লিখেছেন শুভজিৎ ভৌমিক
আসসালামু আলাইকুম ইয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। প্রাণপ্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা এবং ভালবাসার নারীরা, আল্লাহতায়ালা আমাকে এই নোট লেখার তাওফিক দান করেছেন। সেই জন্য প্রথমেই তার দরবারে আমি শোকর আদায় করতেছি (সুবহান আল্লাহ)!
আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, আমাদের পূর্ব পাকিস্তান, অর্থাৎ বাংলাদেশে আজকাল বেশ কয়েকটা মোবাইল কোম্পানি মারদাঙ্গা বিজনেস চালাইতাছে। এইগুলার মধ্যে আছে গ্রামীন, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি, সিটিসেল ইত্যাদি।
তো যাই হোক, এই মোবাইলের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অনেকেরই বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায়। এইসব অভিযোগের মধ্যে আছে কথা শোনা যায় না, কথা ঝাপসা আসে, কল ক্যান নট বি রিচড কইতাছে ইত্যাদি।
একটা সময় আমরা মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাইবার তরে বাসার ছাদে ডিশ এন্টেনা লাগাইতাম। সিটিসেলের একটা অ্যাড ছিল, একটা লোক গাছের উপর উইঠা নেটওয়ার্ক খুজতেছেন। আজ এত দিন পরেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় নাই। বিজ্ঞানের এত উন্নতি সত্ত্বেও এখনও আমরা নেটওয়ার্ক ঠিক মত পাই না।
ধরেন আপনি কারও কাছ থেইকা একটা ইনফো নিবেন বা কাউরে কিছু জানাবেন। এই নেটওয়ার্ক ফেইলিওরের কারণে আপনি আর সেইটা পাঠাইতে পারলেন না। এইভাবে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হইলেন।
বিশ্বের উন্নত দেশ, যেমন পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, সৌদী ইত্যাদি দেশের দিকে তাকাইলে আমরা দেখতে পাই তারা চমেতকার নেটওয়ার্কের সুবিধা পাইতেছে।
দুঃখের ব্যাপার, আমাদের শানে শওকাত পবিত্র পূর্ব পাকিস্তানে কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়ার একটি মালাউন মোবাইল ফোন কোম্পানি ব্যবসা শুরু করছে। তার নাম এয়ারটেল। এতদিন কোম্পানিটা ওয়ারিদের তথা মুসলিম উম্মাহ'র আন্ডারে ছিল, আমরাও সুখে ছিলাম।
কিন্তু এই মালাউন কোম্পানি আইসা এইখানে একটা প্যাঁচ খেলতাছে। এরা আমাদের দেশের গোপন তথ্য ইন্ডিয়ার কাছে নিয়ে যাইতে চায়। এদের কর্মীদের অনেকেই "র" নামক গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট। এইটা নিঃসন্দেহে ইন্ডিয়ার কাছে দেশ বিক্রি কইরা দেয়ার একটা ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
আমাদের এক দফা এক দাবি, মুসলিমদের জিনিস মালাউনদের দেয়া যাবে না। মোবাইল এবং নেটওয়ার্ক নিয়া কোনও মালাউন কোম্পানি ব্যবসা করতে পারবে না। কেন পারবে না ?
কারণ এই মোবাইলের নেটওয়ার্ক জিনিশটা আমাদের মুসলিম উম্মাহ'র প্রাইভেট জিনিশ। এইটার আবিষ্কারক ওয়ান এন ওনলি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।
জিগাইবেন কেমনে ? হে হে। সেইখানেই তো তেলেসমাতি। আজ থেইকা ১৪০০ বছর পূর্বে হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন আছিলেন আমাদের প্রাণের নবী হুযুরে পাক (সঃ)। ঠিক সেই সময় আল্লাহপাক আমাদের নবীজীর কাছে কুরান পাঠানোর প্ল্যান করতেছিলেন। কেমনে পাঠানো যায় কুরান ? ফেরেশতারা মাথা চুলকাইতেছে। কেউই কোনও উপায় বাইর করতে পারলো না।
আল্লাহতায়ালার মাথায় তখন একটা হেভি ইনোভেটিভ আইডিয়া আইলো। তিনি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি কইরা ফালাইলেন। হেরা পর্বতের উপ্রে বসানো হইলো গায়েবানা টাওয়ার। থ্রি, টু, ওয়ান, জিরো অ্যাকশন! আল্লাহতায়ালা কুরান সেন্ড করলেন তথা নাযেল করলেন নবীজিরে। কোনও রকম নেটওয়ার্ক ফেইলিওর ছাড়াই কুরান পায়া গেলেন নবীজী। আল্লাহতায়ালার আবিষ্কৃত মোবাইল টেকনোলজির দৌলতে আমরা সেই জান্নাতুল ফেরদাউস থেইকা পায়া গেলাম মহাগ্রন্থ কুরান শরীফ। আলহামদুলিল্লাহ !
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা আল্লাহ'র আলামত সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হইলাম এবং মোবাইলের নেটওয়ার্ক যে আল্লাহতায়ালার আবিষ্কার এবং প্রথম মোবাইলের ব্যবহারকারী যে নবী মুহুম্মদ, তাও জানতে পারলাম।
আসেন আমরা এয়ারটেল সহ হিন্দু-মালাউনদের সকল পণ্য বর্জন করি এবং মোবাইলের নেটওয়ার্কের কপিরাইট এবং পেটেন্ট আল্লাহতায়ালারে দেওয়ার জোর দাবি জানাই। মোবাইলের নেটওয়ার্ক আবিষ্কারের মুসলমানী ঐতিহ্য ফিরায়া আইনা ইহুদী-খ্রিষ্টান এবং হিন্দুদের নিপাত করার নিয়তে আসেন আমরা সবাই দল-মত নির্বিশেষে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মোনাজাত ধরি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন