লিখেছেন Suirauqa
আমেরিকার খ্রিষ্টান সৃষ্টিতত্ত্ববাদী (ক্রিয়েশনিস্ট)-দের তথাকথিত হাই প্রোফাইল এবং সম্যক উপস্থিতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্ববাদ (ক্রিয়েশনিজ্ম) ক্রমাগত আত্মপ্রত্যয়ী এবং দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। অগুন্তি ওয়েবসাইট এবং The Evolution Deceit বা The Dark Face of Darwinism ইত্যাদি নাম-সম্বলিত বইয়ের মাধ্যমে সোচ্চার হচ্ছে বিবর্তনবাদ-অস্বীকার (ইভল্যুশন ডিনায়ালিজ্ম)-এর একটি নতুন, অর্থশালী এবং সুচতুর মুখ; বিজ্ঞানের এবং তথাকথিত আগ্রাসী নিরীশ্বরবাদ (মিলিট্যান্ট এথীইজম)-এর ওপরে ধর্মীয়-বিশ্বাসভিত্তিক হামলার যে বর্তমান ফ্যাশন চালু হয়েছে, সেই মনোভাব ও চিন্তাধারাকে সুকৌশলে দোহন করাই হলো এর উদ্দেশ্য।
এই নব্য ভাবধারাকে অবজ্ঞা করে উঠতে পারেননি স্বয়ং রিচার্ড ডকিন্স - দ্য টাইমস-এর সাথে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে তিনি স্বীকার করেছেন, "ক্লাসরুমে বিবর্তনবাদ শিক্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহঘোষণা ইদানীং প্রবলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এর অনেকটাই আসছে মুসলমান ছাত্রদের পক্ষ থেকে"। এই নববিপ্লবের জনক ও সন্তপ্রবর, "বিবর্তনবাদের মিথ্যা"-র উপরে "কোরানীয় বিজ্ঞান"-এর উত্কর্ষ প্রমাণে উত্সাহীরা যাকে অকাতরে "বিশেষজ্ঞ" হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে, সেই ব্যক্তির নাম হলো হারুন ইয়াহিয়া ওরফে আদনান ওখ্তার, তুরস্কের ইসলামিয় সৃষ্টিতত্ত্ববাদী, কাল্ট-নেতা, প্রভূত অর্থশালী মসীহা।
এর সম্পর্কে একটি চমত্কার ও তথ্যবহুল আলেখ্য প্রকাশিত হয়েছে নিউ হিউম্যানিস্ট পত্রিকায়। লিঙ্ক এখানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন