বিজ্ঞানের কাছাকাছি আসার ব্যাকুল বাসনা সব ধর্মেরই। ধর্মকে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ করতে পারলে তা কিছুটা জাতে ওঠে বলে ধর্মবাজেরা মনে করে।
ইসলামের কথাই বলি। "ইসলাম ও বিজ্ঞান" অথবা "কোরান ও বিজ্ঞান" জাতীয় অসংখ্য ইসলামী কিতাব রয়েছে বহু ভাষায়। যদিও বিজ্ঞানের সমর্থন পেতে লালায়িত হবার ভেতরে যে এক ধরনের হ্যাংলামি ও হীনমন্যতা আছে, সেটি তারা অনুধাবন করতে পারে বলে মনে হয় না।
আর তাই কোনও বিজ্ঞানীর কাছ থেকে ইসলাম-সমর্থনার্থক কোনও বাণী পেলে তা গোটা মুসলিম জাহানে ঈদতূল্য ঘটনায় পরিণত হয়। স্থানে-অস্থানে, প্রসঙ্গে-অপ্রসঙ্গে, পাত্রে-অপাত্রে সেই বাণীর বিবিধ ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেই বিজ্ঞানী আদৌ তেমন কোনও কথা বলেননি। স্রেফ তাঁর বক্তব্যকে সামান্য টুইস্ট করে বা সম্পূর্ণভাবে বদলিয়ে সেই বিজ্ঞানীকে ইসলাম-সমর্থক বানিয়ে দেয়া হয়।
ধরা যাক, জার্মান বৈজ্ঞানিক Alfred Kröner-এর কথা। কোরান সম্পূর্ণরূপে বৈজ্ঞানিকভাবে নিখুঁত - এমন কথা এই বিজ্ঞানী বলেছিলেন বলে অজস্র ইসলামী সাইটে দাবি করা হয়। এই দাবি ভুয়া প্রমাণ করতে এগিয়ে এসেছেন এক ইউটিউবার। তিনি অনলাইন ভিডিও-সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন এই বিজ্ঞানীর।
দেখুন, কীভাবে আবার ধরা খেলো ইসলামীরা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন