লিখেছেন Suirauqa
তালিবানী ইসলামী শাসন থেকে মুক্ত হবার পর আফগানিস্তানে দশ বছর কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যে দৃঢ় হয়েছে সে দেশে মহিলাদের মানবাধিকার দানের পক্ষে আন্দোলন। কিন্তু এতদ্সত্ত্বেও মহিলাদেরকে হিংস্রভাবে দমন এবং নিপীড়নের চলন সেই দেশে কমেনি - এবং সামাজিকভাবে তা বেশ গ্রহণীয় মনে করা হয়। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যেভাবে আফগান সরকার সেদেশের নিপীড়িত মহিলাদের আশ্রয়স্থলগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে এবং সেগুলোকে দখল করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে, তাতে আফগান সরকারের পূর্ণ মদত রয়েছে এই ধরণের কার্যকলাপে বলেই মনে হয়।
কিন্তু আরও চুপচাপ, নিঃশব্দে ঘটে চলেছে ভয়াবহ একটি ঘটনাপ্রবাহ। গার্হস্থ্য হিংসা এবং অত্যাচার (ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স)-এর "সংস্কৃতি" আফগান অভিবাসনকারীদের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়ে পড়ছে অন্যান্য শহরে ও দেশে, যেমন নিউ ইয়র্কে। সেখানকার নারী-অধিকার অধিবক্তারা সদ্যসদ্য আবিষ্কার করছেন এই সমস্যার কত সুদূরবিস্তৃত। গত বছরেই এরকম একটি নারী-অধিকার সংস্থায় ৩৫ জন মহিলা আশ্রয় নিয়েছেন স্বামী এবং স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হাতে প্রবলভাবে অত্যাচার এবং নিপীড়নের শিকার হয়ে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্রে সদ্য প্রকাশিত হয়েছে এরকম একজন মহিলার কাহিনী, যিনি তার আফগান-আমেরিকান স্বামী এবং ননদের হাতে মানসিক ও শারীরিক ভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন। ধর্মীয়মদতপুষ্ট প্রাচীনপন্থাকে আঁকড়ে থাকা আফগানিস্তানের প্রখর পিতৃতান্ত্রিক জনজাতীয় সমাজে মহিলারা স্বামীর সম্পত্তি হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকেন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে সেই দেশ থেকে অভিবাসন করে আমেরিকায় চলে আসা সত্ত্বেও আফগানী মুসলমান পরিবারগুলো সেই প্রস্তরযুগীয় মনোভাব গুলোকে ছাড়তে পারছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন