হওয়া কখনো সম্ভব কি? উঁচু-নীচু জাত-পাতের ভাগ বাটোয়ারায় মানুষও যেখানে অস্পৃশ্য, সেখানে সর্ব জীবের প্রতি মঙ্গল কামনা নিশ্চিতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। সাথে আরো আছে পশুবলির মত নির্মম প্রথা। 

বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা বলে- “সব্বে সত্বা সুখিতা হোন্তু” অর্থাৎ “জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক”। এই ধর্মে ঈশ্বরের নাক ঢোকানোর কোনো সুযোগ ছিল না বলে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষসহ সব প্রাণীর সুখকামনা করা সম্ভব হয়েছে। বাণীটি ধর্মীয় হলেও নিঃসন্দেহে সুস্থ মানবিকতার পরিচয় বহন করে। সামাজিক অনুষ্ঠানে পশু বলি করলেও বৌদ্ধরা ধর্মাচার পালনের নামে কোন পশু বলি করে না। 

খ্রীষ্ট ধর্মের লোকেরা বলে- ‘God bless you’. এই you শব্দ ব্যবহার করে বাণীটিকে করা হয়েছে একটি সাম্প্রদায়িক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ। ভদ্রতা রক্ষায় কোনো গোষ্টির নাম মুখে না আনলেও শুধু খ্রীষ্টধর্মের অনুসারীদের উপর ঈশ্বরের কৃপা বর্ষিত হওয়ার প্রার্থনা/অনুরোধ জানানো হয়েছে, তা পরিষ্কার। সার্বজনীন শান্তি কামনার মত উদার আর্শীবাদ এই বাক্যে খুজে পাওয়া যায় না। 

মুসলমানদের এই রকম সার্বজনীন দোয়া/মঙ্গল কামনা করা না-যায়েজ কাজ। এই জাতীয় কোনো সৌজন্যমূলক বাক্যের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা এই শান্তির ধর্মে পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। সার্বজনীন দোয়া কামনা করলে কাফেরদের ভাগেও যে দোয়া পড়ে! বরং তাদের মঙ্গল/দোয়া কামনা অনেক বেশী উগ্র সাম্প্রদায়িক ও স্থূল। যারা আমার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করতে চান তাদের উদ্দেশ্যে বলি খোদার কাছে- “পৃথিবীর সকল মোমিন মুসলমান ভাইদের নিরাপদে শান্তিতে থাকার তৌফিক দান ও বেহেস্তে নসিব করুন” এই জাতীয় দোয়া ছাড়া সার্বজনীন দোয়া/মঙ্গল কামনা আপনারা কি কোনো ইসলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে শুনেছেন বলে দাবী করার সাহস রাখেন? 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন